শরীর
মোঃ রাজিব হোসেন পানি
ছায়ার ভিতর থেকে তোমার আবিষ্কার কোনো একাকিত্ব বদ্ধঘরে,
কোনো নোংরা ডাস্টবিন কিংবা দামি ফাইভস্টার হোটেলে,
যৌবন,,,সে যে শরীর চাই,শরীর,,,একটা পূর্নাঙ্গ শরীর,
হোক সেটা শারীর আড়ালে কিংবা মনের দেয়ালের।
তিলে তিলে নিস্তেজ হওয়া বুনো বিড়াল কিংবা বন শালিক,
তার ও যৌবন আছে,,,,
আমি কবি আমারও আছে।
আছে পুরুষত্ব, আছে কামনার স্বাধনা,
নিজেকে লুকিয়ে আর কত ছুটে চলা ?
চারিদিকে শুধু ছুটে চলা, অবিরাম ছুটে চলা,,,
একটি পূর্নাঙ্গ শরীরের সন্ধানে।
শরীর থেকে মন সে কি আলাদা?
নাকি একি দেহে দুটি সত্ত্বা?
মেঘ আর বৃষ্টির মত,,,
যদিও একই তবুও ভিন্ন।
শরীরের উষ্ণতায় মনের হিমশীতল আবেগি ভালোবাসা
তোমার ভিতর আমায় রেখে ছোট থেকে বড় হওয়া,
আমায় বুঝতে শিখায় আমি বড় হচ্ছি,
নিরবে, একাকিত্বে, কোনো বদ্ধ ঘরে,
বর্ষা মুখর সন্ধায় অথবা জোসনা রাতে,
তোমার বুকের উষ্ণ গরমে আমার বেড়ে উঠা।
ঐ ঠোঁটের চাষাবাদ হবার জন্য অনন্তকাল ধরে যেনো অপেক্ষমান আরেকটি কোনো ঠোঁট,
এ যেনো শরীরের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য আবেগ আরেক খন্ড ভালোবাসা।
এ শরীরের চাহিদা আমি বুঝি না
কখনো লাবন্যকে চাই কখনো তার শরীর অথবা বক্ষ পিষ্টে লেগে থাকা দু খন্ড মাংস পিন্ড।
আমি লজ্জিত, আমি কুন্ঠিত, আমি ভীতু,
লাবন্য আমায় ক্ষমা করো, আজ এই মন,
মনের বসত বাড়িতে গিয়ে মন নই, শরীর খোঁজে শুধুই শরীর।
লাবন্যের কাছে মুষ্টিবদ্ধ আমার ২১ বছরের পূর্ণাঙ্গ শরীর,
আজ পূর্ণতায় পরিপক্ব।
এ যেনো আমার শরীরের এক ভয়ংকর সৌন্দর্য,,,
আমি ক্লান্ত, আমি লজ্জিত, আমি ভীতু লাবন্যের উষ্ণ নিঃশ্বাসে।
আমার শরীরকে সে আপন করে,
জানিনা কোন বিশ্বাসে কোন আশ্বাসে।
আমি শরীরের আরেক সুন্দর্য্য দেখেছি,,,
থর থর কুচকানো ৮০ বছরের কোনো বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার।
জরসর শীতে, রাস্তার পাশে,ফুটপাতে,
গ্রামের আধচালা ভাঙ্গা গৃহে,,,
একখন্ড পাতলা চাদরে মুড়িয়ে পরে থাকে হাজারো শরীর।
সেখানেও যৌবন ছিলো, যৌবন আছে তবে তা আবেগ ভালোবাসার না,সংগ্রাম করে টিকে থাকার।
কত শরীর মাটি চাপায় পরে আছে,
কত শরীর চিতায় ঝলসে গেছে,
কত শরীর কফিনে হয়েছে বন্দী,
কত শরীর অন্যায়ের সাথে কখনো করেনি সন্ধি।
এ শরীর যেনো সে শরীর হয়ে কতই করেছে দম্ব ,,
আজ তা মাটিতে মিশে গলে পচে হয়েছে দুর্গন্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৬