“দীর্ঘ যাত্রা শেষে প্রেমিক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে আনন্দ- উৎসব তার কাছে হালকা মনে হচ্ছে। প্রেমিকা উদাসীন হয়ে হাসছে, অথচ তার প্রেমিক তার প্রেমিকার বিরহে ক্রন্দন করছে”।
“হাজারো ফুল ফোটে জীবনের মালঞ্চে, হৃদয়ের চোখে তবু তৃষ্ণা, শুধু একটি ফুলেরই জন্য”।
কিছু কিছু মানুষের জন্য পৃথিবীতে চিরদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। জীবনের বাস্তবতায় দূরে থাকলে প্রিয়জনদের প্রতি ভালবাসার গভীরতা পরিমাপ করা যায়। আগে ভাবতাম আমাকে কেউ ভালবাসে না। কিছুদিন দূরে থাকার পর খোঁজ নিয়ে দেখি অনেকেই আমাকে হন্য হয়ে খুঁজেছেন। আমাকে অনেক মায়া করেছেন। বন্ধু-স্বজনদের বাইরেও অনেকে খুজেছেন। বিপরীত লিঙ্গের যারা খুজেছেন, তাদের মধ্যে আমি যাকে খুঁজছি তাকে পাইনি। হাল ছেড়ে দেইনি, তৃষ্ণার্ত চোখে খুঁজে চলেছি। হয়তো সেও আমাকে খুঁজছে। তবু নিজের অস্তিত্ব নিয়ে হাজারো কৌতুহল! আমি কে? মানুষ কেন আমাকে মায়া করে? আবার নিন্দুকেরা কেনই বা আমাকে নিন্দা করে আমি কি সত্যিই খুব খারাপ?
অতঃপর আমি কে? তার জবাব আমার বোধগম্য হয়েছে- আমি হলাম স্রষ্টার সৃষ্টি! বিশেষ উদ্দেশ্যে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি স্রষ্টার অস্তিত্বকে উড্ডীন করতে এসেছি। স্রষ্টার আইনকে সমুন্নত করতে এসেছি। আমার চেহারা, আমার দেহবায়ব আমার পরিচয় নয়। আমার কর্মই আমার পরিচয়। আমার কর্মের কারণেই লোকে আমাকে ভালবাসে অথবা ঘৃণা করে। অতএব আমি আমার চেহারা বা দৈহিক গঠন নিয়ে মোটেও আনন্দিত বা দুঃখিত নই। কেউ আমাকে ভালবাসুক বা না বাসুক আমি আমার নীতির উপর অটল। যারা লোভী, স্বার্থান্বেষী, হিংসুক, আত্মকেন্দ্রীক, স্রষ্টাবিমুখ তাদের কখনো সমীহ করি না।
(দীর্ঘদীন না লেখায় লেখনীতে মরীচা পড়েছে। ধার দেওয়ার চেষ্টা.......)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫