somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ইংরেজি সাহিত্যে যে ১০০ টি বই আপনাকে পড়তেই হবে (ছয়)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৫১। 'উদারিং হাইটস' লেখক- এমিলি ব্রন্টি। এমিলি জেন ব্রন্টি ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও কবি। তাঁর একমাত্র উপন্যাস উদারিং হাইটস-এর জন্যই তিনি সর্বাধিক পরিচিত। এই বইটিকে এখন ইংরেজি সাহিত্যে একটি ধ্রুপদি রচনা মনে করা হয়। তিনি ব্রন্টি ভাইবোনেদের মধ্যে তৃতীয়। তিনি এলিস বেল ছদ্মনামে লিখতেন।

৫২। 'ইভ গ্রিন' লেখক- সুজান ফ্লেচার। সুজান ফ্লেচারের জন্ম ১৯৭৯ সালে বার্মিংহামে। পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়াতে। প্রথম উপন্যাস হিসেবে তাঁর এই ‘ইভ গ্রীন’ ২০০৪ সালে হুইটব্রেড ফার্স্ট নভেল পুরস্কার পায়। ২০০৫ সালে পায় বেটি ট্রাস্ক পুরস্কার এবং দ্য অথার্স ক্লাব বেস্ট ফার্স্ট নভেল পুরস্কার। ইভ গ্রীন উপন্যাসটি ইভাঞ্জেলিনের জবানিতে দুইভাবে লেখা, একজন আট বছরের ইভ, আরেকজন পুর্নগর্ভা ইভ, বারেবারে তাদের জগৎ একাকার হয়ে যেতে থাকে, অথচ যেন একটি অশ্রুর পর্দা দিয়ে দুটি জগৎ পৃথক করে রাখা। দুই জগৎই অজানা বিষাদ-প্রিয়, হারাবার শোক-অনুতাপ-গোপন গ্লানিতে টনটনে।

৫৩। 'দ্য লিটল মারমেইড' লেখক- হান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন। সাগরসম্রাট বাবা, দিদিমা ও পাঁচ বোনের সঙ্গে সমুদ্রের তলদেশে ছোট্ট মৎস্যকন্যার বসবাস। সেখানকার নিয়ম হলো, ১৫ বছর বয়স হলেই কেবল মেয়েরা সাগরে ভেসে উঠতে পারে, পৃষ্ঠদেশে সাঁতার কাটতে পারে, পৃথিবীর আলো-বাতাস ও সৌন্দর্য দেখতে পারে। মৎস্যকন্যার তখনো ১৫ হয়নি। বড় আপুরা যখন সাগরে সাঁতার কেটে ফিরে আসে, পৃথিবী ও মানুষের গল্প বলে, মৎস্যকন্যা মনপ্রাণ দিয়ে শোনে আর অস্থির হয়ে প্রতীক্ষা করে, কখন তার পালা আসবে।
মৎস্যকন্যা ১৫ ছুঁতেই লেজ দুলিয়ে নিপুণ সাঁতারুর মতো সমুদ্রপৃষ্ঠ চষে বেড়াচ্ছে—দূরের জাহাজে সুদর্শন রাজপুত্রকে দেখে তার প্রেমে আকুল হয়ে পড়ল। এমন সময় এক ভয়াবহ ঝড় যখন জাহাজটিকে আছড়ে ফেলে ডুবিয়ে দিল, মৎস্যকন্যা মৃত্যুর মুখ থেকে ডুবন্ত অজ্ঞান রাজপুত্রকে উদ্ধার করে দূরের একটি মন্দির-সংলগ্ন সৈকতে সযত্নে রেখে এল। মন্দিরের এক সুন্দরী তরুণী তার সেবার দায়িত্ব নিল। কিন্তু প্রকৃত উদ্ধারকারী মৎস্যকন্যাকে তার দেখা হলো না। এরপর নানান বেদনার কাহিনি।
বাংলা ভাষায় অ্যান্ডারসনের অনেক গল্প অনুদিত হয়েছে। তার জীবনী ও তাকে চরিত্র করে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

৫৪। 'স্পার্টাকাস' লেখক- হাওয়ার্ড ফাস্ট। বইটির কাহিনী শুরু হয় প্রমোদ ভ্রমনে বার হওয়া কয়েকজন তরুণ-তরুনী এর একটি দলকে দেখাবার মাধ্যমে। এরপরে একে একে উঠে আসতে থাকে বিভিন্ন চরিত্র, যারা সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দাস বিদ্রোহ দমনে জড়িত ছিলেন।
বইটি কেবল স্পা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্টাকাস এর গল্প নয়। এটা একই সাথে ক্রাতাস অথবা ক্রিকতাস এরও গল্প, যারা ছিল স্পা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্টাকাস এর সহযোদ্ধা, অকুতোভয়, দুদ্ধ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ষ যোদ্ধা। দাস বিদ্রোহে যাদের অবদান স্পা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্টাকাস এর পরেই। আসে ভেরোনিকার কথা, স্পা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্টাকাস এর জীবনসঙ্গীনি, তার ভালবাসার অশ্রয়স্থল।
কেন জন্ম হল স্প‌‌‌‌‌‌‌‌‌ার্টাকাস এর? কেন যুগে যুগে স্প‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্টাকাস এর জন্ম হয়ে আসছে দেশে দেশে? এরই একটা উত্তর খোজার চেষ্টা করেছেন লেখক।

৫৫। 'ট্রাভেল অব ইবনে বতুতা' লেখক- এইচ এ আর গিব। যিনি সারা বিশ্বে ইবনে বতুতা নামে পরিচিত তার আসল নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ। জন্ম তাঞ্জিয়া। ধর্মপ্রান , সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন ইবনে বতুতা। তিনি নিজে একজন ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন এবং কেবল মাত্র ধর্ম পালন ও তার চেয়ে যারা এ বিষয়ে জ্ঞানী তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি বেশি শেখার জন্যেই তিনি ঘর ছেড়েছিলেন। হজে যাওয়া ও জ্ঞান অরজন করা , এছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য ছিলনা তার। তিনি যে হজ যাত্রী দলে ছিলেন তার লোক সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর কারন মধ্য যুগে এর ব্যবসায়ীদের আফ্রিকা থেকে এশিয়া ও ভারত মহা সাগর হয়ে চলাচলের যে রুট ছিল তার পুরোটাই ছিল মুসলমানদের নিয়ন্ত্রনে। হজযাত্রা করার আগে সিরিয়ার মধ্যে দিয়ে এশিয়া মাইনরের সীমান্ত পর্যন্ত যান। সেখান থেকে দামাস্কাস ফিরে কফেলায় যোগ দেন। প্রথম হজযাত্রা শেষ করে ইরাক সফর করতে চল্লেন তিনি।

৫৬। 'পিয়ানো টিচার' লেখক- এলফ্রিডে ইয়েলিনেক। এলফ্রিডে ইয়েলিনেকের সাহিত্য জগতে প্রবেশ কবিতার মধ্য দিয়ে। ১৯৬৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লিজাস শাটেন’ প্রকাশিত হয় । অনুবাদের কাজও করেছেন প্রচুর। তার প্রথম উপন্যাস ‘ভিয়ার জিন্ড লক ফোয়েগেল’ ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়। তার সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী উপন্যাস ‘ডি ক্লাভিয়ার স্পিলারিন’ (দ্য পিয়ানো টিচার) ।ঔপন্যাসিক এলফ্রিডে ইয়েলিনেক একই সঙ্গে নাট্যকার, কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ।

৫৭। 'এনিমেল ফার্ম' লেখক- জর্জ অরওয়েল। জর্জ অরওয়েলের সবচে বিখ্যাত দুটি উপন্যাস হল অ্যানিমেল ফার্ম (১৯৪৫) ও নাইনটিন এইটি ফোর (১৯৪৯)। সাদা কথায় উপন্যাসটি পশুপাখিকে কেন্দ্র করে। তাহলে উপন্যাসটি বাচ্চাদের জন্য? আদতে তা নয়। এ ধরনের উপন্যাসকে বলে রূপকধর্মী। প্রতীকের মাধ্যমে এখানে বলা হয় অন্য গল্প। অ্যানিমেল ফার্ম হল রূপকধর্মী একটি ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস। স্ট্যালিনের সময়কার সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া এর পটভূমি।

৫৮। 'আমেরিকানা' লেখক- সিমামান্দা নাগোজি অ্যাডিচি। আমেরিকানা সিমামান্দা নাগোজি অ্যাডিচির তৃতীয় উপন্যাস। উপন্যাসে অ্যাডিচি নামের তরুণ নাইজেরীয় ইমিগ্র্যান্টের চোখ দিয়ে আমেরিকার বর্ণ-সম্পর্ক দেখিয়েছেন। লেখক উপন্যাসের প্লট তৈরি করেছেন কমেডি এবং ট্র্যাজেডির সমন্বয়ে। একটি চুল পরিচর্যার স্যালুনের অফিস-পলিটিক্স থেকে শুরু করে স্মৃতির বোঝা, কিছুই তুচ্ছ করে দেখেননি লেখক। আমরা যে বিভিন্ন পৃথিবীতে এবং সত্তায় বাস করি — বাস্তবে ও অনলাইনে, ভালোবাসার ক্ষেত্রে, ইতিহাসের নিয়ামক এবং ইতিহাসের নিয়ন্ত্রিত মানুষ হিসাবে এবং আমাদের গল্পের নায়কেরা যেমন হয় সবকিছুর সাথে ভালোভাবে তাল মিলিয়েছেন অ্যাডিচি।

৫৯। 'দ্য ফ্লেমথ্রোয়ারস' লেখক- রাচেল কুশনার। কুশনারের এই উপন্যাসে র‍্যাডিকাল পলিটিকস, আঁভাগার্দ আর্ট, মোটরসাইকেল রেসিংয়ের মধ্যে মিশে থাকে জীবনের সব আনন্দ। ফ্লেমথ্রোয়ারে ১৯৭০-এর দশকের ঘটনা বর্ণনা করেছেন লেখক। উপন্যাসে একটি মেয়ে আর্টিস্ট হওয়ার জন্য নিউইয়র্কে আসে। ওই সময়ে ইতালিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এমন একটি প্রতিবাদ-আন্দোলনে শেষ মুহূর্তে জড়িয়ে যায় সে। এটা কুশনারের দ্বিতীয় উপন্যাস। এই উপন্যাসে কুশনার এক ধরনের বিদ্রূপাত্মক দৃষ্টি দিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তীক্ষ্ণ বাক্য ব্যবহার করেছেন। উপন্যাসটিতে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে আনুষ্ঠানিক সামাজিক শক্তির সামনে ব্যক্তি তুচ্ছ হয়ে যায়।

৬০। 'দ্য গোল্ডফিঞ্চ' লেখক- ডোনা টার্ট। এটা টার্টের তৃতীয় উপন্যাস। তাঁর প্রথম দুটি উপন্যাস ছিলদ্য সিক্রেট হিস্টোরি এবং দ্য লিটল ফ্রেন্ড। দ্য গোল্ডেনফিঞ্চে থিও ডেকারের গল্প বলা হয়েছে। থিও ডেকার একটি সন্ত্রাসী বোমা হামলায় বেঁচে যায় এবং তার মাকে হারায়। কিন্তু একটি পুরষ্কারপ্রাপ্ত ডাচ পেইন্টিং তার অধিকারে থাকে। ডিকেন্সের সেরা কাজগুলির মত এই উপন্যাসে প্রচুর ঘটনা এবং প্রচুর বাস্তবের মত চরিত্র আছে। এই উপন্যাসের মূল বক্তব্য একটা জায়গায় স্থির, আর্ট মানুষকে তার থেকে বড় বানিয়ে যা কিছুই আসুক তা থেকে রক্ষা করতে পারে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×