চায়ের প্রতি আমার তেমন কোনো আকর্ষণ নেই। মাঝে মাঝে কিছু চায়ের স্বাদ মুখে লেগে থাকে। কিছু হয় বিস্বাদ। স্বাদহীন বা বিস্বাদ খাবাদের কথা মনে থাকলেও বিস্বাদ চায়ের কথা মনে থাকে না। অবশ্য ব্যাতিক্রমও রয়েছে। একটি বিস্বাদ চায়ের কথা আমার যথেষ্টই মনে আছে। সেই চাটি পান করেছিলাম শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়ায়। সাত রঙ্গের বাহারি চা। চা চুমুক দিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে গরম জলে তৈরি কোনো সিরাপে চুমুক দিচ্ছি। কোনো রকমে গোটা তিনেক চুমুক দিয়েই ছেড়ে দিয়েছিলাম।
ভালো চায়ের কথা মনে পরে খুব। সেই ছোট্ট বেলায় পাশের এলাকায় এক চাচার বাসায় গেলে এক মগ রং চা আর টোস্ট দিতেন। সেই চা আর টোস্টের লোভে সেখানে বারবার যাওয়া যেতো, শুধু লজ্জায় যেতে পারতাম না।
এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট ছিলো অনেক অনেক বছর আগে। বটতলা রেস্টুরেন্ট। চায়ের সাথে বিস্কিটের গুড়া, মসলা ইত্যাদি মিশিয়ে এমন চমৎকার চা তৈরি করতো যে রেস্টুরেন্টটি অনেক বছর আগেই উঠে যাওয়ার পরেও এখনো সেই চায়ের কথা অনেকেরই মনে আছে।
বছর সাত-আট আগেও মাঝে মাঝে চা পান করতে চলে যেতাম সাঁতারকুল পার করে সামান্য পিছনে। ছোট্ট একটি টং দোকানে এক চাচা চা বানাতেন, লেবু দিয়ে রং চা। আহা! অনেক দূর-দূরাত্ন থেকে ছেলেরা আসতো মটরসাইকেল নিয়ে সেখানে রং চায়ের জন্য।
আমার এক খুনী বন্ধু আছে। সে নিজ হাতে খুন করেছিলো এক পুলিশকে। সেই হাতের মসলা দিয়ে রং চা অসাধারণ হয়। আমরা যখন বলি চা বানায়া দে। তখন ততোটা ভালো হয়না। ও যখন বলে- সারোয়ার চা খাবি? সেইটা হয় চা!! এক পেয়ালা শেষে আরেক পেয়ালা নিতে ইচ্ছে করে, কিন্তু ততোটা বেশী ও বানায় না।
উৎসর্গ - রাজীব নুর
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৯