ষষ্ঠ কিস্তি
দুপুরের সূর্যের প্রখরতা যেন স্বয়ং উনুনে বসার অবস্থা,প্রচণ্ড গরমে জলসে যাচ্ছে শরীর,বাতাস নেই বললে চলে!অশান্ত আবহাওয়ায় মন খুব খারাপ শকুন্তলার।অপূর্বর সাথে অনেক দিন দেখা নেই,নেই ফোনে কথা বলা।পরিক্ষার পড়ার চাপে সব ভুলে বসেছে তাই আজ খুব মনে পড়ছে অপূর্ব কে,অন্য বন্ধুদের সাথে ও দেখা নেই।মনে মনে খুঁজছে কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা।সব যেন ধোঁয়াটে অন্ধকার।অনিচ্ছায় নিদ্রার সাথে বসবাস , ভাললাগা ভালবাসায় শুধু কাদায় আগে শুনেছি এখন শুধু কাদায় না দহন হয়।
নমিতাকে ফোন দিল শকুন্তলা-
শকুন্তলাঃকেমন আছিস তুই?
নমিতাঃভাল।
পরীক্ষা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি,পুরো সেলেবাস শেষ করতে পারি নিই। এখনো অনেক পড়া বাকি,কি যে করি!ফলাফল খারাপ হলে বাবা বিয়ের চিন্তা করবে খুব বেশি।তুই আমাকে কিছু নোটস দিবি।
শকুন্তলাঃ কোন বিষয়ের।আমিও তোর মত,অনেক পড়া রয়ে গেছে কিছুতে শেষ করতে পারছিনা,মনও খারাপ।
নমিতাঃকেন? কোন কিছু হয়েছে ? শকুন্তলা ? অন্য প্রসঙ্গে চলে গেল।
অপূর্বরে সাথে দেখা হয়েছে কি বলে আনমনা হয়ে গেল।
শকুন্তলা নমিতাকে পরে ফোন দেবে বলে কেটে দিল।
নমিতা খুব চিন্তিত কি হয়েছে শকুন্তলার, কেন কোন বিদায় না নিয়ে লাইন কেটে দিল। মনের মাধ্যে নানান চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে কি হয়েছে শকুন্তলার । কি করবে কিছুই বুঝতেছেনা।
নমিতাকে নমিতার বাবা ডাকল-
মা খেতে আয় ,এক সাথে খাব । কার সাথে এত কথা বলছিস । নমিতা আসছি বলে জানাল।
কিন্তু নমিতার মন এখনো শকুন্তলার চিন্তায় অস্থির ।কি হয়েছে শকুন্তলার ? কেনই বা এভাবে অপূর্বের কথা জিজ্ঞাসা করল।
নমিতা বাবার সাথে খেতে বসল,পড়ালেখা কেমন চলছে পরীক্ষার কেমন প্রস্তুতি ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করল।ভাল করে খাবে ,শরিরের প্রতি যত্ন নেবে।
জি বলে নমিতা খাওয়া আরম্ভ করল।কিন্তু মনের মধ্যে শকুন্তলার চিন্তায় ঘুরপাক খাচ্ছে, অপূর্বর কথা ও ভাবছে অনেক দিন দেখা হয়নি, দেখা করে বিস্তারিত জানবে।
কি রে মা জুস টা খেয়ে নে বলে মা হাতে তুলে দিল।নিরানন্দে খাচ্ছে নমিতা।
মাকে উঠছে বলে নিজ রুমে চলে গেল।
চলবে............
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২২