ভেবে বলে আপন মন,
পরবাসে আর কতক্ষণ।
ফিরে চল আপন দেশে,
করো কিছু নিজ বেশে।
শুনেছি এক আজব বই,
রাখছে হিসেব পই পই।
সকাল – সন্ধ্যা, রাত দুপুরে
স্নানাহার থেকে প্রেম পাঁজরে।
পাচ্ছে ধোঁকা, হচ্ছে শিকার,
চাকরিও পাচ্ছে কতক বেকার।
প্রতিভাদের খুব সমাহার, আবার
প্রতিবাদেরও এক সরোবর।
পত্রিকা কেউ পড়েনা আজ,
খোলে না সাহিত্যে পরা ভাজ,
বিশ্বকোষে আজ উই ধরেছে,
গ্রন্থাগারে তাই তালা পরেছে।
এই বইয়ে মুখ দেখাযায়,
নতুন – পুরাণ সব দেখায়।
হারিয়ে যাওয়া শৈশব সাথি,
ফিরে পাওয়া যায় সারথি।
রানার গেছে অবসরে ভাই,
ই-মেইল বাক্সেও বার্তা নাই,
ক্ষুদে বার্তায় মজেছে সব।
ভিডিও বার্তায় করে কলরব।
ব্যবসা, চাকরি কিংবা উদ্বোধনি,
দূর প্রবাসীর বিয়েও শুনি,
দেখা সাক্ষাতের নেই বালাই,
ভিডিও কলে হচ্ছে সবই।
ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট গুলি সব,
আজকাল দেখি যাচ্ছে নিরব।
ফেসবুকেই জোড়া হচ্ছে দেদার,
ঘটক খুলেছে নতুন কারবার।
বড়কর্তা থেকে শিক্ষাগুরু, শ্রমিক
কিষাণ থেকে ছেলে – বুড়ো,
সকলেই নাকি পড়ছে অবার
বইয়ের খেতাব হয়েছে বেস্টসেলার।
মজার কথা শুনলাম তাই,
বইয়ের নাকি দীক্ষা নাই।
যে যার মত শিখছে শুনি,
মূর্খ হোক বা জ্ঞানী গুণী।
বিপর্যয় ঘটছে হর হামেশা,
অপ্রয়োগের এক নগ্ন তামাশা।
বলি যাচ্ছে চালাক – সরল,
রেহাই পাইনি দুর্বল – সবল।
তালপাতার সেপাই আমি এবার,
দায় নিব সবে শিক্ষা দেবার।
জরুরি এই বইখানা যেন,
করেনা কেউ হেন তেন।।