ডার্ক ম্যাটারে ভেসে ভেসে থাকা রহস্যগুলো বিবর্তিত মানুষের ধাবমান প্রসারিত মনের ভেতর এক একটা চরিত্র হয়ে, এক একটা গল্প হয়ে ইচ্ছার সাথে অনিচ্ছার প্রবল সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত মহাবিস্ফোরণ ঘটায়। অসীম সম্ভাব্যতা থেকে জন্ম নেয় ঘটনাবহুল একের পর এক দৃশ্যের। ডাস্টবিনে পাগলের সাথে কাক এবং কুকুরের সহাবস্থান। ড্রোন হামলায় নারী এবং শিশুর মৃত্যু। বার্গারে সুখের কামড়। প্রার্থনায় প্রলাপ বকা অভিশাপ। ঘটনা দেখতে দেখতে মানুষ ডুবে যায়! মানুষ সাঁতার কাটে!নিজের ভেতর জন্ম নেওয়া মহাকালে সময় নেই, সময়ের ঘড়ি আছে!-টিকটকটিকটকটিকটক।
নৈরাশ্যবাদী ডিলেমা থেকে বের হয়ে এবার এক নরম বিকালের দিকে যাওয়া যাক! বসন্ত বিকালে কাকেরা সেদিন একটানা কা কা করেই যাচ্ছিল। কিছুটা সময় নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে তাদের এই কা কা ডাক শুনলে মনে হবে যে কাকরা আসলে দল বেঁধে জিকির করছে। আসে পাশের বাসের শব্দ, মানুষের কথাবার্তা এসবের সাথে মিলিয়ে শুনলে হেভি মেটালের একটা স্বাদও পাওয়া যেতে পারে।সে স্বাদ উপভোগ করতে করতে ফুটপাতে বসে থাকা প্রেমিক প্রেমিকার চুম্বনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকা যায়! তাদের পারভার্ট বলে গালি দেওয়া যায়! অথবা নিজেই তাকিয়ে আছি বলে অন্য মানুষের মুখে পারভার্ট গালি শোনা যায়! অথবা সমাজকে তোয়াক্কা না করে এই প্রকাশ্য চুম্বনকে বিপ্লব ভেবে বিপ্লবের স্বাদও পাওয়া যায়! অথবা চা পান করতে করতে নীটশের সাথে কিছুক্ষন গল্প করা যায়!
নীটশের সাথে কিছুক্ষন গল্প করা খুবই বিপদজনক কাজ। একই সাথে সুপারম্যান, ব্যাটম্যান,স্পাইডারম্যান সবকিছু হওয়ার ইচ্ছাই জাগ্রত হতে পারে। আমি সব ইচ্ছাকে তুচ্ছ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। চোখ থেকে দৃষ্টি খসে গেলে সেখানে নক্ষত্রের জন্ম হয়। আবার মৃত্যু হয়। সেসব জন্ম মৃত্যুর আয়োজন দেখার মাঝেও একধরনের মজা আছে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬