প্রথমেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন এর নিকট সাভার এ নিহত সকল মানুষের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন আপনি তাদের সকলকে জান্নাত নসীব করুন এবং শোক গ্রস্ত মানুষদের শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দান করুন-আমীন।
সাভার ট্রাজেডির পর আমাদের সামনে অনেক বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে এবং সময় এসেছে হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে কাজে নেমে পরার।আমি গুছিয়ে লিখতে পারি না তারপরেও কিছু বিষয় সকলের দৃষ্টিতে আনার জন্যই শোকের সহিত লিখতে বসলাম।
গতকাল যখন জানলাম যে সাভার এ একটি ভবন ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে এবং এতে অনেক প্রানহানী ঘটেছে তখন আর শরীর চলছিল না।কিন্তু এখন পর্যন্ত টিভি সংবাদে যা দেখলাম রানা প্লাজা’র মত নাকি আরো চার/পাচটি ভবনএ ফাটল দেখা দিয়েছে।কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে এই ফাটল এর ঘটনা আরও অনেক আগের যেটা সাভার এর ঘটনার কারনে এখন প্রকাশ পাচ্ছে।আজকে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,বাস্তবতা নাকি দেশের ৯০% ভবন জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে করা হয় না।যেখানে রানা প্লাজা ধ্বসের ধংসাবশেষ সরিয়ে আহত নিহত মানুষ উদ্ধার করতে ৭/৮ দিন লেগে যাচ্ছে সেখানে মহান আল্লাহ পাক এমন না করুক যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প যদি হয় তাহলে আমাদের দেশের কি অবস্থা হবে সেটা ভেবে কোনো কূল পাই না।ভৌগলিক অবস্থানে কিন্তু আমাদের দেশ প্রচন্ড ভূমিকম্পের ঝুকিতে রয়েই গেছে।
কাজেই এখন যথেষ্ট সময় হয়েছে বিষেষ করে এই বিষয় নিয়ে ভাববার আর কালক্ষেপন করা যাবে না।
আর ৯০% ভবন জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে করা হয় না,এই বিষয়ে আমার বক্তব্য হল এই পুরো ব্যাপারটির সাথে বিশাল অংকের দুর্নীতি অনিয়ম জরিত।বেশীর ভাগ ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে যেই সকল ভবন নির্মিত হয় সেগুলোর প্লান বলতে কোনো কিছুই থাকেনা নিজের ইচ্ছে মত রাজমিস্ত্রি দিয়ে করে ফেলে।আর শহরে কিংবা পৌর এলাকাগুলোতে হয় এরকম নাম মাত্র কিছু অর্থ দিয়ে কোনো রকম ডিপ্লোমা আর্কিটেকচারকে দিয়ে একটি প্লান বানিয়ে টাকার বিনিময়ে সেটাকে রাজউক কিংবা পৌর চেয়ারম্যান এর নিকট হতে অনুমোদন করিয়ে নেয়।যদি প্রকল্প একটু বড়সড় হয় তখনই কেবল তাদের কর্মতৎপড়তা দেখা যায় তাও সেই টাকার জন্যই।সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় আমার কাছে যেটা লেগেছে সেটা হল পৌর এলাকায় ভবন নির্মানের অনুমোদন দেয় পৌর চেয়ারম্যান।এখন প্রশ্ন হল একজন পৌর চেয়ারম্যান যে কিনা ইঞ্জিনিয়ার না তার ভবন সম্পর্কে কতটূক অভিজ্ঞতা থাকে যে সে ভবন নির্মানের অনুমোদন দেয়????
আমাদের অবস্থা হচ্ছে আমরা খুব সহজেই আমাদের অতীত ভুলে যাই।এখন পর্যন্ত যত বড় বড় ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে কিছুদিন হইচই তারপর যেই লাউ সেই কদু আমাদের অবস্থা।
কিন্তু সব কিছুকে হালকা ভাবে নেয়া ঠিক না।যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ৯০% ভবন বিল্ডিং কোড মেনে করা হয় না তাদের প্রত্যেক কে কারন দর্শানোর জন্য নোটিস দেয়া হোক এবং শুধু নোটিস দিয়েই নয় প্রয়োজনে সংসদে কঠোর থেকে কঠোরতর আইন করে এদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক এবং রাজউক এর তত্বাবধানে নতুন যত ভবন তৈরী হচ্ছে সরেজমিন এ সেগুলো পরীক্ষা নীরিক্ষা করে অনুমোদন দেয়া হোক সেই সাথে পুরাতন যত ভবন আছে সেগুলোও যাচাই সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা।অনেক অগোছালো কথা বললাম আসলে মন ভাল নেই।
ভূল হলে ক্ষমা সূলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাইকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন ভাল রাখুক আমীন।