অষ্টম কিস্তি
নমিতা অপুকে ভালবাসে মন থেকে,পেতে চায় একান্তে কিন্তু দুইজনে কখনো তা প্রকাশ করেনি প্রকাশ্য,বন্ধুবান্ধবদের সামনে,কখনো জানায়নি কোন বন্ধুদেরও।কিন্তু মিত্রার আচরণে নমিতার মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করছে,অনেক দিনের পরীক্ষিত বন্ধু না জানি হারাতে হয়! তাই যত দুশ্চিন্তা।এক দিকে নিজের ভালবাসা হারানোর ভয় অন্যদিকে নন্দিনী আর আলকের ব্রেক আপ।আজ যদি অলক নন্দিনীর সম্পর্কটা ঠিক থাকতো তাহলে এত চিন্তা করতে হতো না,অলক আর নন্দিনী তার হয়ে অপুকে বলতো।মন খারাপ করছে খুব মিস করছি অপুকে।আজ কলেজে শুকুন্তলা আসলে দেখি তার সাথে অপুর বিষয়ে আলাপ করবো।শুকুন্তলা নিশ্চয় বুঝবে আমার মনের কথা। আমার আকুতি।কলেজের সময় হয়ে আসছে গোসল সেরে কিছুটা খেয়ে কলেজে যাবো মনস্থির করলো।
মা নমিতাকে ডাকল-
বলল কি রে কিছু খেয়ে নিবি, কলেজের সময় হয়েছে।
নমিতা মাকে বলল," আমি গোসল সেরে আসছি, একটু অপেক্ষা করো"।
যথাসময়ে গোসল সেরে টেবিলে আসল নমিতা,কিছুটা মন খারাপ।
মায়ের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি,জিজ্ঞাসা করলো কি রে এত মন মরা হয়ে আছিস কি হয়েছে?
নমিতা হতভম্ব হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল," কই মা আমি তো ভাল আছি"।
নাস্তা সেরে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কলেজে রওনা দিল।
......
ভাবছে কিভাবে বলবে শুকুন্তলাকে? কি মনে করবে? ইত্যাদি। এর মধ্যে কলেজে পৌছে গেল নমিতা।খুজছে শুকুন্তলাকে। কিন্তু দেখছেনা কলেজের ক্যাম্পাসে।মন খারাপ হয়ে গেল নমিতার,দপ্তরীর ঘণ্টার ঢং ঢং আওয়াজে বুঝলো ক্লাসের সময় হয়েছে।
শুকুন্তলা আজ কলেজে আসেনি,বাড়িতে কি যেন বিশেষ কাজ ছিল, অপূর্বর সাথে দেখা হয়েছে ক্যাম্পাসে, জিজ্ঞাসা করায় বুঝতে পেরেছে।অপূর্ব ভিতরে ভিতরে শুকুন্তলাকে ভালোবাসে,খুব মিস করছে বুঝা যাচ্ছে তার কথায়।এমন যে পরিস্থিতি নন্দিনী আর অলকের কারণে কোথায় যেন আটকে যাচ্ছে বন্ধুদের সমস্ত ভালোলাগা ভালোবাসা।আজ নন্দিনী অলকের সম্পর্ক যদি ভালো থাকতো এই সমস্যা কাউকে পড়তে হতোনা।সবাই সবার বিষয়ে মুখ খুলতো! কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় আজ সবাই নিশ্চুপ বাক রুদ্ধ প্রেমিক প্রেমিকা। কারো কিছু বলার নেই। সমস্ত অভিমান এখন অলক আর নন্দিনীর উপর।
ইদানিং নন্দিনী ও কলেজে প্রায় অনুপস্থিত,নেই কোন খবর! সব যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছে, নেই সেই আগের মত খোজ খবর,নেই যোগাযোগ,সব যেন ভুলে যাচ্ছে সবায়।হারিয়ে যাচ্ছে প্রত্যকের অবস্থান থেকে। বন্ধুদের মাঝে কি যেন শূন্যতা দেখা দিয়েছে।অন্যরকম হয়ে গেছে সবার মন মানসিকতা।
, , ,
কিছুদিন পর মিত্রার পরীক্ষা,মিত্রা অপুকে নিয়ে খুব ভাবছে।পরীক্ষার পর অপুর ভাইয়ার সাথে ফাইনালি বসবে।এর মধ্যে আর তাকে জ্বালাবেন বলে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মিত্রার স্কুল বান্ধবীকে সেই বলেছে কথা বলার প্রসঙ্গে, মিত্রার বান্ধবী আলিযা অপুর দুঃসম্পর্কের আত্নীয়,আবার আলিযা নমিতার পাশের বাসা থাকে।
চলবে ............।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯