"টিভি সিরিয়ালে আজকাল আমরা সমাজের খারাপ দিকটা দেখিয়ে দেই। অথচ আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকাল ভালো জিনিস লোকে খুব কম গ্রহণ করে। খারাপ জিনিসটা অনেক তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে। তাই চেষ্টা করতে হবে খারাপ জিনিসটা না দেখানোর"। - বলেছেন মমতা বন্দোপধ্যায়।
যেমন দেখানো হচ্ছে, একজন আরেকজনকে বিষ খাইয়ে দিচ্ছে। শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যে রোজকার ঝামেলা। যত খারাপ খারাপ জিনিস যারা জানে না তাদেরও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ালের মধ্যমে। এর ফলে সমাজে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে।
একজন মুখ্যমন্ত্রী তার নিজের দেশের টিভি সিরিয়ালের ভয়াবহতা বুঝতে পারলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা বুঝেন না। সবকিছুতেই ইন্ডিয়ান প্রীতি উনাদের অভ্যাস। ভীনদেশী চ্যানেলের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বাংলাদেশে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় এবং অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে, শিশু, কিশোরদের মধ্যে। ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়াল শিশুদের মনে ভয়ভীতি, অনৈতিকতা, কুসংস্কার, অন্ধকারাচ্ছন্নতা, মিথ্যাবাদীতা, অসম্মানবোধ ও পৌত্তলিকতার জন্ম দিচ্ছে। অথচ শিশুরা হচ্ছে একটি বীজের মত। বীজ যেমন নির্ধারণ করে গাছ কি হবে এবং তার ফুল ও ফল কি হতে পারে। তেমনি সংস্কৃতি ও সভ্যতা থেকে নির্ধারণ করা যাবে, শিশু কেমন হবে এবং তার থেকে কি আশা করা যাবে।
সাহিত্য, সংস্কৃতি, নাটক, কাহিনীর সাথে একটি জাতির ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতা অনুমান করা যায়। একটি জাতির সভ্যতা সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার ও বৈশিষ্ট্য তাদের সাহিত্য ও নাটকের মাধ্যমে ফুটে ওঠে এবং সহজেই মানুষকে প্রভাবিত করে। আমরা চাই বাঙালী জাতিকে সকল প্রকার অপসংস্কৃতি, ভোগবাদীতা, কুসংস্কার, চরিত্রহীনতা, লাম্পট্যতা ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্ত করতে। চাই চরিত্রবান, নিষ্ঠাবান, দেশ প্রেমিক, সাহসী জাতিতে পরিণত করতে।
তাই অবিলম্বে সরকারীভাবে ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালসহ অশ্লীল ও অনৈতিক চিত্র প্রদর্শনকারী সকল টিভি অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১২