নন্দিনী
তুমি ভুলে গেছো তোমার বয়স, তোমার শারীরিক ক্ষমতা
তোমার বড় হওয়ার কথা,
তুমিতো একটু একটু করে বেড়ে উঠছো শারীরিক ভাবে
নানা উপসর্গ নিয়ে
তোমার ছাতিতে যে দিন দিন স্তুপ হচ্ছে মাংসে
তুমি কি বুঝো কি হচ্ছে তোমার শরীরে,মননে।
ঠিক বুঝাচ্ছে যে তোমার পরিপক্কতার কথা,বুঝাচ্ছে তোমার বয়সের আবাস
বুঝাচ্ছে তোমার সতর্ক থাকার সংকেত!
নন্দিনী
আমি দ্বিধাদ্বন্ধে, খুব চিন্তিত তোমায় নিয়ে, কি করে রক্ষা করবো তোমায়!
সব সময় তোমার মতো কেউ না কেউ হচ্ছে ধর্ষিতা,মানুষ নামি হায়নাদের হাতে
আজো মিছিলে তোমার মত এক জনের দায় নিয়ে,
কি ভাবে রোধ করবো এই নির্মম অত্যাচার।
নন্দিনী
তুমি ভুলে গেছো তোমার বয়স, ভুলে গেছো তোমার পরিপূর্ণতার কথা
তুমি হয়ে গেছো এক পরিপক্ক পূর্ণবয়্স্ক রমণী
তুমি নেই সেই আগেকার মতো ছোট্টটি, তুমি বেড়ে গেছো প্রকৃতি গত ভাবে,
সৃষ্টির আপন মহিমায়,
তুমি এখন দেখবে অনেককে যারা বাসতে চাইবে ভালো, বলতে চাইবে অনেক কথা
তুমি বুঝবে সেই পশু রূপি মানুষদের আলাপচারিতা,তাদের ভাষা, দেখবে তাদের নিলজ্জ মুখাবয়ব
তারা তোমায় ভোগ করতে চাইবে সু কৌশলে সব সময়,তাদের নেই কোন জাত ধর্ম বর্ণ গোত্র
তুমি তোমরা থাকবে সর্বত্র সজাগ,তবে তোমরা থেকো রণাঙ্গনের সৈনিকের মতো প্রস্তুত,
বীরঙ্গনার সাহস নিয়ে।
নন্দিনী
তুমি জানোনা তুমি কি? কি এখন তোমার পরিচয়?
তুমি এখন পরিপূর্ণ যুবতী,এক আবেদনময় রমণী,তোমায় দেখে তাকায় সাধারণ অসাধারণ,
যতো কু রুচি সম্পূর্ণ মানুষরূপী হায়না,
যারা চায় শুধু কচি মাংসের স্বাদ,চায় সব সময় নতুন মাংসে আস্বাদন
চায় চিবিয়ে খেতে নারী
তুমিতো তাদের চোখের মনি, তারা তোমায় রাখবে চোখাচোখি।
নন্দিনী
তুমি থেকোনা অচেতন হয়ে,সাধারনের মতো, কারো ভোগের পণ্য হতে
তুমি থেকো প্রস্তুত যুদ্ধের সৈনিকের মতো যুদ্ধ জয়ের শক্তি নিয়ে
তুমি জানোনা অনেকে হারিয়েছে সম্ভ্রম অতীতে,
অতীতে অনেকে হয়েছে বীরাঙ্গনা তারা এখনো বেচে আছে,
আমাদের মাঝে আমাদের নিয়ে।
আমি চিন্তায় আছি নন্দিনী তোমায় নিয়ে, অনেকটা দুশ্চিন্তায়!
এর আগেও করেছি মিছিল তোমাদের মতো কারো না কারোর দায় নিয়ে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। প্রথমকথা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯