দশম কিস্তি।। প্রথম কথা।।
আজ ১৪ ফ্রেভ্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস।
যথাসময়ে প্রায় বন্ধুরা একত্রি হলো শুধু অলককে দেখা যাচ্ছে না। প্রতি বছর কলেজের ছাত্র সংসদ এই আয়োজন করে। দলমতে উদ্ধে বলে সবাই মিলে তা পালন করে। নন্দিনী আশা করে ছিল হয়তো অলক আসবে, তার বলা সমস্ত অভিযোগ এক বাক্য প্রত্যাহার করে, আবেগে তাকে ধরে আলিঙ্গগন করবে। খুব আশাহত হলো নন্দিনী তাই খুব চিন্তার মধ্যে আছে,আর ভাবছে আসলে কি কখনো অলক তাকে ভালবেসেছে কিনা? না শুধু ভালোবাসার অভিনয় করেছে। অভিনয় করলেও কি জন্য করলো এই ভাবনা অস্থির। নন্দিনী অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠল,সিদ্ধান্ত নিল মনে মনে কিছু একটা করবে।তাই সামনের দিকে এগুতে লাগল,হঠাৎ নমিতা নন্দিনী বলে ডাকল, নন্দিনী গভীর ঘোর থেকে সম্বিৎ ফেরে পেল।
কি রে নমিতা কি খবর আজ কয় দিন কলেজে আসিনি বলে একটু খোঁজ ও নিলে না? অপুর'র কি খবর,অপূর্ব কলেজে এসেছে?
নমিতা বলল- আমি মাত্র কলেজে ঢূকে তোকে দেখে ডাক দিলাম। আজ কয়দিন অপুও কলেজে আসেনি তোর সাথে কথা হয়েছে! ভেবেছিলাম আজ ভালোবাসা দিবসে সবাই মিলে কলেজে আনন্দ করবো।
নন্দিনী বলল- আজ কয়দিন আমিও কলেজে আসিনি তাই কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি, অপেক্ষা করি নিশ্চয় আসবে সবাই।
চল,নমিতা কমনরুমে গিয়ে বসি।
নমিতা আর নন্দিনী কমনরুমের দিকে রওনা হল, পথে শুকন্তলার সাথে দেখা হলো, কি খবর নন্দিনী নমিতা,কখন এলি ?নমিতা বলল, এই মাত্র এলাম কিছু ক্ষণ আগে নন্দিনীর সাথে দেখা হয়েছে। কমনরুমের দেখি যাচ্ছি যাবে আমাদের সাথে।
শুকুন্তলা একটু পরে আসছি বলে মঞ্চের দিকে যাচ্ছে।
শুকুন্তলা খুব মিস করছে অপূর্বকে,এ দিক ঐ দিক খোজচ্ছে কিন্তু দেখছে না। মনের মধ্যে কি যেন করছে শুকুন্তলার, অনমনে চারিদিকে তাকাচ্ছে, দূর থেকে অপু লক্ষ্য করছে। শুকুন্তলা বেগ থেকে ফোনে হাত দেবে ঠিক ঐ মহুত্বে অপু ডাক দিল,কি বন্ধু কি খবর কাকে খুজচ্ছো , সুকুন্তলা আমতা আমতা করে বলল, অপূর্বকে দেখছিনা, সেই কি কলেজে এসেছে!
আমি এসেছি অনেকক্ষণ হয়েছে কিন্তু চোখে পড়েনি। ফোন দেবো।
শুকুন্তলা বলল , না তা দিতে হবে না নন্দিনী এসেছে সাথে নমিতাকেও দেখলাম।
অপু নমিতাকে খুব ভালোবাসে, ভালোবাসে তার হাটা চলা আচার আচরণ,তার কথা বলার ভঙ্গিমা দেখতেও নমিতা খুব সুন্দর মিষ্টি। কিন্তু কখনো তাকে সাহস করে বলতে পারেনি,কেউ বুঝেনি বন্ধুদের মধ্যে, যে নমিতাকে তা দূর থেকে বলবে। আজ বলবো বলে স্থির করেছে নিজে নিজে,বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি। আজ ভালোবাসা দিবসে এই সঠিক সময়,তাই আজ সময়ের অপেক্ষায়।
হঠাৎ অলকের কথা মনে পড়ে গেল, অলক কি আজ কলেজে আসবে, প্রত্যেক ভালোবাসা দিবসে সেই থাকতো কলেজের সকল ছাত্রছাত্রীর নয়নের মনি,আজ তার অনুপস্থিতি খুব চিন্তিত, নন্দিনী আজ ঠিক কলেজে এসেছে, অলক আসলে দেখি দুই জনকে মিলিয়ে দেয়া যায় কি না। আজ আর নমিতাকে ভালোবাসার কথা বলবো না প্রথমে নন্দিনী আর অলকের কথা দেখতে হবে, ওদের সমস্যা সমাধান হলে আমাদের বিষয়ে অলক আর নন্দিনী নিজেরাই মিটিয়ে দেবে।
চলবে
তবে বন্ধুদের মন্তব্যের উপর নির্ভর করে । শুভকামনা সকল বন্ধুদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৯