এতো দিন পর খালাতো ভাইয়ের মুখে হাসি ফুটেছে। হাসি ফোটার কারণ তিনি বাবা হয়েছেন। আর এতো দিন হাসি না ফোটার কারণ তার প্রথম সন্তান মারা গিয়েছিলো।
গতকাল রাত প্রায় বারটায় তার বাবা হওয়ার সংবাদ শুনি। ভাবীর কোলজুড়ে এসেছে ফুটফু্টে এক কন্যা সন্তান। মা-মেয়ে উভয়ে ভালো ও সুস্থ আছে। যদিও জন্ম হওয়ার পর শুনলাম, বাচ্চা কোনো শব্দ করছে না, কান্নাকাটিও করছে না। এক-দেড় ঘন্টা পর বাচ্চা প্রথম শব্দ করে। শিশুটি এখনো চিকিৎসাধীন আছে, তবে আশঙ্কামুক্ত।
তাদের প্রথম সন্তানও মেয়ে ছিলো। মেয়েটি জন্মগ্রহণের পরপরই মারা যায়। ভাবীকে একবার দেখানোর পর শিশুটিকে কবর দেয়া হয়। ভাবী সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাচ্চার কথা জানতে চাইলে তাকে বলা হতো যে, ভালো আছে। আর দেখতে চাইলে বলা হতো, তুমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আসো, তখন দেখবা। কয়েক দিন পর ভাবী যখন সন্দেহ করে এবং ভালো করে জানতে চায়, তখন তাকে জানানো হয়েছিলো। সন্তানের মৃত্যু সংবাদ শুনে ভাবীর সেকি কান্না! আসলে একটি সন্তানের মৃত্যু যে কী তা একমাত্র মা-ই প্রকৃতভাবে অনুধাবন করতে পারে। আমরা তো শুধু মায়ের কান্না দেখি। কান্নার হেতু বুঝলেও অনুধাবন করতে পারি না। আমাদের সাধ্যও নেই অনুধাবন করার।
আর ভাইয়ার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না। তার চেহারা কেমন বেদনাতুর হয়ে ছিলো। অনেক বার লক্ষ করেছি, কোনো শিশু দেখলেই তার মুখে অব্যক্ত বেদনার ছাপ পড়ে।
কামনা করি, শিশুটি দীর্ঘজীবী হোক! সুন্দর ও সুস্থ জীবন লাভ করুক!
সবাইকে মিষ্টির দাওয়াত। শিশুটির জন্য সবাই দিল খুলে প্রার্থনা করবেন।
কোনো বাচ্চা হওয়ার পর তার নাম কী রাখা হবে এটা নিয়ে বাচ্চা-বুড়ো সবাই খুব চিন্তিত থাকে। নামটা কমন হওয়া যাবে না, জীবনেও কেউ শুনেনি এমন হতে হবে। নামটা জটিল, চমৎকার ও কোমল হতে হবে। আরো কত কী।
এই পোস্টটা নাম রাখা প্রকল্পেরই একটা অংশ। কারো কাছে সুন্দর, অর্থবহ ও আনকমন কোনো নাম থাকলে আওয়াজ দিবেন। ( আবার এটা ভাববেন না যে, আনকমন নাম ব্লগে দিলে নামটা তো আর আনকমন থাকবে না)