আমরা আমাদের শৈশব কাল থেকেই বুঝে আর না বুঝে পড়ি অনেক নীতি বাক্য যেমন "সৎ সঙ্গে সর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ " "অল্প বিদ্যা ভয়ংকর" ইত্যাদি।
তার মধ্যে অন্যতম হলো "শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড"
কথাটার অর্থ আমরা একেক মানুষ একেক ভাবে বুঝবো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবার ভাবনার মূল বিষয় কিন্ত একটাই সেটা হলো একটা জাতির সোজা হয়ে দাঁঁড়াতে হলে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার আগে একটা কথা আছে সেটা হলো শিক্ষাটা হতে হবে সু-শিক্ষা ।
আপনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকান আশে পাশের শিক্ষিত মানুশের অভাব নাই । উইকিপিডিয়ার তথ্যনুযায়ী বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ। এখন সবার কাছে আমার একটা প্রশ্ন শিক্ষার এই হার অনুযাই আমাদের দেশ কি সেই ভাবে দাড়াতে পেরেছে???
পারে নি তার কারন কি???? তার কারন এক মাত্র হলো শিক্ষানীতি।
আমাদের ভিতর যেই পরিমান মুখস্ত বিদ্যা মেধা প্রশপত্র ফাঁস দুনীতি এবং ভুল খাতা নিরক্ষন এর প্রতিযোগীতা বিদ্যামান তা অন্য কোনো দেশে রয়েছে কিনা সন্দেহ আছে।
বাংলাদেশে সেই ব্যাক্তির দাম আছে যার সৎ বেশি সার্টিফিকেট আছে যার যত বড় ডিগ্রী সেই তত বেশি ব্রিলিয়ান্ট।
কিন্তু প্রশ্ন ঐ এক জায়গায় তাহলে দেশের এই অবস্থা কেন ??? আজকে দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী , এমপি, প্রেসিডেন্টরা কেনো কাঁঁশি দিতে গেলেও দেশের বাইরে চলে যায় কেনো? দেশের ডাক্তারদের ভরশা নাই কেনো? একটা ব্রিজ বানাতে কেনো বাইরের ইঞ্জিনিয়ারদের ভাড়া করতে হয়?? দেশে কি ইঞ্জিনিয়ার নাই?? ন্তাহলে কেনো কাজে লাগায় না তাদের?? কই আমাদের দেশের বুয়েটের কুয়েটের চুয়েটের ডুয়েটের ইঞ্জিয়াররা??
তারা কি সরকারী বা বেসরকারি ফামে্র চাকরির জন্য বুয়েটে পড়াশুনা করছে?? তারা কি দেশের বড় উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে না?
আসল কথা হলো সরকার আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তারের উপর ভরশা পায় নাহ। পাবে কি করে ? তারা তো আর জানে এখানের সবাই ডিগ্রিধারী হলেও সবাই তো আর ব্রিলিয়ান্ট নাহ । কারন তাদের অনেকের কাছেই তো সরকার এর দালালরা প্রশ্ন বিক্রি করেছে যারা তাদের মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে সার্টিফিকেট পেয়েছে । আর তাদের সাথে মিছে যাচ্ছে দেশের রত্ন্ররা যারা মাথার ঘাম বুকে ফেলে রাতে না ঘুমিয়ে না খেয়ে পড়াশুনা করেছে। তাদের দোষ তারা বাংলাদেশে জন্মাইছে।