সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারের পতনের তিনটি দিক আছে
১. ইসরাইল আমেরিকা বিরোধী জোট ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইরানের প্রতিরোধ সংগ্রাম প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ধারনা করা হয় সিরিয়ায় বিজয়ী পক্ষ আমেরিকার মদদপুষ্ট। সেক্ষেত্রে সিরিয়া হয়ে হামাস ও হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র প্রেরনের রুটটি বন্ধ হয়ে যাবে। সিরিয়া থেকে মিলিশিয়াদের ইসরাইলের প্রতি হামলা ও চাপ বন্ধ হয়ে যাবে। ইসরাইলি শক্তি পরোক্ষভাবে ইরাক সিমান্তে চলে আসবে। সিরিয়ার আকাশসীমা পরিপূর্নভাবে ইসরাইলের আধিপত্তে চলে যাবে। সিরিয়া থেকে ইরানী আল কুদসকে প্রত্যাহার করতে হবে। যা ইসরাইলের জন্য অনেক স্বস্তিদায়ক হবে।
২. সিরিয়ার জনগনের বিশেষ করে সুন্নিদের প্রত্যাশা আংশিক ভাবে পূরন হবে। বাকিটা নির্ভর করবে আগামী দিনে বিজয়ী শক্তি কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে, পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে কিনা তার উপর।
৩. সিরিয়ায় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে গৃহযুদ্ধ আরো ভয়ানক ভাবে ছড়িয়ে পরতে পারে এবং দেশটি কয়েক টুকরো হয়ে যেতে পারে। ইসরাইল ইতিমধ্যে সিরিয়ার আরো কিছু ভূমি নিজেদের দখলে নিয়েছে।
শেষ কথায় বলা যায়, বাশারের পতনে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে ইসরাইলের আর ক্ষতি ফিলিস্তিনের।