somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি জ্বলছে: উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সুরসুরি দেওয়া হচ্ছে কি?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি জ্বলছে! এই বাড়িটি জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কী অর্জন হলো? এই অর্থহীন ধ্বংসাত্মক কাজ কি আমাদের জীবনের নিরাপত্তা, সুশাসন, বৈষম্যহীন সমাজ বা জনজীবনে কোনো প্রকার স্বস্তি এনেছে? এটা বরং ইঙ্গিত করে যে আমাদের সমাজে হুজুগেপনা ও উগ্রতাকে এখন বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

দেশের সাধারণ মানুষ একাত্ম হয়ে, রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে যে স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছিল, সেই গণমানুষের প্রতি যদি আমাদের দায়বদ্ধতা থাকে, তাহলে আমাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত নয় যা গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আগুন জ্বালানো সহজ, কিন্তু তা নেভানো এবং সেই শক্তিকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা অনেক কঠিন। অথচ আজ আমরা দেখছি, অকারণে, অপ্রয়োজনে আগুন জ্বালানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোকে সুরসুরি দেওয়া ছাড়া এর আর কোন ভূমিকা আছে বলে আমার মনে হয় না।

বাস্তবতা হলো, এই ইসলামিস্টদের তৎপরতা যত বাড়বে, স্বৈরাচারী শক্তি তত বেশি শক্তিশালী হবে। ইসলামিস্টদের অসহিষ্ণুতা স্বৈরাচারীদের ফিরে আসার পথকে প্রশস্ত করবে। এই সুরসুরি ইসলামিস্টদের জঞ্জাল বাড়াবে মাত্র। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিবর্তে যদি অসহিষ্ণুতা, বিভাজন এবং ঘৃণা আমাদের জনপ্রিয়তার কৌশল হয়, তবে এই ঘৃণার উপর ন্যায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারবে না।

ঘৃণা, প্রতিহিংসা এবং মধ্যযুগীয় চিন্তা-চেতনা আমাদের সমাজকে বহু পিছিয়ে দিয়েছে। আদতে এই কাজগুলো ফ্যাসিস্টদের ফিরে আসার পথকে প্রশস্ত করবে। ইসলামিস্টদের সুরসুরি দেওয়ার রাষ্ট্রীয় আজ্ঞার অর্থ আসলে বিগত স্বৈরাচারীকেই গোপনে আমন্ত্রণ জানানো। কারণ, এক্ষেত্রে ইসলামিস্টদের অপতৎপরতা আর ফ্যাসিস্টদের উদ্দেশ্য একই সূত্রে গাঁথা। ফ্যাসিস্টরা চাইবে যে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো আরো ধ্বংসাত্মক কাজে ইসলামিস্টরা উৎসাহিত হোক, যাতে তারা পুনরায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২৬
১৩৬ বার পঠিত
১৬টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিটিংয়ের জন্য কেন এত তোড়জোড়?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:১২



অর্থাৎ চীনের সহায়তায় লালমনিরহাটের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এয়ার বেইস চালুর চেষ্টা, তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীনকে নিয়ে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ও চীনে গিয়ে ডক্টর ইউনূসের সেভেন সিস্টার্স সম্পর্কিত বক্তব্য ভারতের ভালো লাগেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা এবং বাংলাদেশে এর প্রতিফলন

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:১৮



গত বছরের মতো এবছর আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা জানাননি। রোজার শুরুতেও “রামাদান করিম” শুভেচ্ছাবচনটি কেউ পাঠায়নি। আগে যখন ট্রুডো ঈদের ঠিক আগে আগে সরকারি দপ্তর থেকে কানাডার মুসলিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

ছবিসহ মিনি পোস্টারটি এআই দিয়ে তৈরিকৃত।

থেঁতলানো চোয়াল, ভেঙ্গে গেছে দাঁত, রক্তাক্ত অবয়ব—তবু ৪০ কিমি বাস চালিয়ে যাত্রীদের বাঁচালেন! এই সাহসী চালকই বাংলাদেশের নায়ক... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর পর যা হবে!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪২



বেহেশত বেশ বোরিং হওয়ার কথা।
হাজার হাজার বছর পার করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। দিনের পর দিন একই রুটিন। এরচেয়ে দোজক অন্য রকম। চ্যালেঞ্জ আছে। টেনশন আছে। ভয় আছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফ্যাসিবাদ!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৮



অবকাশের দিনগুলোর ছুটির ফাঁদে নিজেকে নতুন করে চেনাই-
আমার বহুদিনের চেনা শহর।
কতকিছু বদলে গেছে নাকি তারোধিক বদলে গেছে,
সুশীলের আবরণে অসুশীল মানুষ?
শৈশবে শহরটা যাদের কাছে জমা রেখে গিয়েছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×