Hamaster kombat নামে একটা টেলিগ্রাম মাইনিং প্রজেক্ট ২৬ তারিখ উইথড্র হবে।
এটা মূলত একটা ব্লকচেইন ক্রিপ্টোকারেন্সী। টেলিগ্রামে এইরকম কয়েক শত প্রজেক্ট চলমান থাকে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা Tap sawp, Blum, memefi, yescoin ইত্যাদি।
টেলিগ্রামের বেশিরভাগই ফেইক অথবা স্কাম হতো। তবে সাম্প্রতিক NOT coin সবাইকে পেমেন্ট দেয়। যারফলে টেলিগ্রাম প্রজেক্ট গুলো জনপ্রিয়তা পায়। বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ প্লাস মানুষ Hamaster kombat প্রজেক্টে কাজ করেছে। বলতে পারেন এটাও একধরনের আউটসোর্সিং।
ব্লকচেইন ক্রিপ্টোকারেন্সী নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে যদি বলি— সবাই এটাকে বিটকয়েন নামে চিনে। কিন্তু পৃথিবীতে ২০ হাজার + ক্রিপ্টোকারেন্সী আছে তারমধ্যে একটা হলো বিটকয়েন। প্রতিদিন ১০০ এর উপর নতুন কয়েন মার্কেটে যুক্ত হয়।
এবার আসি এই কয়েন কিভাবে টাকা দেয়?
উত্তর হলো- এই সব কয়েনই হলো ভার্চুয়াল। এগুলোর ফিয়াট মুদ্রার মতো কোন কয়েন নেই। ফিয়াট মুদ্রা মানে নরমাল দেশী টাকা। আমাদের যেমন ৫ টাকা, ২ টাকার কয়েন আছে। তো এসব কয়েন আবার একটা মার্কেট প্লাটফর্মে বিক্রি হয়। যাকে বলা হয় এক্সচেঞ্জ। প্রতি সেকেন্ডই সকল কয়েনের দাম উঠা নামা করে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এক্সচেঞ্জ হলো বাইন্যান্স।
বাইন্যান্সের মালিক বর্তমানে পৃথিবীর টপ ২০ ধনীর একজন। মার্কেট গবেষকরা বলেছেন আগামী ২০ বছরে পৃথিবীর সবাই বাইন্যান্স একাউন্ট করে ফেলবে। এটার কিছু সুবিধা আছে, যেমন- পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে সেকেন্ডের মধ্যেই টাকা পাঠাতে পারেন। আবার ট্রেড করতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৪ লক্ষ মানুষ ট্রেড করে আয় করছে। এছাড়াও বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে আছে। আবার চাইলে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে পারেন। বিনামূল্যে লটারিতে অংশ গ্রহন করতে পারেন৷ টাকা ডিপোজিট করে রাখতে পারেন৷ এখানে বাৎসরিক ২০০/৩০০% পর্যন্ত ইন্টারেস্ট দেয়। আগে অনেকে আউটসোর্সিং করে দেশে টাকা আনতে হয়রানির শিকার হতো, কিন্তু বাইন্যান্সের মাধ্যমে সহজেই দেশে টাকা আনা যায়। আবার ১ মিনিটের মধ্যেই বিকাশে/ব্যাংকে টাকা বের করা যায়। আপনি যদি কোন প্রকার আউটসোর্সিং করেন বাইন্যান্স একাউন্ট আপনার লাগবেই।
এক্সচেঞ্জ তথা বাইন্যান্সের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এটা দিয়ে ডার্ক ওয়েব কাজ করা যায়, কোন কারনে অজ্ঞাত কেউ টাকা দাবী করলে, আপনি যে টাকা দিয়েছেন সেটার কোন ক্লু পাবেন না। সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো টাকা পাচার। আপনি যদি দুর্নীতি করে আয় করা ১০০ বিলিয়ন টাকাও এখানে ভরে রাখেন পৃথিবীর কোন গোয়েন্দাও বের করতে পারবে না। যারা দুর্নীতি করে ব্যাংকে টাকা রাখে বা আত্মীয় স্বজনের নামে রাখে, দেখা যাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা বের করে ফেলে। কিন্তু বাইন্যান্সে টাকা রাখলে ধরার কোন উপায় নাই।
পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি কয়েন হলো- বিটকয়েন, ইথারিয়াম, বিএনবি, ইউএসডিটি, শিবা ইনু, সোলেনা, ডগি ইত্যাদি।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধনী ব্যাক্তি বিটকয়েনের মালিক সাতোশি নাকামতো। আজ পর্যন্ত এই লোক প্রকাশ্যে আসে নাই। যারফলে ওনার অর্থ বিত্ত নিয়ে কেউ তেমন আলোচনার সুযোগ পান না। ফলে ওনাকে বাদ দিয়েই ধনীর তালিকা করা হয়। এই বছর একটা বিটকয়েন দাম প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ছিলো। বর্তমানে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা চলতেছে।
আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সী দুইভাবে ফেতে পারেন- প্রথমত ক্রয় করে দ্বিতীয়ত মাইনিং করে। মাইনিং আবার কয়েক ধরনের হয়।
যেমন বিটকয়েন মাইনিং করতে হয় কম্পিউটার টাইপের মতো কিছু ক্যালকুলেশন হার্ডওয়্যার দিয়ে। তবে এরপর ইংল্যান্ডের Stanford University এর দুইজন প্রফেসর Android মোবাইলে মাইনিং সিস্টেম নিয়ে আসে। ওনাদের প্রজেক্টের নাম হলো Pi network.
বর্তমানে পৃথিবীতে ৮০ মিলিয়ন মানুষ মোবাইলে Pi network মাইনিং করছে। বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ Pi network এ একাউন্ট করেছেন। আরেক ধরনের মাইনিং হলো টেলিগ্রামের মাধ্যমে মাইনিং করা। তবে সাধারণ মাইনিং থেকে টেলিগ্রাম প্রজেক্টগুলো একটু ভিন্ন।
মোবাইল মাইনিং আবার দুইভাবে হয়- পেইড মাইনিং আরেকটা হলো ফ্রী মাইনিং।
বাংলাদেশে আমরা সবাই ফ্রী মাইনিং করি।
এই ব্যবস্থায় কাজ করেও দেশের রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব। মাইনিং করে প্রাপ্ত টাকা দেশের বাহিরে P2P তে বিক্রি করে দেশে ডলার আনলে রেমিট্যান্স আসবে। যদি দেশের ভিতরই P2P ক্রয় বিক্রয় করেন তবে এতে কর্মসংস্থান হবে তবে রেমিট্যান্স আসবে না।
আপনি বাইন্যান্স একাউন্ট করতে চাইলে নিচের লিংক থেকে করতে পারেন। যার জন্য আপনার NID card এবং ফেস ভেরিফিকেশন লাগবে
Binance:
https://accounts.binance.com/en/register?ref=164296254
এছাড়াও বিস্তারিত কোন তথ্যের দরকার হলে আমার টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হতে পারেন, হেল্প করবো। https://t.me/cryptoguidedhaka
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৯