
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন একের পর এক গুলি ছুড়েছেন এভাবেই।


টুকিটাকি চত্বরে পিস্তল হাতে ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান।

পুলিশের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতেই পিস্তলে গুলি ভরেন ছাত্রলীগের উপপাঠাগার সম্পাদক নাসিম আল সেতু।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ চলাকালে গুলি ছুড়ছেন ছাত্রলীগের বহিষ্কার হওয়া সহসভাপতি আখতারুজ্জামান তাকিম।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ চলেছে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া। ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে বেলা ১১টার দিকে চলা সংঘর্ষে ৫০টিরও বেশি গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে কুপিয়ে আহত করা হয় দুজনকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতেই পিস্তলে গুলি ভরতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। অবাধে গুলি ছুড়তেও দেখা গেছে তাঁদের। আর এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল পাশেই। শুধু গুলি ছোড়াই নয়, পিস্তল, রামদা, দা, হকিস্টিক ও চাপাতি হাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রীতিমতো যেন অস্ত্রের মহড়া দিয়েছেন ক্যাম্পাসে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির দাবি করেছে, সংঘর্ষে তাঁদের ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন।
হলগুলিতে, ক্যাম্পাসে যতদিন বাংলাদেশ জাতীয় সন্ত্রাসী দল, বাংলাদেশ খুনি লীগ, জামায়াতে রগ কাডি'র কমিটি থাকবে, হলে হলে সন্ত্রাসী বাহিনীর সভাপতি, সেক্রেটারি, প্রচার সম্পাদক ইত্যাদী বাহিনী/দল/লীগ করে দিবে ততদিন এই মারামারি খুনাখুনি থাকবেই।বিশ্বের কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি নাই।আর কোথাও শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোর এরকম মারামারি হয় না।এমনকি আমাদের দেশে হাইস্কুলগুলিতে এই বিষয়টি নেই।এমনকি আমাদের স্বাধীনতার আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দল ছাত্র রাজনীতির নামে হানাহানি করেনি।
এর কারন বিশ্বের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের সুজোগ নেই।যেমন আমাদের হাইস্কুলগুলোতে নেই।এবং কাল হাইস্কুলগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি খুলতে দিন দেখবেন পরশু দিনইই হাইস্কুলের ছেলেরাও স্কুলে রাম দা, চাপাতি, কাটা রাইফেল নিয়া যাচ্ছে।স্কুলের সামনে দাড়াইয়া ছিন্তাই করতেছে।
স্বাধীনতার পর আমাদের মহান নেতারা তাদের রাজনৈতিক ক্যাডার বাহিনী লালন পালনের জন্য আমাদের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে রাজনীতি ঢোকায়।
ছাত্ররা বিশ্বের সবদেশেই সবচেয়ে রাজনৈতিক সচেতন অংশ।হলে কমিটি না থাকলেও সে রাজনীতি করেই।দেশের বড়বড় ছাত্র আন্দোলনগুলোও এসমস্ত কমিটির সন্ত্রাসীরা করেনি করেছে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ইউনিয়ন করা ছেলেটি, সাধারন ছাত্রটি।
তাই আওয়াজ তুলুন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদের বিভিন্ন ফোরাম, ইউনিয়ন থাকতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাতের কমিটি থাকতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৫