somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ nnএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

অদ্ভুতত্ব.....

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক চললে বা অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে সমাজের অধিকাংশ মানুষ অসন্তুষ্ট হয়। অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে স্বার্থান্বেষী মহলের লাগে, স্বার্থান্বেষী মহল এতোটাই প্রভাবশালী হয় যে, অধিকাংশ মানুষই তাদেরকে সমীহ করে চলে। ফলে অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষটি সমীহ করে চলা মানুষের কাছেও অপ্রিয় হয়ে পড়ে। প্রভাবশালীদের প্রতি তোষণনীতি সমাজে গভীরভাবে চলমান। তাই নিয়মের কথা বললেই বা অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই তার অবস্থা বেগতিক করে দেয়। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও বিপদ।

★ আজকাল মানসিক বিকারগস্ত কুৎসিত, বদ চরিত্রের লোকগুলো অল্পদিনেই বিখ্যাত হয়ে যায়, তবে নামগুলো ভয়ে বলতে পারছি না।

★ এই পোড়া চোখে ঘুম নেই। তারপরও যেটুকু ঘুম হয় তার সবটুকুই বিভৎস দুঃস্বপ্ন! ভাগ্যিস, স্বপ্ন দেখতে টিকেট কাটা লাগেনা!! টিকেট কেটে স্বপ্ন দেখতে হলে ঠ্যালার ফকির হয়ে যাওয়া লাগতো!

★ যে মেয়েটা সবচেয়ে দ্রুত ও নিঁখুত ইন্টিগ্রেশন করতো, আজ যে শুধুই গৃহবধূ। ক্যালকুলাস আর তাঁর জীবনে নেই, সে এখন ঘোর সংসারী।

★ যে ছেলেটা অরগ্যানিক কেমিস্ট্রি সবচেয়ে ভালো বুঝতো, ফুল মার্কস পেত, আজ সে সেলসে ম্যানের চাকরি করে। বেঞ্জিন তাঁর জীবনে আর নেই। সকাল থেকে রাত অব্দি তাঁর টার্গেট শুধু ক্লায়েন্ট।

★ ক্লাসের যে মেয়েটা সবচেয়ে সো-কলড খারাপ ছিল, এখন সে প্যারিস থেকে স্টেটাস দেয়, স্বামী বড় কোন একটা কোম্পানিতে চাকরি করে।

★ আর যে ছেলেটা ক্লাসে পড়া পারতো না, পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়তো, কোনোরকমে পাশ করতো, আজ সে মস্ত বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দলের বড়ো নেতা, দিন শেষে লাখ লাখ টাকা ইনকাম!

হ্যাঁ, এগুলো একটাও বানানো গল্প নয়, একেবারে চোখে দেখা সত্যি। আসলে বহুক্ষেত্রেই পড়াশোনার সাথে কর্মজীবনের সম্পর্ক মারাত্মক রকম ব্যস্তানুপাতিক। অবশ্যই পড়াশোনা জীবনে প্রয়োজন, খুব প্রয়োজন। কিন্তু ওটাই সব নয়। সময় বহুকিছু ওলটপালট করে দেয়- জীবন বড়ো অদ্ভুত!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×