আপনি প্রাইভেট সেক্টরে জব করবেন??
অফিস শুরুর নির্ধারিত সময় থাকবে, কিন্তু শেষ করার সময়টা শুধু কাগজে পত্রেই থাকবে।
বাস্তবে নির্ধারিত সময়ে কোন দিনিই অফিস শেষ করতে পারবেন না।
কাজের শুরু থাকবে, কিন্তু শেষ থাকবে না।
কাজ আপনা-আপনি জন্ম নিবে
আপনি দুই মিনিট দেরী করে অফিসে গেলে মাস শেষে সেটার জন্য জবাব দিহিতা করতে হতে পারে আপনাকে, কিন্তু প্রতিদিন যে অতিরিক্ত কাজ করবেন তার জন্য মাসের শেষে কোন লিখিত বা বাহবা কিছুই পাবেন না।
কারন ঐ টা আপনারই কাজ ছিল।
প্রতিষ্ঠান যদি একবার বুঝতে পারে যে চাকুরীটা আপনার খুব প্রয়োজন, চাকুরী চলে গেলে আপনি বিপদে।
তাহলে কাম সেরেছে,
যত রকমের কাজ করানো যায় আপনাকে দিয়ে, যত প্রেসার ক্রিয়েট করা যায়না তার চেয়েও বেশি প্রেসার ক্রিয়েট করবে আপনার উপর।
কারন আপনি চাকুরী ছাড়বেন না।চাকুরীটা আপনার প্রয়োজন যত কষ্টই হোক আপনার।।
আপনার উপর ভর করে প্রতিষ্টান ফুলে কলা গাছ হবে, আর কাজ করতে করতে আপনি শুকিয়ে হয়ে যাবেন তাল-পাতার সেপাই।
তার পরও মানুষগুলো দিনরাত খেটে চলেছে প্রাইভেট সেক্টরে।
জীবন,যৌবন সব দিয়ে দিচ্ছে শুধু বাড়িতে পরিবার নামক একটা কিছু আছে বলে।
শত কষ্ট সহ্য করে নিচ্ছে কারন,বাড়িতে মা,বাবা চেয়ে আছে মাসের ২৮ তারিখের দিকে।
খেয়ে না খেয়ে কাজ করে যাচ্ছে ছেলে- মেয়েকে ভাল কোথাও লেখাপড়া করাবে বলে।
মাস শেষে স্কুলের বেতন, প্রাইভেট টিউটরের বেতন, আরোও কত চাহিদা
কিন্তু কাজ করা লোকগুলোর কোন চাহিদা নেই।
কাজ করছেতো করেই যাচ্ছে কারন,
দু বেলা পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতে হবে যে ।
এদের কোন ট্রায়ার্ডনেস থাকতে নেই, খারাপ থাকতে নেই, মুখে কৃত্রিম হাসি সেট করে নিত হয় চাকুরি টিকিয়ে রাখতে।
এরা আসলে এক একজন অনেক বড় অভিনেতা।
তাইতো বলি,
শত চাপের মধ্যে অভিনয় করে ফোনের ওপাশে ভাল আছি বলা লোকগুলোর জয় হোক।
জয় হোক মেহনতি মানুষের, ভাগ্যের পরিবর্তন হোক প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করা প্রতিটা মানুষের।
স্বপ্ন হোক সার্থক উনাদের।
শ্রদ্ধা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬