পাশের সিটে আমার বউ।
ভদ্রমেয়ে আমার ডান হাতটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। এমনভাবে চেপে ধরেছে যেন বিয়ের পর বাপের বাড়ী থেকে যৌতুক হিসাবে নিয়ে এসেছে। প্রচন্ড ভীড় আর আকস্মিক হরতালকারীদের হামলার ভয়ে বেচারী ঠকঠক করে কাঁপছে। তার শরীরের কাঁপুনি আমার শরীরেও ছড়িয়ে পড়ছে। ইচ্ছা করছে আমার ডান হাতটা তার মাথায় রাখি। গভীর আবেগে বলি,
"পান খাবে বউ? খাইতে চাইলেও লাভ নাই। আনতে পারব না। ভীড় ঠেলে চলন্ত বাস থেকে নামতে পারব না।"
ডান হাতটা তার মাথায় রাখতে পারছি না। আমি ভাবতে ভাবতেই সে ঘুমিয় পড়েছে। হাত তুললে জেগে উঠবে।
মুখের ছবিটা বলে দিচ্ছে সে নিশ্চিন্ত। তার পৃথিবীর সবচাইতে সাহসী সুপুরুষটার কাঁধে সে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।
সারাজীবন সাহিত্যচর্চায় কাটাব। আজকেই হয়তোবা ঘরের কথা পরকে শেষবারের মতো বলছি। বলার কারনটাও অদ্ভুত।
বিবাহ পূর্ববর্তী আর পরবর্তী প্রেমের মজাটা সবাই ধরতে পারে না। বিয়ের আগে আন্তরিকতার চাইতে ভালোবাসার প্রদর্শনটায় মূখ্য থাকে। বিয়ের পর একটু যুদ্ধ একটু ভালোবাসার স্বাদ অকৃত্রিম আর প্রাকৃতিক। গোপনে গোপনে ভালোবাসা-বাসির স্বাদটা সবাই ধরতে পারে না। অধিকাংশ অবিবাহিতরা মনে করে একবার বিয়ে করলেই সব শেষ হয়। বউ চলে বা মরে গেলে সবার বিয়ের জন্য পাগলা হয়। এই ভয়ে অনেকেই বিয়ে না করে প্রেমকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করে। তাদের মনে রাখা দরকার, বিয়ে
শারিরীক সম্পর্কের চাইতেও বড় কিছু।
প্রতিদিন ঘষে মেজে নতুনের মত উজ্জ্বল করার ক্ষমতা সবার থাকে না।
আমার জীবনটাকে পুর্ন করে দেওয়ায় কাঁধে মস্তক রেখে ঘুমন্ত মহামানবীটাকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্চা করছে।
উপায় নেই।
পরম মমতায় যে নারী তার স্বামীর কাঁধে ঘুমায়, তাকে ধন্যবাদ দিলে সম্পর্কটাকে অপমান করা হয়।
সে সাহস আমার নে