somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি বিরল ছবি (ছবি ব্লগ)

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৯৭১। মমতাময়ী মায়ের ছবি। সহজ সরল বাংলা মায়ের ছবি।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধ তাই আমাদের জাতীয় জীবনে এক অহংকার, গৌরবের এক মহান বিজয়গাথা। পুল, কালভার্ট ভেঙ্গে দেয়। যোগাযোগের সময় রাস্তা কেটে দিয়ে রাস্তার উপর বড় বড় গাছ ফেলে ব্যারিকেড রচনা করেন। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালানো হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক হয়। আর কিছুদিন পর, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। যাই হোক, এবার ছবি দেখুন। ছবি গুলো সংগ্রহ করা। যুদ্ধের সময় আমার জন্ম হয়নি। যুদ্ধের সময় আমি থাকলে, অবশ্যই আমি যুদ্ধ করতাম। এবং ফাঁকে ফাঁকে ছবিও তুলতাম।

১।


যুদ্ধের একটা স্বাভাবিক নিয়ম হলো উভয় পক্ষের যুদ্ধাদের দায়িত্ব হচ্ছে, নারী শিশু এবং বৃদ্ধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বেসামরিক মানুষদের উপর হামলা না করা। ফসল এবং গাছপালা নষ্ট না করা। কিন্তু ৭১ যুদ্ধে পাক হানাদারেরা এ সব নিয়মের কোন একটা কি রক্ষা করতে পেরেছিলো?

২।

ঐ সময়ে কত না কষ্ট করতে হয়েছে বাঙালির।

৩।

এই ছবিটা দেখার পরে আমার চোখে পানি এসেছে। তাদের এই কষ্ট কোনোদিন ভুলবো না আমরা।

৪।

সেই সব দিন ছিলো- অনেক কষ্টের।

৫।


সাধীনতার প্রথম শহর প্রানের যশোর। এটা সম্ভবতঃ হাট বড়বাজার বা আশেপাশে।

৬।

ছবিতে সম্ভবত ভারতীয় সেনারা- বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পনের পরে ধরা পরা রাজাকারদের রোদের মধ্যে এইরকম শাস্তি দেয়ার সময় এই ছবি তোলা হয়। কোনটা সত্য আমি জানি না।

৭।

যুদ্ধের সময় কি জীবন মানুষের গেছে!

৮।


কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করছেন।

৯।


তোমাদের নরম হাতে শক্ত করে অস্ত্র ধরে ছিলে বলেই আজ বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমি বাঙালি। তোমাদের এই ঋণ শোধ হবে না। তোমাদের এই অবদান কোটি বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে- হে সূর্য সন্তানরা তোমাদের জানাই লাল সালাম।

১০।

এই ছবিটা কোঠাকার তা আমি জানতে পারি নি।

১১।

কেউ কেউ বলেন, এই ছবি ১৮ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালের ঢাকা স্টেডিয়ামের, বসে থাকা এদেরকে কাদের সিদ্দিকী হত্যা করেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন, ১৮ অথবা ১৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ আউটার স্টেডিয়ামের একটা বাঙ্কারে এদের মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল।

১২।

এ বয়সের মুক্তিযোদ্ধাই ছিলো বেশি। সাধীনতা যুদ্ধে বীর বাঙ্গালীর বিজয় উৎসব। জয় বাংলা।

১৩।

বাংলার দামাল ছেলেরা তোমারাই বীর শ্রেষ্ঠ । তোমারা অমর হয়ে আছ। তোমাদের সালাম।

১৪।

দেখুন পাক হানাদার বাহিনী কিভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন করেছিল।

১৫।

চিড়াগুড়/খিচুড়ি নিতে অভুক্ত শরনার্থী লোকেরা।

১৬।

ঘর বাড়ি ছেড়ে- বেঁচে থাকার জন্য, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

১৭।

দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে।

১৮।

মা আর ছেলের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে- তারা কতটা ভয় পেয়েছেন।

১৯।

জন্মভূমি ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

২০।

মুহূর্তটা ভাবতে গা শিহরে উঠে!

২১।

হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল। সম্ভবত উনি একজন ফোটোগ্রাফার।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮



ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে।যারা এখনো শুনেন নাই তাদের জন্য লিংক দিয়ে দিচ্ছি শুনেন ,কসম খোদার বেপক বিনোদন পাবেন।আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় অফিসে টোকাইরা হাগু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×