কিছু কিছু নারী আছে তাদের মন-মানসিকতা বিষাক্ত
তাদের পুরো শরীর বিষে ভরা, এমনকি তাদের
শ্বাস প্রশ্বাসের সময়ও যেন বিষ ছড়াতে থাকে
এমনই এক বিষাক্ত নারীর রোষানলে পড়লাম
সুযোগ পেলেই সে আমাকে ছোবল দিতে চায়।
'আমার এ-পথ চলাতেই আনন্দ'র মতোন, তার
ছোবল দেওয়াতেই আনন্দ।
এই বিষাক্ত নারী আমার চাকরি খেলো
অবাক আমি, বিস্মিত আমি! অবহেলিত আমি!
এই বিষাক্ত নারী, মানে বুড়ি মাগীর এত ধার? এত তেজ?
অফিসে জয়েন করার দুই মাসের মাথায়- বুড়ি মাগী আমার সর্বনাশ করে দিল।
বুড়ি মাগীকে খালা না ডেকে নরম সুরে আপি আপি ডাকতাম।
বুড়ি মাগীকে সাপোর্ট দিয়েছে কাজু মিয়া
এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন- আপনি তাদের কি ক্ষতি করেছেন?
ক্ষতি কিছু করিনি ভাই। কাজু মিয়াকে বলেছি- তুই ছিলি ফকিন্নির পুত
এখন দুইদিন ধরে স্মার্ট ফোন কিনে নিজেকে স্মার্ট মনে করিস!
আর বুড়ি মাগীকে বলেছিলাম, বয়স লুকানো যায় না আপি।
এই ছিল মোর অপরাধ। তাদের মধ্যে ছিল প্রচন্ড হিংসা।
নানান ঘটনাকে সাতপাকে ফেললো, আমি পড়লাম কঠিন প্যাঁচে
কাজু মিয়া আর বুড়ি মাগী দু'জন মিলে চাকরি খেয়েছে আমার।
অবশ্য বুড়ি মাগী আগেই বলেছিল আমাকে- শিক্ষা দিয়ে ছেড়ে দিব।
বেশ শিক্ষা হয়েছে আমার- এখন আমি বেশ কষ্টে আছি- বউ বাচ্চা নিয়ে।
তাতে বুড়ি মাগী আর কাজু মিয়ার কি লাভ হলো?
(ব্লগার 'স্রাঞ্জি সে' আমাকে বলেছেন একটা কবিতা লিখতে। কবিতা লিখতে আমি পারি না। কবিতা যেমন লিখতে পারি না। অন্য কিছুও লিখতে পারি না। তবু হাবিজাবি লিখে চলেছি নিয়মিত। লিখে কি যে তৃপ্তি পাই- তা বলে বুঝাতে পারবো না। এই কবিতা লিখতে গিয়ে ভাবলাম- মিথ্যামিথ্যি বানিয়ে লেখার কি দরকার? একটা সত্য কবিতা লিখি। লিখে ফেললাম। তবে আমি বুড়ি মাগী আর কাজু মিয়াকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তাদের জ্ঞান কম, অভাবী মানুষ। অন্যের ভালো দেখতে পারেন না। তারা যদি ভালো পরিবারে বড় হতো, ভালো শিক্ষা পেত- তাহলে তাদের মন-মানসিকতা অনেক উন্নত হতো। এই সমাজ তাদের সংকীর্ন করে রেখেছে।
সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। জয় বাংলা।)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩