ভবিষ্যতে সহস্র বছর পরে
কোন এক সময় পড়বে আমার কবিতাখানি
অনেক যত্ন করে
কত অজানা কত সহস্র জনতা
প্রেমিক প্রেমিকা,
কত নাম না জানা আবাল বৃদ্ধ
পড়বে বয়স্ক বনিতা।
আজ অনেক যত্ন করে তাই লিখছি
প্রাণ নিংড়ানো ভালোবাসা
যা থাকবে উত্তরসূরির জন্য,
পড়বে তখন ঊনিশের নিচ থেকে শুরু
প্রৌঢ় বার্ধক্য সব মানব মানবী
পড়বে কত জননী।
আজ লিখবো তাদের তরে
যারা ভালবাসার জন্য
দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন অন্ধকার কারাগারে
নির্মমতায় নিজেকে জব্দ করে,
যারা হয়েছে ভালবাসার নামে ধর্ষিতা
চলে গেছে পরিবার ছেড়ে লোকালয়ের বাহিরে নির্বাসনে!
হয়েছে চরম লাঞ্চিত লজ্জিত,
হয়েছে সমাজপতিদের ধিক্কার স্বীকার
হয়েছে প্রতারণা প্রবঞ্চনার ভাগীদার
নিপীড়নের স্বীকার,
হয়েছেন সমাজ রাষ্ট্রের চোখের কাটা
রক্ষা করতে পারেনি নিজের সম্ভ্রম
নিতে পারেনি ভালোবাসার ইজ্জত
ভালবাসার কারণে হয়েছে শ্লীলতাহানি
অতঃপর ভালোবাসা নামীয় ধর্ষণ।
তাদের জন্য লেখা;
ভালবাসার জন্য যারা করেছেন
প্রেমিক প্রেমিকার বাড়িতে আমরণ অনশন,
তাদের জন্য লিখলাম;
আমার প্রাণে সঞ্চিত, অন্তরে জমানো শত সহস্র ভালবাসার কথা।
আমি লেখে গেলাম
আরো যত গুনিজন যারা অকারণে
স্বীকার হয়েছেন ধর্ষণ নামের সাজানো নাটিকায়,
অযাচিত ঘটনায়
বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছেন কষ্টের ধিক্কার।
যখন পড়বে আমার কবিতা সহস্র বছর পরে
ভাববে আমায় কত যে ভাল ছিলাম!
এই ভালবাসার ঘরে, এই সুন্দর ধরণীতে
ভাববে আমায় খুঁজবে লোকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে
আমি পেয়ে গেলাম তোমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি!
আর নিষ্কণ্টক ভালবাসা
এই কবিতা লেখার অনেক আগে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ প্রথমকথা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮