কিছু অপ্রিয় কথা বলতে যাচ্ছি, কারো মতাদর্শ কিংবা ধর্মিয় আদর্শের সাথে না মিললে এভয়েড করবেন।
সৃষ্টিকর্তা কি বা কে? তাকে কি দেখা যায়? দেখা যায় না ই বা কেন??
এই জন্যেই কি বলেছিলেন শাহ্ আব্দুল করিম,
"মূর্শিদ ধন হে,
কেমনে চিনিব তোমারে
দেখা দেও না কাছে নেও না
আর কত থাকি দূরে?"
কিন্তু দূরে থাকাটাই কি এক ধরণের প্রাপ্তি নয়? যখন কোন কিছুকে নিজের করে পাওয়া হয়ে যায় সবাই বলে তার প্রতি নাকি সকল আগ্রহ হারিয়ে যায়। এইটা আমার কথা নয়। সাধারণত সকল মানুষের কথা। এই ব্যাপারে আমার অন্যান্য দের চিন্তা ভাবনার সাথে কনফ্লিক্ট আছে। তারপরেও সকল মানুষই সঠিক ধরলে প্রচন্ড আকাঙ্খিত জিনিষ পাওয়ার পরেই তার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
তেমনি ,
"মায়া জালে বন্দী হয়ে আর কতকাল থাকিব
মনে লয় সব ছাড়িয়া তোমারে খুজে নিব
আশা করি আলো পাব ডুবে যাই অন্ধকারে"
আলোর আশায় ছুটে চলছি। কিন্তু যতই আলোর কাছে যাচ্ছি ততই অন্ধকার গ্রাস করছে আসলেই। কারণ আসলে সঠিক পথেই যাচ্ছি না কিংবা সৃষ্টিকর্তা অধরাই থাকতে ভালবাসেন। এই পর্যন্ত কোন সাধক কিংবা কোন মহামানব মুখফুটে বলতে পারবেন না যে তিনি সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা করতে পারেছেন। আমাদের ধর্মের মহামানবদের দিকে দৃহশটিপাত করলে দেখতে পারি মুসা (আঃ) সৃষ্টিকর্তার সাথে কথা বলেছেন দেখতে চাওয়ার পরেই সেই পাহাড় পুড়ে যায় কিন্তু তার সেই সাধ অপূর্ণই থাকে কিন্তু। মেরাজের সময়ে মহানবী হজরত মোঃ সাল্লাহু আলাইহি সালাম সৃষ্টিকর্তার সাথে কথা বলেছিলেন কিন্তু তার সাথে দেখা হওয়ার কথা কোথাও উল্লেখ নেই (যদি না আমি ভুল করে থাকি)। তেমনি আমরা যেমন স্রষ্ঠার দর্শন চাই স্রষ্ঠা হয়ত আড়ালই চান এর বেশি কিছু নয়।
সেই কারণেই,
"তন্ত্র মন্ত্র করে দেখি তার ভতরে তুমি নাই
শাস্ত্র গ্রন্থ পড়ি যত আরো দূরে সরে যাই"
কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু তা হওয়ার কথা ছিল না। শাস্ত্র গ্রন্থ কিন্তু স্রষ্টার কাছে যাওয়ার একমাত্র উপায় থাকার কথা ছিল কিন্তু যত বুজুর্গ ব্যাক্তি আছে তারা কেউ কিন্তু কখনোই কোনদিন দাবী করতে পারবেন না তারা সৃষ্টিকর্তার খুব কাছে পৌছেছেন কখনো। (এপারট ফর্ম দেওয়ানবাগী অবশ্যই, উনি তো কি কি কার কার জানি কি কি লাগেন আল্লাহ মালুম)
আবার একই জায়গায় শাহ্ আব্দুল করিম বলেছেন,
"ভক্তের অধীন হও চিরদিন, থাক ভক্তের অন্তরে"
এর মানে বিশ্লেষণ করতে গেলেই মানুষ নাস্তিক নাস্তিক বলে তেড়ে আসার কথা। কিন্তু কথাটা কিছুটা এমনই। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিই হয়েছেই সকল সৃষ্টির কারণে। সৃষ্টির মনের ভয় থেকে যে সকল সৃষ্টির উপরে কেউ একজন আছেন যে সকল কিছু দেখছেন সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করছেন কোন একসময়ে হয়ত কৃতকর্মের জন্যে ফলভোগ করতে হবে। এই ভয় ভীতির থেকেই স্রষ্ঠার জন্ম। অথবা উলটোটাও হতে পারে। হতে পারে সৃষ্টির মনের ভিতরে এই ভয় তৈরী করেই স্রষ্ঠা খুব একটা মজার খেলা খেলছেন। তার ভয়ে সৃষ্টিকূল ছুটোছুটি করছে।
স্রষ্ঠা, তোমারে যেইদিন সামনে পাওয়া যাইবে সেইদিন খেইল খতম কিন্তু, তাই ধরা দিও না কার কাছে


বিঃদ্রঃ এই লেখা বুঝার সামর্থ্য যাহাদের নাই আশা করি দূরে থাকবেন

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮