আত্মভোলা বলুক আর যাই বলুক
মস্করা করে না হয় আমাকে দার্শনিক বলে পরিকীর্ণ করুক
কিম্বা পরিতপ্তই করুক
তবুও কিছু-কিছু বিষয় আছে শাহাবুদ্দীন ভাই যে
নিজের নামের নামতার মতো
আসলে আমি সেসব একেবারেই বিস্রস্তস্মৃতি করতে পারি না
যেমন বিস্মরণ করতে পারি না সেইসব তুমুল বৃষ্টির কথা
যেদিন আমি আপনার মালিবাগের বাসায় প্রথম ধর্ণা দিয়েছিলাম
যেমন ভুলতে পারি না সেইসব বড়-বড় ফোটায় ফোটায়
মুষলধারার বর্ষার বিষয়
যেদিন আমি আপনার গ্রামের বাড়ি
চব্বিশপরগণার বাদুড়িয়ার আরশুল্লায় এক বিনম্র ও
বিবাসিত শিষ্যের মতন প্রথমবারের মতো উপস্থিত হয়েছিলাম
এবং যেমন ভুলতে পারি না সেই যে একটানা প্রশান্ত প্রপাতের কথা
ঠিক যেদিন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আপনাকে
সংজ্ঞাহীন পেয়েছিলাম এবং শেষবারের মতো
বৃষ্টি বৃষ্টি আর বৃষ্টির মধ্যে
আপনার বাসা এবং আপনাদের গাঁয়ের আপনাদেরই জমিদারবাড়ি পর্যন্ত
আমি যে অনির্বচনীয় কোঙর-সেতু নির্মাণ করেছিলাম
তা আবারও ঐ বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে একাকার হয়ে গেল
হায়! আমি এখন এতো অথৈ বৃষ্টির ভড় বইবো কি করে শাহাবুদ্দীন ভাই
অবশ্য কৃতজ্ঞ কোন মানুষ সমাজ এবং জাতির কথা সম্পূর্ণ আলাদা।