১। ফেসবুক, ব্লগে ঝড় তুললেও আমাদের সকলের ভেতরে রয়েছে একজন আবরার হয়ে যাবার ভয়!
২। বুয়েট নিয়ে তো বটেই তামাম বাংলা মুল্লুক নিয়ে ফ্যান্টাসি থাকলে আখেরে চরম হতাশ হবেন।সকাল সন্ধ্যে ওযূ করে হামদে হাসিনা পাঠ ছাড়া বেঁচে থাকা দুষ্কর।
৩। তোমরা জেনে রাখো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভিসি মেরুদন্ডহীন প্রাণি। এদের জাদুঘরে রাখার ব্যবস্থা করো দ্রুত।
৪। বিশ্বজিৎ থেকে আবরার আর কত নৃশংসতা দেখালে সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দেয়া হবে??
৫। এই খুনীগুলোর পারিবারিক পরিচয় জানতে ইচ্ছে হচ্ছে । কেউ দয়া করে বলবেন না পরিবারের কি দোষ? আমি মনে করি পরিবারও কোন না কোনভাবে দায়ী।
৬। বিশ্বজিৎ, সাগর-রুনি, তনু, ত্বকী, একরাম এবং আরো অনেক হত্যাকাণ্ডের বিচার না-হওয়ার ফলেই আবরারকে মেরে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
৭। রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু বা নিলয়ের জন্য আপনাদের শোক আবরারের মতো ছিল না, কারণ ওদের 'ভিন্নমত' আপনাদের অনুকূলে ছিল না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাউল স্যারকে কুপিয়ে হত্যার পর জানা গেল, তিনি সেতার বাজাতেন। ওই সব হত্যাকাণ্ডে আপনাদের নীরবতা মৌলবাদী চাপাতির কোপকে সামাজিক বৈধতা দিয়েছিল। ওই সব হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করলে হয়তো আবরারকে এভাবে মরতে হতো না। আর আজ যারা আবরারকে ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী আন্দোলন বা ইসলামি আন্দোলনের শহীদ বানানোর ষড়যন্ত্র করছে, তারাও খুনিদের চেয়ে কম নয়। আপনাদের এই কূটনা রাজনীতির কারণেই শিবির সন্দেহে মেধাবীদের মরতে হয়।
৮। বছর কয়েক আগে এসএম হলে লুঙ্গি চুরির সন্দেহে এক জনকে পিটিয়ে, বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যার পর মামলা হয়েছিল? বিচার তো পরে।
৯। যে দেশে ছাত্র,শিক্ষক,আইনজীবি ও সাংবাদিকরা রাজনীতি করে।সে দেশে প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা ভালো থাকে না।আবরারের বাবার মত আরো অনেক বাবারা সন্তান হারানোর কান্নাও এর আগে জাতি দেখেছে সামনে আরো অনেক দেখবেন।যখন আপনাদের ঘরে এই রকম কান্নার বন্যা বইবে তখন বুঝবেন সন্তান খুন হওয়ার বেদনা কত ।জাতির বিবেক ছাত্র,শিক্ষক,আইনজীবি ও সাংবাদিক আপনারা জাতির বিবেক হয়ে দাড়ান।দয়া করে আপনারা দেশের স্বার্থে রাজনীতি করবেন।বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিত।
১০। মাননীয় ক্ষমতাবান প্ৰশাসন রাজনৈতিক খেলা না খেলে হত্যাকান্ডের বিচার করুন ৷ যার যায় সে জানে তার কোথায় রক্তক্ষরণ হয় ৷ ভেবে দেখুন ছেলেটি আপনারও হতে পারত ! তখন কি হত ?
১১। আহমদ ছফা অনেক আগেই 'গাভী বৃত্তান্ত' নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের দশা বুঝতে হলে বইটি পড়তে পারেন। বুয়েটের ভিসি'র বিচি নাই তাই ছাত্র হত্যার পরেও দেখতে আসেনি! ছাত্ররা আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভিসি'র জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে। দেখা যাক বিচি খুঁজতে খুঁজতে ভিসি সাহেব কী করেন!
১২। বেশ কয়েকজন মেধাবী মিলে একজন মেধাবীকে মেরে ফেলেছে। সুতরাং শুধু মেধাবী হলেই সকলে মানুষ হয় না। আমাদের ভালো মানুষ দরকার, ভালো মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯