১. ধূসর মরূতে নীল চাদরে ঢাকা আমার স্বপ্ন। আকাশ এখন আমি দেখিনা। দেখতে পাইনা। ভাদ্রপূর্ণিমায় তালডিঙিতে বসে যেদিন আকাশ দেখেছিলাম, সেদিনই আমি আকাশ দেখার দৃষ্টি হারিয়েছি। অতিক্রম করেছি, সকল ভাদ্রপূর্ণিমা, একমুঠো স্বপ্ন, শখের তালডিঙি। আর হারিয়েছি আমার জোনাক। শাদা ধবধবে জোনাক। স্বপ্নপুরীর জোনাক।
২. তুই কেন আমায় আকাশ দেখালি, জোনাক? আমি যে বড়ই অপয়া। জানিস? তুই যেদিন আমায় আকাশ দেখালি সেদিন ঠিক মাথার ওপরে পূর্ণিমা চাদ ছিল। এরপর আর কেউ নাকি কখনও পূর্ণ চাদ দেখেনি। আর তোর মত যত জোনাক, ওগুলো তোর সাথেই পাড়ি দিয়েছে অন্য সৌরকেন্দ্রে। হয়তো আমায় দেখবে না বলেই। আমি যে বড়ই অপয়া, জোনাক। বড়ই অপয়া।
৩.জোনাক, জানিস? কাল ছিল আমার চন্দ্রগ্রহণ। অষ্টপ্রহরের বিলে গেলাম। ফণী মনষার কাছ থেকে মুক্তো এনে তোকে বিন্দিয়া পড়পলাম। তারপর। তারপর সিথিতে সিদুর পড়াতে গিয়েই জ্বলে উঠলো চিতা। পশ্চিম আকাশের লাল সিদুর ঘিরে ফেলল আমায়। আমি আর পারিনা। আর পারিনা , জোনাক। আমার রাত্রি বুঝি নিভে গেল অকালেই। চিরকালের জন্য।
৪. তুই কেন আমায় জ্বালিয়ে রাখলি, আমার জোনাক? তুই জানিস না তোর জ্বালানো চিতায়ও আমাতে গোলাপ ফোটে? এভাবে আর কত গোলাপ আমি বইব, আমার নক্ষত্রবিথী?
৫. আমার অবুঝ জোনাক। সফেদ বসনে আমিতো বেশ ভালোই আছি। জলপাই রঙের চিতা। লেবু পাতার নি:শ্বাস। চন্দন কাঠের গন্ধে আমি মুখরিত। তবে আমার অন্তিম ইচ্ছে, আমি গঙ্গা সম্প্রদানে যাব। তুই কি আসবি আমার গঙ্গা সম্প্রদানে? আলতা, সিদুর, লাল বেনারশী পড়ে গঙ্গায় আসলে কি তোর জাত যাবে, জোনাক?