পার্টঃ১ : Click This Link
পার্টঃ২
‘স্যার,আপনার সামনে উপবিষ্ট এই অধম একখান মাওলানা। গ্রামের বাড়ী রংপুরের পীরগঞ্জে। পেশায় চর্মকার কইতে মানা নাই। বেত দিয়া গর্ধবদের চামড়া ছিলে লবন লাগাই। এইখান বড় জবর পদ্ধতি। গাধারা মানুষ হইয়া যায়। এই সমস্ত গাধা আমার মাদ্রাসার ছাত্র। মাদ্রাসার নাম ‘চক-বর খোদা সালামিয়া দেওবন্দী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানা’। প্রতিষ্ঠানের পদবী সুত্রে এই অধম প্রিন্সিপাল। স্যার কি শ্রবন করছেন?
আমি জবাব দিলাম,
‘হুম।’
‘বেয়াদবি না নিলে একখান ছোট পরীক্ষা নিতাম স্যার?’
‘আচ্ছা।’
‘আমি একখান মাদ্রাসার নাম উল্লেখ করলাম। যদি তার নামটা বলে দিতেন।’
‘চক-বর খোদা হাফিজিয়া মাদ্রাসা।’
‘আপনে পাশ। কিন্তু সালামিয়া নামটা উল্লেখ করেন নাই স্যার। এই নামটায় হইল মাদ্রাসার গোপন শক্তি। সালামিয়া এসেছে সালাম থেকে। সালাম আল্লাহ তালার একখান আসমাউল-হুসনা। বলতে পারেন গুনবাচক নাম। অর্থ হইল শান্তি। সালাম একটা ভেস্তখানার নামও হয়। তবে মাদ্রাসায় শান্তিও নাই, ভেস্তখানাও নাই। খালি আগুন। হলকায় হলকায় আগুন।
মাদ্রাসার বদ পুলারা অতি বেবাক কারনে আন্ধারে আমারে হেড-টুমটুম মাস্টার বলে সম্বোধন করে। আমাকে নিয়া গর্ধবরা একটি বিচিত্র ছড়াও বানিয়েছে,
“দেখ পাগলের তেজ,
খায় খাটাসের লেজ।
পড়িস না আজ ঘুমা,
পেটাইয়া করব ধুমা।’
‘স্যার কি ধ্যানে মইজা গেলেন? শুনতে পান?’
আমি বিরক্ত হয়ে জবাব দিলাম,
‘দেখুন, বারবার জিজ্ঞাসা করার দরকার নাই। আমি আপনার সব কথায় শুনছি। আপনি এই মাত্র একটা কবিতা বললেন। আপনার ছাত্ররা আপনাকে নিয়ে বানিয়েছে।
‘দেখ পাগলের তেজ,
খায় খাঁটাসের লেজ।
পড়িস না আজ ঘুমা,
পেটাইয়া করব ধুমা।’
ঠিক কি না?
‘অতি সত্য স্যার।’
‘অতি সত্য হলে ভালো। গল্প শুনে বারবার হু হু করা আমি একদম সহ্য করতে পারি না। আপনি টেনে যান।’
‘আচ্ছা স্যার। আমি একবারে টাইনা গেলাম। আমার গর্ধব ছাত্রদের কাব্য প্রতিভা আমাকে অতিশয় সন্তুষ্ঠ করেছে। খাটাসের লেজ কোন খাদ্য বস্তু নহে, তথাপি তারা এই বিচিত্র খাদ্যভাসের সাথে আমাকে জড়াইয়া দিয়েছে। আমি তেজী। পাগলাও। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল যদি ভর্তা-ডাল খায় তাহলে সংবিধানে তাকে পাগল বলবেই। স্যার ভর্তা আর ডাল সম্পর্কে কি কিঞ্চিত ধারনা আছে?
আমি বললাম,
‘না। যে সংবিধানে ডাল ভর্তা খাদককে ‘পাগলা’ বলে সেই ডাল-ভর্তা সম্পর্কে কিভাবে জানব?’
‘অতিশয় খাঁটি কথা স্যার। আপনে মাটির মানুষ। এই অতি কিঞ্চিত নোংরা জ্ঞান ধারন করে কেন নিজেকে ধুঁলায় মেশাবেন? ডাল হইল গিয়ে ফেন্সিডিল আর ভর্তা হল গাঞ্জা। স্ত্রী গাছের পুষ্প মঞ্জুরীরকে শুকাইয়ে বিশেষ এই ভর্তাটি তৈরি হয়। সিগারেটের তামাক ফেলে দিয়ে ভেতরে ভর্তা ঢুকিয়ে সুঁখটান দিলেই নেঁশা নেঁশা লাগে। পুষ্পমঞ্জুরীটিকে হাতের তালুতে ভর্তার মত পিষিয়া ফেলা হয়, তাই লোকে আদর করে কয় ভর্তা। প্রায়দিন ভর্তা খাই ভাইজান। স্বাদহারা হইলে মাঝে মইধ্যে ইঞ্জেকশান মারার অভ্যাসও আছে। মাঝে মাঝে নেঁশার চাপ বাইড়া গেলে রাত ভোঁর হয়ে যায়। বাড়ীতে বিবি একা। আমার বয়স চল্লিশ আর স্ত্রীর মাত্র পনের। আমার মনে খেদ নাই। রাসুল শিরোমনি অধিক বয়সে নয় বছরের আয়েশাকে বিবি বানিয়েছেন। আপনাদের দোয়ায় আমার বিবির নামও আয়েশা।
বিয়ের দুইমাস পরেই আমার বিবির গর্ভে বাচ্চা আসল। পরীর মতো রুপবতী আয়েশার দিলখোশ। সারাদিন শুধু পাগলীর মত নাচানাচি করে।
নাচানাচির সময় আবার গানও গায়। মাওলানা সাহেবের বউ গান গাবে তা সহ্য করা যায় না। আমি ধমক দিয়ে থামাইয়ে দেই। আমাকে দেখলে সে গান গাওয়া বন্ধ করে দিত। আমি ঘটনার সবিশেষ বুঝিলাম। এই গান না শুনলে আমি মইরা যাব। অতিগোপনে বাড়ী থেকে বেরিয়ে বেড়ার পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে তার গান শুনতাম। কি সুন্দর টিয়া পাখির মতন গলা। আয়েশা বিবি গাইত,
‘তুমি থাকো জ্বলে আর আমি থাকি স্থলে
তোমার আমার দেখা হইব মরনের কালে।’
একটা ধাঁধারে কেউ এমন সুন্দর করে গায়, আমি কল্পনাও করি নাই।
আমি ভাই নেশার মানুষ। দিনের আলোয় তার নাচানাচি দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। সারাদিন কুম্ভ কর্নের মতো ঘুম। মাদ্রাসার মুখদর্শন নাই। হাতে টেকা কড়িও নাই। নেশার পেছনে ধুমাইয়া উড়াইছি। বন্ধুদের নেশার টেকাও নিজে দিছি। নিকট ভবিষ্যতে গর্ভবতী বিবিকে কেমনে কি করব বুঝতে পারছি না। নেশার আসরে ভর্তা খাইয়াও নেশা হয় না। আমি পড়লাম মহা ঝামেলায়।
আমার নিজের বাপ-মায় নাই। বিবি বায়না ধরছে তারে বাপের বাড়ী রাখতে হবে। আমি জেদ ধইরা আছি। বাপের বড় পোলা তার বাপের বাড়ীতেই জন্মাবে। মাওলানার এক কথা।
বউ মন খারাপ কইরা সারাদিন সেই গান গায়। পেটে নাকি বড় ব্যাথা। একদিন ব্যাথা বাড়ল। ব্যাথা নিয়ে সারাদিন শুইয়া থাকল। চোখ মুখ নীল হইয়া আছে। মনে হয় গোমা সাপে কামড় দিছে। চাঁপা মাইয়া। রাগ কইরা কিছু কয় না। শেষ রাতে ব্যাথা আরো মারাত্মক। আমি পড়লাম মহা বিপদে। রাতে নেশা করি নাই। ঝিম ঝিম লাগতেছে। গায়ের চামড়ায় মনে হয় তেলাপোকায় ঘুরাঘুরি করে। কি যে করি!
অনেক কষ্টে বিবিরে একা একা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলাম। নার্সরা বউয়ের অবস্থা দেইখা টাসকি খাইল। নার্সদের সাথে সাথে কিঞ্চিত আমিও খাইলাম। মারাত্মক ব্যাথা নিয়াও বউ হাঁসাহাসি করে। জটিল বদ মাইয়া।
ডেলিভারীর জন্য ডাক্তার নাই। কোথা থেকে কে জানি আসল। বিশাল একটা ঔষুধের লিস্ট হাতে দিল। বিপদ শুধু উভয় পাশ দিয়াই না, মাঝে মাঝে মাটি ফুইড়াও আসে। কাছে একটা টাকাও নাই। মাথায় হাত দিয়া বইসা আছি। বউরেও কিছু কইতে লজ্জা সরম পাই।
ডেলিভারী রুমে ঢোকার আগে বউ আমারে কাছে ডাকল। মিটমিট করে হাঁইসা হাতের মাঝে একটা ছোট্ট কাপড়ের পোটলা দিয়া কয়,
‘যান কিছু খাইয়া আসেন। আপনের পেট তো পীঠের সাথে লাইগা গেছে। মেলা শ্রম গেছে আপনের উপর দিয়া।’
আমি নিজেরে ছোট্ট মানতে পারি নাই। গম্ভীর স্বরে কইলাম,
‘দানবীর সাজছ? হাজী মহাসীন? মাইয়া মানুষের ভাব দেখার জন্যে মাওলানার জন্ম হয় নাই। আল্লাহর কিরা, এই টাকায় খানা-খাদ্য আমার গলা দিয়া এক পাও নামবে না। তুমি শায়ার ভাজে কইরা নিয়া যাও। মাওলানার এক কথা।’
আমার স্ত্রী প্রচন্ড ব্যাথায় দাঁতে দাঁত চিবিয়ে হেসে কইল,
‘আপনের আল্লার কিরা লাগে, টাকা নিয়া যান। খাওনের পর বাকী টাকা দিয়া কিছু ওষুধ আনেন। সে লিস্টি দিছে সেটা আনার ব্যবস্থা করেন।’
বিবি আয়েশা আমারে জোর করে টাকার পুটলী দিয়া দিল। আমিও দাতে দাঁত চেপে বললাম,
‘আল্লার কিরা, মাওলানা এই টাকায় এক ছটাক খানাও পেটে নিবে না। সব টাকা দিয়া ওষুধ নিবে। মাওলানার এক কথা।’
আমি ভাইজান আবেগী মানুষ। আবেগ নিতে পারি নাই। স্ত্রীর সামনেই কাঁন্দন শুরু করলাম। স্ত্রী বিশাল কষ্ট করে স্ট্রেচার থেকে নেমে আইসা আমার চোখ মুইছা দেই। কি বদের বদ!
আমি টাকা নিয়া ছুটছি। ওষুধ কিনব। অভাগার দিন ভাই। ক্লিনিকের পাশেই ঝোপের মাঝে নেশার আড্ডাখানা। নেশা দেইখা আমার মাথা চাড়া দিয়া উঠল। চামড়ার নিচে মনে হয় তেলাপোকায় হাঁটাহাটি করছে। প্রচণ্ড ব্যাথায় উপায় নাই। চোখ মুখে আন্ধার দেখা শুরু করছি। নেশার আড্ডায় বসলাম। চামড়ার নিচের তেলাপোকা মারতে ইঞ্জেকশন মারলাম। তেলাপোকা মরল। অতি আনন্দে, পরম শান্তিতে আমি ঝোপের মাঝে শুইয়া গেলাম। ঘুম ভাঙ্গল পরের দিন ভাঁটিবেলায়।
এই পর্যন্ত ‘মারাত্মক একখান গল্প’ বলে থেমে গেল সম্রাট শাহজাহান। আমি নির্বিকার হয়ে আছি। আলাদা একটা সম্মোহন আমাকে আলোড়িত করছে। আমি নিজেও আজ তার অবস্থানে। আমার স্ত্রী মীরার পেটেও বাচ্চা এসেছে। এই মেয়েও মারাত্মক খুশী। আমি গল্প কথকের দিকে তাকালাম। আস্তে করে জানতে চাইলাম,
‘নাম কি আপনার?’
গল্প কথক হেসে বলল,
‘শাহজাহান। লোকে আমারে নবাব শাজাহান কয়।’
আমার কিছুটা চমকে গেলাম। আশ্চর্য! আমার চিন্তার সাথে কিভাবে মিলে গেল তার নাম। আমি বিষ্ময় লুকিয়ে রেখে বললাম,
‘ক্লিনিকে গিয়ে কি দেখলেন নবাব শাহজাহান সাহেব?’
সম্রাট শাহজাহান তার পা ঝাকানো বন্ধ করলেন। দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। মিহি স্বরে বললেন,
‘উপন্যাসের মত কাহিনী গো ভাই। ক্লিনিকের মেঝেতে মা-বাচ্চায় শুইয়া আছে। টানটান হইয়া।’
এই পর্যায়ে এসে আমি চঁমকে উঠলাম। গল্প কথক ‘মারাত্মক একখান গল্প’ সত্যই মারাত্মক। আমি মারাত্মক চাপ নিতে পারলাম না। মাওলানাকে বসিয়েই আমি ফিরে আসলাম শোবার ঘরে। টেবিল হাতড়ে খুঁজছি প্যারাসিটামল। মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা।
বসার ঘরে ফিরলাম। মাওলানাকে দেখলাম না। প্রত্যেকটা ঘরে আতিপাতি করলাম। কোথাও নাই। মীরাকে ডাকলাম। সে নিজেও বলতে পারছে না। আমি মাওলানা নবাব শাহজাহানের সাথে সাক্ষাতের প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে ঝিম মেরে বসে থাকলাম।
মীরা বঙ্গবন্ধুর মতো আঙ্গুল খাড়া করে ঘোষনা দিল, যে কোন উপায়ে এই লোকের সাথে দেখা করতে হবে। কোন কারন ছাড়া ‘মারাত্মক একখান গল্প’ বলে কেউ ভাগতে পারে না। সে অদ্ভুত একটা বিশ্বাস নিয়ে ভয়ে সিটিয়ে গেল। তার ধারনা আল্লাহ পাক আমাদের সন্তানকে নিরাপদে পৃথিবীতে আনার জন্য সম্রাট শাহজাহানকে পাঠিয়েছেন। সম্রাট শাহজাহান এসে সব সমস্যার সমাধান করে দিবেন।
আমি মীরাকে বোঝালাম। গর্ভে বাচ্চা আসলে মেয়েরা এমনিতেই সারাক্ষন ভয়ে থাকে। যা কিছু ঘটে, সব নিজেদের কেন্দ্র করে ঘটছে বলে, ভেবে বসে থাকে।
মীরা ছাড়ল না। কচ্ছপের মতো কামড়ে রইল।
দীর্ঘদিন মীরা এবং আমি সম্রাট শাহজাহানের খোজে রংপুরের আঁনাচে-কাঁনাচে ঘুরে বেড়ালাম। কেউ ‘নবাব শাহজাহান’কে চেনে না। জিজ্ঞাসা করলেই অদ্ভুতভাবে তাকায়। আমি লজ্জায় মরে যাই, মীরা আগ্রহ সহকারে খুজেই চলে।
৩
মীরা এবং আমি উত্তরা আজমপুর ওভারব্রীজের নিচে।
আমি গাড়ীর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি।
ওভারব্রীজের পুর্ব পিলারের কাছে একজন ভিক্ষুক বসে আছে। ভিক্ষার থালার দুই পাশে দুই পা ছড়িয়ে পিলারে হেলান দিয়েছে। গানের তালে তালে মাথা দোলাচ্ছে। মাথার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে তার পাও দুলছে। দেখে মনে হচ্ছে, তার পেশা ভিক্ষা নয়। অন্য কিছু। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, তার পাশে একটা হলুদ রঙের ছোট বাক্স। সূর্যের আলোতে স্বর্নখন্ডের মতো জ্বলজ্বল করছে। ছোট্ট বাক্সটাতে পান রাখতে ইচ্ছা করছে। মাঝে মাঝে বাক্স থেকে পান বের করে মুখে টুপ করে পুরে দিতে ইচ্ছা জাগছে। চিবিয়ে নয়, কঁচকঁচ করে ঘাসের মতো খেতে। পানের পিক আমার চিবুক গড়িয়ে পড়বে। সাদা শার্ট ভিজে লাল হয়ে যাবে।
আমি বিস্মিত হলাম। ভিক্ষুকটা কি আমার চেনাজানা? মীরা কি এর সাথেই দেখা করার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে?
গানের শব্দে আমি পিছনে তাকালাম।
আমরা ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ জ্যামে আটকে আছি। গাড়ীর এসি ফুল স্পীডে চলছে। আমার হাতে স্টিয়ারিং। প্রচন্ড গরমের মাঝেও হাত কাঁপছে। ঠকঠক করে।
পেছনের সিটে আমার স্ত্রী মীরা। প্রচণ্ড প্রসব বেদনায় নীল হয়ে আছে। জ্যামের জন্য এ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে নি। নিজের গাড়ীতেই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। ডেলিভারীর সময় পার হয়ে যাচ্ছে। গতকাল দিন থেকে সে মারাত্মক ব্যাথা চেপে বসে আছে। চাপা মেয়ে। আমাকে কিছুই বলে নি। অতি আশ্চর্যের কথা। ব্যাথায় নীল হয়েও সে কাঁদছে না। দাতে দাঁত চেপে কিন্নর কন্ঠে গাইছে,
‘‘তুমি থাকো জ্বলে আর আমি থাকি স্থলে
তোমার আমার দেখা হইব মরনের কালে।’
মীরার গলার এমন সুন্দর সুরে আমি চমকে উঠছি। গান শুনে মন ভালো হচ্ছে না। ভয় লাগছে। প্রবল ভয় লাগছে। নিকট ভবিষ্যতের ভীতিকর বিপদের কথা মনে করে দিচ্ছে। আমার বুকের মাঝে হলকায় হলকায় আগুন জ্বলে উঠছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা এমন কেন? কি প্রবল ব্যাথা অনায়াসেই চেপে রেখে আরেকজনে ব্যাথার মাঝে ফেলে দেয়।
বদ মাইয়া। কি বদের বদ!!
ফেসবুকে রাজীব হোসাইন সরকারঃ https://www.facebook.com/nillchokh