চন্দ্রগ্রহণ
আমরা জানি পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ, পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। আবার চাঁদকে সাথে নিয়েই পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চার দিকে। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের এই ভ্রমণে এমন সময় আসে যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী এসে যায়। এই সময় এরা একই লাইনে থাকে বলে সূর্যের আলো এসে পরে পৃথিপীর উপর। ফলে পৃথীবীর পিছনে অনেকটা জায়গাজুড়ে পৃথিবীর ছায়া পরে। সেই সময় চাঁদ যদি সেই পৃথিবীর-ছায়া ঢাকা অংশে ঢুকে তখন চাঁদে আর সূর্যের আলো পৌছতে পারেনা, তাই সেই সময় চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। এটিই চন্দ্রগ্রহণ।
হঠাত করে আজ চন্দ্রগ্রহণের কথা বলার কারণ হচ্ছে - আজ একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। সারা বাংলাদেশ থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়া থেকে পুরপুরি, আর দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া থেকেও মোটামুটি দেখা যাবে।
আজ, অর্থাৎ ১৫ই জুন রাত ১১টা ২৪ মিনিট। এই সময় গ্রহণটি শুরু হবে উপচ্ছায়া পর্যায় থেকে। রাতের ২টা বেজে ১২ মিনিটে গ্রহণটি পূর্ণতা পাবে, আর গ্রহণটি শেষ হবে ভোর ৫ টায়।
ছবিতে দেখছেন আংশিক ও পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের নমুনা।
সাড়ে এগারটা থেকে গ্রহণ শুরু হয়ে ভোর পাঁটা পর্যন্ত চললেও পৃথিবীর ছায়ার কেন্দ্র চাঁদ থাকবে ১০০ মিটিন। আর এই ১০০ মিনিটই হচ্ছে মূল চন্দ্রগ্রহণ। এতো দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর ছায়া কেন্দ্রে চাঁদ খুব কমই থাকে। ফলে এটি একটি relatively rare চন্দ্রগ্রহণ। এই ধরনের চন্দ্রগ্রহণ শেষবার হয়েছিলো ২০০৭ সালের ২৮শে আগষ্ট, আর পরবর্তী এই ধরনের চন্দ্রগ্রহণ হবে ২০১৮ সালের ২৭শে জুলাই।
চন্দ্রগ্রহণের পূর্ণ গল্প লেখার ইচ্ছে আছে বলেই আজ আর তেমন কিছু লিখলাম না।
ছোট্ট একটা দুঃখ, আমার টেলিস্কোপের মাউন্টটি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ইচ্ছে থাকার পরেও আজ চন্দ্রগ্রহণ দেখার কোনো উদ্দ্যগ নিতে পারছি না। এখন এই পোস্টটি করে টেলিস্কোপটি নিয়ে পরবো, যদি জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে দাঁড় করাতে পারি।
সূত্রঃ
Click This Link
Click This Link
http://www.mreclipse.com/Special/LEprimer.html