কথায় আছে, বাঙালি ললনাদের মতো রূপসী, গুণবতী সারা পৃথীবিতে আর হয় না। কিন্তু আমার প্রশ্ন টা হচ্ছে, এখন যে হারে উলঙ্গ হতে শিখে গিয়েছে আমাদের দেশের রমনীরা তাতে তো মনে হয় ,যে উক্তিটা করেছিলেন তিনি এতদিন বেঁচে থাকলে বিষ খেয়ে সুইসাইড করতেন। বিষয়টা তবে এবার খুলেই বলি।
মেস থেকে বের হলাম আমি আর আমার বন্ধু। কলেজ যাচ্ছি। এমন সময় চোখ পরলো সামনের এক রূপসী রমনীর প্রতি। চোখ তো পরবেই, ফুলের প্রতি চাহনী দিতে কেই বা না চায়। কিন্তু নজর খারাপ হয়ে গেল, খারাপ হতে বাধ্য। কারন- ললনাটি পরে আছেন টাইট ফিটিং পায়জামা, যার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ পায়ের ভাঁজ এর মধ্য দিয়ে যৌবন উতলে পরছে। আর গায়ে তারধিক টাইট জামা।
প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি যে এতটা কামুক ভঙ্গিতে কাপড় পরে রাস্তায় হাঁটছেন, এর কারন টা কি? নিজের রূপ কে দেখানোর জন্য? আচ্ছা ঠিক আছে, মানলাম। কিন্তু নিজের রূপকে এতটা বিশ্রিভাবে দেখাতে গিয়ে যখন রাস্তার কিছু বখাটে ছেলে পেলে টিজ করবে, খারাপ কথা বলবে, কিংবা উড়না টা ধরে টান মারবে, তখন সেইই মেয়েই তো একদম সতি সেজে যাবে আর দোষ পুরোটাই পরবে ছেলেদের প্রতি। আর মেয়েটা হয়ে যাবে পবিত্র। তাইনা?
রাস্তার সব মানুষ তো আর ভাল হয় না। যারা ভাল তারা না হয় এক কি দুই পলক একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়েই নজর ঘুরিয়ে নিবে লজ্জায় নয়তো ঘৃণায়। কিন্তু যারা বখাটে তারা তো ঠিকই লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকবে, টিজ করবে, এমনকি এইসব মেয়েদের রেইপ করার চেষ্টা করলেও অবাক হব না। মেয়েটার দরকার কি ছিল এরকম কাপড় পরার?
এভাবে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার? লেখক এখানে অবুঝ।
সব মেয়েরাই যে এমন তা বলি নি। কিন্ত কলেজ রোড ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় যখন অনেক মেয়েকেই দেখি এভাবে চলাফেরা করতে তখন নিজের কাছেই খারাপ লাগে, এ কোন কলিযুগে এসে পরলাম। যেই লাজুক বাঙালি রমনী নিয়ে এত বড়াই, সেইই ললনারাই আজ লাজ লজ্জাহীন হয়ে চলে ফিরে।
তাহলে কোথায় গেল সেই লাল পাড় সাদা সাড়ি পরা লাজুক চাহনী মাখা রমনীগণ??
ধিক্কার।
লজ্জাহীনতাই যখন সংস্কৃতি।