somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেরে যাবার ভয়ই জিততে দেয় না আমাদের।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে যে গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, গল্পটা দুইটা ছোট বাচ্চাকে নিয়ে। একজনের বয়স ১০ বছর, আরেক জনের বয়স ৬ বছর। তারা একই গ্রামে বসবাস করত। তারা দুইজন খুবই ভালো বন্ধু ছিল।তারা একসাথে খেলত,একসাথে স্কুলে যেত,একসাথে ঘুরত, সবকিছুই প্রায় একসাথে করত।
জানে জিগর বন্ধুর মত।
একদিন তারা খেলতে খেলতে নিজের গ্রাম ছেড়ে একটু দূরে চলে গেল।
তাদের মধ্যে ১০ বছর বয়সের বড় বাচ্চাটা হঠাৎ করে কুয়ার মধ্যে পড়ে গেল।
বাচ্চাটা সাঁতার জানতো না,সে ভয়ে খুব জোরে জোরে চিৎকার করতে শুরু করল।
কিন্তু তাদের আশে-পাশে চক্ষুসীমানার ভিতর কেউ ছিল না যে তাদের সাহয্য করবে।
৬ বছর বয়সের যে বাচ্চাটা কুয়ার উপরে ছিল,হঠাৎ করে তার চোখ পড়ল একটা বালতির উপর।
বালতির সাথে ছিড় দড়ি বাঁধা।
সে ১ সেকেন্ডও দেরী না করে বালতিটা কুয়ার ভেতরে ছুড়েদিল এবং কুয়ার ভিতরের বন্ধু বালতিতে ধরে ঝুলে পড়ল।
৬ বছরের বাচ্চা ছেলেটা রশি ধরে অনবরত টানতে থাকল।
টানতেই থাকল তার পুরো শক্তি দিয়ে।
ততক্ষণ থামলো না যতক্ষন পর্যন্ত সে তার বয়সে বড় বন্ধুকে বাহিরে বের করতে পারল।
বন্ধুকে বের করেই থামল।
ইউ কেন ইমাজিন, ৬ বছর বয়সের একটা বাচ্চা তার থেকে বড় একটা বাচ্চাকে কুয়ার ভিতর থেকে টেনে তুলেছে।
এতক্ষন সবকিছুই বোধগম্য ছিল,সব ইনটেনশন ক্লিয়ার ছিল।
তারা যখন গ্রামে ফিরল তারা তাদের পরিবারকে,গ্রামের লোকদের সাথে এসব ঘটনা শেয়ার করল,কিন্তু কেউ বিশ্বাস করছিল না তাদের।
কেনই বা বিশ্বাস করবে আমি আপনি হলেও করতাম না,বিশ্বাস না করাটাই স্বাভাবিক।
গ্রামের লোকরাও ঠিকই ছিল,তাদের ধারনা ছিল এই ৬ বছর বয়সের বাচ্চা যার পানি ভরা বালতিটা তুলার সামর্থ্য নেই,সে কি করে ১০ বছরের বাচ্চাকে কুয়া থেকে টেনে উঠাতে পারে??
ঐ গ্রামেই রহিম চাচা নামের একজন লোক ছিলেন, উনি গ্রামের মান্য ও জ্ঞানী লোকদের মধ্যে একজন।
উনি বাচ্চাদের কথা বিশ্বাস করেছিলেন।
গ্রামের সবাই ভাবল রহিম চাচাতো কখনও মিথ্যা বলেন না,উনি যেহেতু বিশ্বাস করেছেন তাহলে কিছু হয়তো হয়েছে,কিছু ঘটেছে।
কোন না কোন কারন আছে যার কারনে রহিম চাচা এটা বিশ্বাস করেছেন এবং মেনে নিয়েছেন।
পুরো গ্রামের লোকেরা একত্রিত হয়ে রহিম চাচার নিকট গেল,
উনারা রহিম চাচাকে বলল দেখেন আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না, এটা কি করে সম্ভব?
এখন আপনিই আমাদের বুঝিয়ে দিন।
রহিম চাচা উত্তরে বললেন, আমি আর কি বলব, বাচ্চাটাতো বলছেই যে তার বন্ধু কুয়াতে পড়ে গিয়েছিল, সে বালতি কুয়ায় ফেলল,তার বন্ধু শক্ত করে বালতিটা দরে রাখল,ছোট বাচ্চাটা দড়ি ধরে টানকে টানতে তার বন্ধুকে উপরে তুলল এবং বন্ধুকে বাঁচাল।সিম্পল।
বাচ্চারা তো আপনাদের বলেছেই কি হয়েছে আমি আর নতুন করেরে কি বলব?
সবাই হা করেরে বাচ্চাগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল।
কিছুক্ষন পর রহিম চাচা বলে উঠলেন, "প্রশ্ন এটা নয় যে
এত ছোট বাচ্চা এই কাজ কি করে করতে পারল,
প্রশ্ন হচ্ছে এটা যে বাচ্চাটা এই কাজটা কেন করতে পারল"।
বাচ্চা ছেলেটার ভিতর এত শক্তি কোথা থেকে আসল?
এটার একমাত্র একটাই উত্তর আছে,একমাত্র উত্তর।
"যেই সময় বাচ্চাটা এই কাজটা করছে তখন তার চারপাশে দূর দূর পর্যন্ত এমন কোন লোক ছিল না,যে বাচ্চাটাকে স্মরন করিয়ে দিবে যে তুমি এটা করতে পারবেনা।
তুমি পারবে না।
কেউ ছিল না,কেউ না।
এমন কি সে নিজেও না।
তাই সে করতে পেরেছিল।
আর আমরা কিছু করতরতে গেলে আগেই অনেকে বলবে আরে এই কাজ তোমাকে দিয়ে হবে না।
এই কথা না বলে, একটু ইনসপায়ারেশন দিয়ে বলার কেউ নেই যে কর তুমি পারবে।
তা না করে কাজ করার আগেই হারিয়ে রেখে দিবে।
আর আমরা নিজেও কোন কাজ করার আগে শতবার ভাবি, আমি এটা করতে পারবো তো?? যদি না পারি?
আরে একবার পারব না এই কথাটা মনে না করে কাজটা করেই দেখেন না।
কাজ করার আগেই হারার ভয় কেন???
কেন???
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমানকে সম্পৃক্ত করার নেপথ্যে  

লিখেছেন এম টি উল্লাহ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮


আগেই বলেছি ওয়ান ইলেভেনের সরকার এবং আওয়ামীলীগের যবনায় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পৌনে একশ মামলা হলেও মূলত অভিযোগ দুইটি। প্রথমত, ওই সময়ে এই প্রজন্মের নিকট উপস্থাপন করা হয়েছিল দেশনায়ক তারেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পকে নিয়ে ব্লগারদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



**** এডমিন টিমের ব্লগারেরা আমাকে বরাবরের মতোই টার্গেট করে চলেছে, এভাবেই সামু চলবে। ****

ট্রাম্পের বিজয়ে ইউরোপের লোকজন আমেরিকানদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী শংকিত; ট্রাম্প কিভাবে আচরণ করবে ইউরোপিয়ানরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতি এবং বাংলাদেশ প্রসংগ

লিখেছেন সরলপাঠ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশে বা দেশের বাহিরে যে সব বাংলাদশীরা উল্লাস করছেন বা কমলার হেরে যাওয়াতে যারা মিম বানাচ্ছেন, তারাই বিগত দিনের বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টের সহযোগী। তারা আশায় আছেন ট্রাম্প তাদের ফ্যাসিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠেলার নাম বাবাজী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩১

এক গ্রামীণ কৃষক জমিদার বাড়িতে খাজনা দিতে যাবে। লোকটি ছিলো ঠোটকাটা যখন তখন বেফাস কথা বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করে ক্যাচাল বাধিয়ে ফেলতে সে ছিলো মহাউস্তাদ। এ জন্য তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×