আমি ছুটছি জলপাই রঙের অন্ধকারের ভেতর দিয়ে
পামির, সাহারা, আমাজান। অত:পর-
অবচেতনে এসে থামলাম
শিলঙের ছোট্ট সবুজ টিলায়।
যেখানে হাত দিলেই ছোয়া যেত শাদা মেঘের ভেলা
যেখানে অমিত কাকতালীয়ভাবে পেয়েছিল তার লাবণ্যকে
সেই পাহাড়টি আজ কেমন যেন রুক্ষ।
সবুজ ঘাস, গাছ-গাছালি আজ আর সবুজ নেই
দূরসীমায় চোখে পড়ে কিছু রক্তিম কাশবন
কতগুলো শকুন ছিড়ে খাচ্ছে একটি মেষশাবক
পেচার ডাক, বেগুনী আকাশে উড়ন্ত চিল সবকিছুই আছে।
আর অমিতের সেই জীপগাড়ি?
সেটি ভেদ করে জন্মেছে কিছু বিষাক্ত ক্যাকটাস।
যে ডাকপিয়ন বিশ্বনাথ নিত্য আনত নানান বণের্র চিঠি
তার কাছে আজ কিছু ছেড়া নীল খাম
হাতের লণ্ঠনটি ছড়াচ্ছে ঘুটঘুটে অন্ধকার
কাছে ভিরতেই অজানা আওয়াজে থামিয়ে বলল,
এখন আর শিলঙে বসন্ত আসেনা
পদ্ম, জবা, লালগোলাপ ফোটেনা
বুলবুলি, হলদে টিয়া, ময়নারা
অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে শিলঙ থেকে।
এখন শিলঙ মানেই-
পেচা, শকুন, উড়ন্ত চিল, বেগুনী আকাশ, রক্তিম কাশবন
আর কিছু ছেড়া নীল খাম।
বিশ্বনাথের কথায় আমি বিষ্মিত হইনা
এমন শিলঙ এখন আর আমায় হতাশ করেনা
আমি আবারো ছুটি-
জলপাই রঙের অন্ধকার ভেদ করে
নতুন কোনো শিলঙের সন্ধানে।