১। আমাদের দেশের মানুষজন রসিকতা করতে খুব পছন্দ করে।
রসিকতা করার সুযোগ পেলে সেই সুযোগ কাজে লাগানোটা যেন দায়িত্ব। আজ নাকি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮০ লাখ টাকা টোল জমা হয়েছে। টাকার অংকটা মন্দ নয়। গড়ে যদি প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকাও হয়, তাহলে মাসে কত? যাইহোক, প্রধানমন্ত্রী নিজেও টোল দিয়েছেন। পদ্মাসেতুর প্রথম টোল শেখ হাসিনাই দিয়েছেন। আমাদের দেশের মানুষ টোল দিতে চায় না। নানান রকম পরিচয় দেয়। বলে, এটা সরকারী গাড়ি, এটা ছাত্রলীগের বাইক। এটা মিডিয়ার গাড়ি। সামান্য ক'টা টাকার জন্য অমুক অমুকের পরিচয় দিতে লজ্জাও তো লাগার কথা।
২। আজ একজন পদ্মাসেতুতে প্রস্বাব করে দিয়েছে।
এটা নিয়ে ফেসবুকে খুব হই চই। বাঙ্গালী তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হইচই করতে পছন্দ করে। শুনেছি যে ছেলে প্রস্বাব করেছে তাকে পুলিশ খুঁজছে। আমার ধারনা, ছেলেটা বাইক এ করে যাচ্ছিলো। তার সিস পেয়েছে। সে বাইক থেকে নেমে সিস করেছে। তখন আরেকজন তার ছবি পেছন থেকে তুলে নেয়। এবং ছবিটা স্যোসাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেয়। অতি সামান্য বিষয়। হাউকাউ করার কিছু নেই। তবে ছেলেটা সেতু তেঁ প্রস্বাব করা ভুল হয়েছে। এখন যদি ছেলেটার বাথরুম পেতো তাহলে কি সে সেতুতে পায়খানা করে দিতো?
৩। এক ছেলে পদ্মাসেতুর দুটা স্ক্রুপ খুলে ফেলেছে।
সে বলছে, পদ্মাসেতু তেঁ এমন স্ক্রুপ লাগিয়েছে যে হাত দিয়ে খোলা যায়। জনগনের টাকার অপচয় হয়েছে। ইত্যাদি ইত্যাদি। ছেলেটার ভিডিও ভাইরাল হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ ছেলেটাকেও গ্রেফতার করে। আমার ধারনা, ছেলেটা মিথ্যা বলেছে। কারন ছেলেটার বাইক আছে। বাইক এর স্ক্রুপ খোলার যন্ত্র দিয়ে সে সেতুর স্ক্রুপ খুলেছে। ছেলেটা হয়তো ক্ষমা চাইবে এবং ক্ষমা পেয়ে যাবে। তবে ছেলেটার এই কাজ করা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে।
৪। পদ্মা সেতুর প্রথম লেডি বাইকার রুবায়াত রুবা।
রুবা একজন ইউটুবার। তিনি বলেছেন, ''লিখে দিয়েছে ৮০ কিলোমিটার। আমি আইন মান্য করে বাইক চালিয়ে এসেছি। সবাইকেই একই অনুরোধ করবো''। রুবা অনেকে খুশি। দেশের মানুষরাও অনেক খুশি। সাংবাদিকরা নিউজ করতে পেরে খুশি। বহুলোক সেই নিউজ পড়ে খুশি। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতুর কারনে দেশের মানুষ খুশি। এদিকে সিলেটের বন্যার খবর চাপা পড়ে গেছে। একজন কে দেখলাম, ফেসবুকে লিখেছে, পদ্মাসেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলে ভাইরাল হওয়া যাবে অতি সহজেই।
ছব্বিঃ গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:০৫