এই ঘটনাটি পরম পূজনীয়
বাবাই দা বলেছিলেন।
একদিন অফিস ছুটি হতে অনেক দেরী
হয়েছে। ওই অফিসে কাজ করে একজন
অবিবাহিতা তরুনী। অল্প বয়স। তো
সে খুব ভয় পাচ্ছে যে, অনেক রাত
হয়ে গেছে কি করে বাড়ি ফিরবে।
রোজ টিভি তে আর নিউজ পেপারে
এ যে সব ঘটনা বের হচ্ছে। তাতে
মেয়েরা তো নিরাপদ নয়
কোথাও। তাতে আবার এত রাত হল।
সে মনে মনে খুব ঠাকুরের নাম
করছে। আর ভাবছে যে বাস/অটো
তো বন্ধ হয়ে যাবে। বাড়ি যাব
কি করে। এই ভাবতে ভাবতেই
রাস্তায় এস দেখে যে একটা অটো
এসেছে।ও অটো টা কে দাড় করাল।
কিন্তু অটোতে ড্রাইভার ছাড়া আর
কোন প্যাসেঞ্জার নেই। ভয় করলেও
ওর আর দেরী করবে না বলে অটোতে
উঠল আর নাম করতে লাগল। অটোর
পিছনের সিপ এ বসে ও দেখল অটো
ড্রাইবার তার সামনে লাগানো
লুকিং গ্লাস দিয়ে বার বার ও কে
দেখছে। ও তো খুব ভয় পেয়ে টাকুর
কেই ডাকতে লাগল। এরপর ওর বাড়ির
সামনে অটো আসতেই ও নেমে
ভাড়াটা দিয়ে দৌড়ে গেটে
খুলে বাড়িতে ঢুকল।. এদিকে অটোর
ড্রাইবার ও চিৎকার করতে করতে ওর
পিছন পিছন ওর বাড়িতে ঢুকে
পরেছে আর বলছে, আপনি একজনের
ভাড়া দিলেন অন্য জনের ভাড়া কে
দেবে? এদিকে চিৎকার শুনে ওই
মেয়ের বাবা অর মা ঘর থেকে
বেরিয়ে এসে মেয়ের কাছে
জানতে চাইছে যে ওর সাথে থাকা
অার একজন কে? মেয়ে তো বলছে
কেও না। অমি একা। আর ড্রাইভার
বলেছে একজন বয়স্ক মানুষ সাথে
ছিলেন উনি দেখেছেন। তো
ড্রাইভারকে ওই মেয়ের বাবা ও মা
ঘরে নিয়ে গেলেন বোঝাত এই তো তিনি ছিলেন। আমি
স্পষ্ট দেখেছি। তাই শুনে বাড়ির
সবাই তো বিশ্বাসে হতবাক। এ কি
করে সম্ভব। মেয়ে তখন ঠাকুরের কৃপা
কথা ভেবে ঝড় ঝড় করে কাধঁছে, আর
বলছে যে সে বোঝেই নি কিন্তু
দয়াল ঠাকুর ওর সাথেই ছিল সব সময়।
ওই যে বিপদে পড়ে ঠাকুর কে
ডেকেছিল তাই ঠাকুর ছুটে
এসেছিলেন। ড্রাইবার কিন্তু ঠাকুর
কে জানতেন না। পরে ওই ড্রাইবার
ঠাকুরের দীক্ষা নিয়েছিলেন।
ছাড়রে মোন ভবরো আশা অজপা
নামের কররে নেশা। তাই আমাদের
শুধু নাম করে যেতে হবে। নাম নাম
আর নাম। ডাকার মত ডাকলে তারে
সে কি দূরে থাকতে পারে??..........