somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোকেয়া: বেবি মওদুদের লেখায়-পর্ব ৪( শেষ)

০৬ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রোকেয়ার জীবন ও কর্মকান্ড থেকে আমরা খুঁজে পাই একজন মহিয়সী নারীর আদর্শময় প্রতিকৃতি। যে নারী বাঙালির ঘরের, বাঙালির জীবন ঘনিষ্ঠ এবং সে নারী জীবন সংগ্রামী, বিদ্রোহী-বিপ্লবী। সঙ্গে সঙ্গে আপোষহীন, আত্মত্যাগী। কোন প্রকার মোহ, তোষামোদ, হাততালি ও বিলাসিতার ধার ধারেন না। বরং নিজেকে উজার করে দিয়েছেন নারীর স্বাধীনতা অর্জনে। তাঁর শক্তি ছিল স্ব-শিক্ষা, সদিচ্ছা এবং মেধা ও যুক্তিসম্পন্ন লেখনী প্রতিভা। শৈশবে পিতৃস্নেহ বঞ্চিতা, মায়ের কড়া শাসনে অবরোধের বেড়াজালে শিকল বন্দি হয়ে ধর্ম ও গার্হস্থ্য শিক্ষা গ্রহণে বাধ্য হন সত্য। কিন্তু বেড়াজালে বসে রাতের গভীরে মোমবাতি জ্বালিয়ে আপন বড় ভাই-বোনের কাছে শিক্ষার্জন করেন। তাদের আঙ্গুল ধরে হাঁটতে শেখেন এক দুঃসাহসী সৈনিকের মত। তারপর তাঁর বিয়ে হয়ে যায় ছাব্বিশ বছরের বড় এক বিপত্নীক, ভিন্ন ভাষী ব্যক্তির সঙ্গে। আমাদের সৌভাগ্য ভাই-বোনের আঙ্গুল ছেড়ে গেলেও স্বামীর হাতটি তিনি ধরতে সক্ষম হন। উদার, শিক্ষিত স্বামীর হাতটি বেশ শক্তই ছিল বলতে হবে। রোকেয়ার মেধা ও প্রতিভা বিকাশের শ্রেষ্ঠ সময়টিতে তিনিই সহযোগিতা করে গেছেন।

আমার মনে হয়—রোকেয়া তো জমিদার কন্যা ছিলেন, পিতার সাড়ে তিনশত বিঘা জমি ছিল, তিনি এক স্বচ্ছল বিলাসী জীবনের অধিকারিনী হতে পারতেন। কিন্তু পিতার অনৈতিক জীবনের কারণে তাও শেষ হয়ে যেতে বসেছিল। ছিল শুধু কলকাতায় উচ্চশিক্ষিত দুই ভাই ও স্বশিক্ষিত বড়বোন, যিনি কবিতা লিখতেন পত্রিকায়। রোকেয়ার কী দরকার ছিল লুকিয়ে লেখাপড়া শেখার? আবার বিয়ে হলো মাত্র ১৬ বছর বয়সে- কিন্তু তখনই তিনি মেধা ও সাধনায় পরিপুষ্ট অনেকখানি। সব বাদ দিয়ে তিনি তো সংসার ধর্ম পালন করে জীবন কাটাতে পারতেন।

রোকেয়ার কেন কলম ধরারও শখ হয়েছিল? নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেন জীবন পণ করে সংগ্রামে নামলেন? কেননা তিনি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন বলেই দায়িত্ব নিয়ে নেমেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বা আশেপাশে খুব কম মানুষই ছিলেন। তাঁর এই আদর্শময় কাজটা অনেক বড় ছিল। তিনি অনুভব করেছিলেন এ কাজের দায়িত্ব তাঁকেই আমৃত্যু টেনে নিয়ে যেতে হবে।

বিয়ের পর স্বামীর কাঁধে একটা হাত রেখে দাঁড়িয়েছেন, পরনে শাড়ি ঠিকই আছে, কিন্তু হায় হায় ঘোমটা নেই, মাথায় কাপড়ও নেই। বরং ব্রচ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি পড়েছেন যে একেবারে আধুনিকা বুদ্ধিমনস্ক এক তরুণী। যখনই দেখি ছবিটা আমার কাছে এক দুঃসাহসী নারীর দ্যূতি মনে হয় যেন লেগে আছে তার মধ্যে। রোকেয়া তার কালকে ছাড়িয়া যেতে সমর্থ হন একারণে যে তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন না, ধর্মান্ধ ছিলেন না, অশিক্ষিত ও অসচেতন ছিলেন না এবং সাম্প্রদায়িক ও পুরুষবিদ্বেষীও ছিলেন না। বিজ্ঞান সম্মত চেতনায় একজন মনীষী ছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি একজন বাঙালি ছিলেন। কথা-বার্তা পোশাক-পরিচ্ছদে, আচার-আচরণে, শিক্ষা-দীক্ষায় সর্বত্র তাঁর মধ্যে একজন শুদ্ধতম বাঙালির পরিচয় পাওয়া যায়। বিয়ের পর বিহারের ভাগলপুরে তাঁর স্বামীর ঘরে পনেরো বছর কাটিয়েছেন। স্বচ্ছল পরিবার, স্বামী ম্যাজিষ্টেট ছিলেন। কিন্তু মিতব্যায়ী ছিলেন এবং কোন প্রকার অহেতুক খরচ ও বিলাসিতা তাঁর ছিল না। রোকেয়া একজন আদর্শ স্ত্রী ও গৃহিনী হিসেবে তাঁর সেবা করেছেন, পথ্য রান্না করেছেন এবং অফিসের ফাইল (ইংরেজিতে লেখা) পড়ে শুনিয়েছেন। এই সময়টা রোকেয়ার জ্ঞানচর্চার শ্রেষ্ট সময়। তিনি প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেছেন এবং ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইংরেজি ভাষায় লিখে ফেলেন। পনেরো বছরের দাম্পত্যজীবনে দুই কন্যার জন্ম দিলেও তাদের মুখে মা ডাক শুনতে পাননি। এটা ছিল ব্যক্তিগত দুঃখ-বেদনা। স্বামী মৃত্যুর পূর্বে তাঁকে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য দশ হাজার টাকা ও নিজের খরচের জন্য কুড়ি হাজার দিয়ে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর সতীনকন্যা তাকে গৃহ ছাড়তে বাধ্য করে। তিনি প্রথমে ভাগলপুরে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেও বেশিদিন চালাতে পারেননি। স্বামীর দেয়া অর্থ নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন ৩ ডিসেম্বর ১৯১০ সালে এবং ১৬ মার্চ সাখাওয়াৎ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই কলকাতা চলে আসাটা ছিল সবচেয়ে বড় বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষনতা। ভাগলপুরে থাকলে তার কদর কেমন হতো জানি না, তবে সাহিত্য সাধনা, স্কুল পরিচালনা ও নারী স্বাধীনতার কাজে বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি হতো। কলকাতা তখন শিক্ষা সংস্কৃতি চর্চার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হয়েছিল।

রোকেয়া শৈশবে খুব আনন্দময়ী, মিশুক ও বুদ্ধিমতি ছিলেন। তাঁর রসিকতাপূর্ণ কথা শুনে সবাই মুগ্ধ হতো। স্বামীর কাছে তাঁর কদর ছিল, স্বামীর বন্ধু-বান্ধব ও বিদগ্ধ সমাজে তার সম্মান ছিল। কলকাতার বাঙালি বিদগ্ধ সমাজ, স্কুলের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট যেখানে যেতেন সবাই তাঁকে মর্যাদা দিত।

তাঁর সম্পর্কে শোনা যায় যারা তাঁকে দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন তাদের মুখ থেকে।

*বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার ‘রোকেয়া জীবনী’র ভূমিকায় বলেছেন, “বাঙালি মুসলিম সমাজের আত্মা এবং বিবেক-বুদ্ধি এমনভাবে একটি নারী প্রতিমারূপে প্রকাশ পাইয়াছে। একালে হিন্দুসমাজেও এমন নারী চরিত্র বিরল। কিন্তু একজন হিন্দু আমি বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ করিতেছি না, কারণ বেগম রোকেয়া শুধুই মুসলিম মহিলা নহেন, তাঁহার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করিয়া আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে তিনি খাঁটি বাঙালির মেয়ে।

*রোকেয়ার মৃত্যুর পর তাঁর এক ছাত্রী রওশন আরা বলেছেন, “সেই পূণ্যশীলা মহীয়সী মহিলার প্রতি কথায়, প্রতি কাজে যেন একটা নিবিড় আন্তরিকতা মিশানো থাকিত। যাহারা তাহার সংস্পর্শে আসিয়াছে তাহাতে যেন তাহাদেরও প্রাণে সাড়া না জাগাইয়া পারিত না।” (রোকেয়া জীবনী)

*শামসুন্নাহার মাহমুদ তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন, “…. রোকেয়া ছিলেন অতি পুরাতন এক সম্ভ্রান্ত শরীফ বংশের সন্তান। মান-মর্যাদা ও প্রভাব-প্রতিপত্তিতে বর্তমান বাংলায় যে সকল পরিবার অগ্রগণ্য তাহার অনেকগুলির সঙ্গেই ছিল রোকেয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিন্তু ইহার জন্য তাঁহাকে কখনো গৌরব অনুভব করতে দেখি নাই। বরং সম্ভ্রান্ত অর্থে তিনি বুঝিতেন অভিশপ্ত। …. ঘরের চেয়ে বাহিরকেই তিনি বেশী আপনার বলিয়া জানিয়াছিলেন। তিনি জানিতেন, ঘরের সম্পর্ক দেহের, রক্তের; কিন্তু বাহিরের, সম্পর্ক হৃদয়ের-অন্তরের অন্তরতম জনার।” (রোকেয়া জীবনী)

*১৯৩২ সালে প্রথম দেখা রোকেয়ার ছাত্রী ও সাখাওয়াৎ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ার বাহার চৌধুরী লিখেছেন, “… সেদিন তার পরনে ছিল সাদা সিল্কের শাড়ী, গায়ে ঐ রংয়ের ফুলহাতা ব্লাউজ, মাথার ঘোমটা লেস পিন দিয়ে আঁটা পায়ে কাল রংয়ের পাম্প সু। দেখতে তিনি অপূর্ব সুন্দরী। গায়ের রং মাখনের মত, নমনীয় চেহারা, মাথার চুল খুব কালো। ছোট খাট মানুষটি। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছিল।” (রোকেয়া সাখাওয়াৎ স্মারক গ্রন্থ)

*১৯২৭ সালে রোকেয়ার স্কুলের এক ছাত্রী রাবিয়া খাতুন লিখেছেন, “………. সেই প্রথমদিন থেকেই বেগম রোকেয়াকে আমার ভীষণ আপন মনে হয়েছিল। তিনি দেখতে খুবই ফর্সা ছিলেন, যাকে বলে দুধে আলতা গোলা রং। সবসময় তাঁতের শাড়ি ও ফুলহাতা ব্লাউজ পড়তেন। বেগম রোকেয়া বেশী লম্বা ছিলেন না, কিন্তু তাঁর চুল খুব লম্বা ও ঘন কালো ছিল। তাঁর চেহারা দেখে খুব মায়া লাগত এবং খুবই শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা হতো। তাঁর মতো মনকাড়া মানুষ আমি আর দেখিনি। আমরা হোস্টেলের মেয়েরা তাঁকে ‘আম্মা’ বলে ডাকতাম।” (রোকেয়া সাখাওয়াৎ স্মারক গ্রন্থ থেকে)

উপরে উল্লেখিত বর্ণনার সঙ্গে রোকেয়ার তিনটি ছবি সামনে রেখে যখন মেলাতে চেষ্টা করি-তখন এই মহিয়সী নারীর আত্মত্যাগ ও আজীবনের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। এই সঙ্গে তার রচনাবলী যখন পড়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা চেতনাকে উপলব্ধি করি তখন তাঁর আদর্শ ধারণ করা আমাদের জন্য জরুরী হয়ে পড়ে। আমরা তাঁকে চোখে দেখিনি, কাছে যাইনি, স্পর্শ পাইনি এবং মুখের কথাও শুনিনি। আমরা শুধুমাত্র তাঁর তিনটি ছবি, রচনাবলি হাতে পেয়েছি। তিনি সেই অবরোধ ভাঙ্গার জন্য সমাজকে জাগাতে পেরেছিলেন বলেই আজ আমরা শিক্ষার্জন করে নিজ নিজ অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেছেন, “কন্যাগুলিকে সুশিক্ষিতা করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও-নিজের অন্নবস্ত্র উপার্জন করুক।” এটা ছিল তার নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার যুগান্তকারী আহ্বান। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ তার অসাধারণ চিন্তার প্রকাশ। অনেকে একে কল্প বিজ্ঞান রচনা বলেন কিন্তু এটি আসলে পুরুষের বিরুদ্ধে নারীর যেন চরম চ্যালেঞ্জ।

পদ্মরাগ উপন্যাসে বেশ কিছু কথা আছে যা পড়লে রোকেয়ার আদর্শের কন্যাদের আমরা এখন খুঁজে পাই। রোকেয়া চেয়েছিলেন মেয়েরা স্বাধীনভাবে অর্থোপার্জন করুক, জজ-ব্যারিস্টার, লেডি ভাইসরয় হোক। স্বাধীন ব্যবসা করে অর্থোপার্জন করুক—রোকেয়ার এই স্বপ্ন তো আমরা সফল করেছি শিক্ষা-চেতনা ও কাজের দক্ষতায় পুরুষের সমকক্ষতা লাভ করে।

পদ্মরাগ উপন্যাসের নায়িকা সিদ্দিকাকে তার ভাই বলছে, “তুই জীবন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হ! মুষ্টিমেয় অন্নের জন্য যাহাতে তোকে কোনও দুরাচার পুরুষের গলগ্রহ না হইতে হয় আমি তোকে সেইরূপ শিক্ষা-দীক্ষা দিয়া প্রস্তুত করিব। তোকে বাল্য বিধবা কিংবা চিরকুমারীর ন্যায় জীবনযাপন করিতে হইবে; তুই সেজন্য আপন পাঁয়ে দৃঢ়ভাবে দাঁড়া।”

এই কথার মধ্য দিয়ে আমরা রোকেয়ার মানসকন্যাকে খুঁজে পাই। তিনি তাঁর কন্যাদের এভাবে দেখতে চেয়েছেন, যারা শক্ত ভিতের ওপর দৃঢ়ভাবে নিজেকে দাঁড় করাবে। রোকেয়া নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে ছায়া হিসেবে এই সিদ্দিকাকে তৈরি করেছেন। রোকেয়ার এই আদর্শিক কন্যারা আমাদের চারপাশে এখন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমরা শুধুমাত্র দেশে নয় বিশ্বব্যাপী নারী উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের কথা বলছি। সরকারি উদ্যোগ ও সাহায্যপ্রাপ্ত এনজিওদের সেমিনার মিছিল সমাবেশ দেখে থাকি—এসবই রোকেয়ার আন্দোলনের ফসল। কিন্তু যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে রোকেয়া কাজ শুরু করেছিলেন, সেখান থেকে আমরা যেন সরে না যাই। আমরা যেন ভুলে না যাই, অর্জন হয়তো হয়েছে কিছু, কিন্তু এখনও অনেক পথ বাকি।

রোকেয়ার এই কন্যাদের আজ পরিবারে সমাজে-রাষ্ট্রে দেখতে পাই, গ্রামে-গঞ্জে সর্বস্তরে নানা কাজে দেখতে পাই। তিনিও এভাবে নারীকে বিচরণ করতে দেখতে চেয়েছেন সত্য। কিন্তু তার নারী স্বাধীনতা বা নারী শিক্ষা আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। কেননা বৈষম্য বঞ্চনা-নির্যাতনের নানা মাত্রা নারীকে অসহায় করে রেখেছে, ভাগ্যহত করে রেখেছে। এসব থেকে আমাদের মুক্তি আনতে হবে একটি মর্যাদা সম্পন্ন অবস্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে।

রোকেয়া মাত্র বায়ান্ন বছর বেঁচেছিলেন। আরও দশ বছর বেঁচে থাকলে আমাদের অনেক কিছু দিয়ে যেতে পারতেন। আরও নতুন নতুন লেখার মধ্য দিয়ে দিক-নির্দেশনা দিয়ে যেতে পারতেন। স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছিল একটানা কাজের ব্যস্ততায়। বিশ্রামের কোনও সময় ছিল না। স্কুলের দুশ্চিন্তা তাঁর মধ্যে হতাশা তৈরি করেছিল। তিনি কিডনী ও প্রেসারের চিকিৎসা নিতেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কলকাতার বাইরে বেড়াতে যেতেন। ১৯২১ সালে দ্বিতীয় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ঢাকায় এসে কিছুদিন কাটিয়ে যান। কিন্তু বিদায় নিয়ে চলে যেতেই হয়েছে। তবে তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম তাঁকে অমর করে রেখেছে। তিনি বাঙালি নারীর জননী হিসেবে আমাদের হৃদয়ে-অস্থি-মজ্জায়-রক্তবিন্দুতে-মননে-সংস্কৃতিতে ভাস্বর হয়ে থাকবেন।

গ্রন্থ সূত্র:

১. রোকেয়া রচনাবলী-আবদুল কাদির সম্পাদিত

২. রোকেয়া জীবনী–শামসুন্নাহার মাহমুদ

৩. অন্তপুরের আত্মকথা-চিত্রা দেব

৪. ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহল-চিত্রা দেব

৫. পত্রে রোকেয়া পরিচিতি- মোশফেকা মাহমুদ

৬. রোকেয় রচনা সংগ্রহ-বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা

৭. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন স্মারক গ্রন্থ- সেলিনা বাহার জামান সম্পাদিত

৮. বেগম রোকেয়া- আবদুল মান্নান সৈয়দ


পড়া


সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×