১
অভিমানের ভীষণ ঘোরে-
বৃষ্টি নামে একপলকে, বাঁশির সুরে
সুখগুলো খুব দৃষ্টিউদাস-মাতাল মনে
ধ্যানমগ্ন বৃষ্টি ভোরে
সেই মায়াবী সময় স্রোতে
সেই আকাশের রঙিন ঘুড়ির-স্বপ্ন উড়ায়
কে দিল টান? কে দিল গান!
মোহের মত ঘর সংসার, পাহাড় চুড়ায়!
স্বর্ণালী সেই আলোকছটায়
বৃষ্টি ছিল পাতায় পাতায়......
অশ্রুজলে ভাসলে তুমি,একটু খানি ভেলার মত
কে দিল সব ভাসিয়ে তোমার,অনেকখানি দুঃখের ক্ষত!
কে দিল সব দুঃখ রটায়
একজীবনের বিষাদ খাতায়!
থাক পড়ে থাক দুঃখ যত।
শঙ্খ বাজে মেঘের মত-
এক ফালি চাঁদ, দূর নীলিমায়
হৃদমাঝারে সুখের ব্রত-
একটুখানি কাছাকাছি, দূর অজানায়।
স্বর্ণালী রোদ বিষাদ ভোরে
তোমার গোপন স্বপ্নস্বাদে
সেও ছিল তোমার ঘোরে
ভালোবাসার মরণ ফাঁদে।
এক বর্ষার বন্য সাঁঝে
চোখ নামিয়ে, চেয়েছিলে তাহার পানে!
ডুবেছিলে, ভেসেইছিলে, তাহার মাঝে
নিমগ্ন খুব, দুই হৃদয়ের স্বপ্ন বানে-
তারপর-ঝড়ের মত প্রলয় এলো
পুড়িয়ে দিল, উড়িয়ে দিল বিষণ্ণ এক বিষাদ সুরে
চোখ মুছে তাই দৃষ্টি মেলো
খুব গোপনে, দুঃখগুলো সুখের মত ভেঙ্গেচুরে!
বসন্তদিন ফুরিয়ে গেল
একটুখানি বন জোছনায়, পাখির গানে
তোমার গোপন দুঃখ মাঝে
এক বিষাদের বন্য সাঁঝে
কি দেখে আজ চেয়েছিলে,দুঃখ পানে!
২
জানো কি তুমি?
তোমার হৃদয়ের খুব কাছে
যেখানে স্পর্শ করলে পুড়ে যায় সুখ
ঠিক সেখানটাতেই ব্যর্থ প্রেমিকের
মত নতজানু হয়ে আছে ভালোবাসার অসুখ।
তুমি বসে আছো-
মোহের আগুনচোখে, বিষাদ মূর্ছনায়
একটু ছুঁয়ে দিবে বলে, ভীষণ প্রলয় নাচে
মেঘ সব জল হয়ে বৃষ্টির মত ঝরে যায়
অন্য কোথাও, অন্য কোন হৃদয়ের তরে।
জানো কি তুমি?
সেও বসে আছে একা-অনিঃশেষ
যাকে দিয়েছিলে ভালোবাসার মুহূর্ত বিশেষ!
বৃষ্টির দিন। ঝড়ের দিন। রোমান্সের দিন। তবুও এইসব দিনে কোথাও রক্ত ঝরে। কোথাও ফসলের মাঠে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ডুবে যায়। হাহাকারের জন্ম হয়। অনেক কিছু পাওয়ার পরে একটুখানি না পাওয়ার হাহাকার না। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আঘাতের পর আঘাত সহ্য করতে না পারার হাহাকার। যাইহোক আমি আরামপ্রিয় মানুষ। কয়েকদিন ঘরে বসে এসব নিয়ে বেশ কুমিরের মায়ের পুত্রশোক দেখিয়েছি। ভাবলাম কিছুক্ষনের জন্য রোম্যান্টিক ইউটোপিয়ান জগতে ভ্রমন করে আসি। সামুতে অনেকদিন কোন পোস্ট দেওয়া হয়না। কবিতা লিখতে বসেছিলাম। একটা শব্দও লিখতে পারিনি। তাই নিজের আগের লেখা রোম্যান্টিক কবিতা পোস্টে গেলাম। সেখানে দেখলাম ব্লগার শায়মা আপুর কবিতার পাল্টা জবাব দিয়ে বেশ কিছু কবিতা লেখা আছে। কবিতাগুলো পড়ে দেখলাম আলাদা হলেও একটা হারমনি আছে কবিতাগুলোর থিমে। অর্থাৎ একটার সাথে আরেকটা সম্পর্কযুক্ত। তাই সেসব নিয়েই এই কবিতা। কবিতা পোস্ট দেওয়া হয়ে গেল। আর এই সব কবিতার জন্ম শায়মা আপুর কবিতার জবাব দিতে গিয়েই হয়েছে। তাই আপুর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১২