চিন্তা ও কর্মের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সমাজে এক অলীক শ্রেণীবিভেদ এনেছে । সমাজ চিন্তা আর চেতনার ফিজিক্যাল অবস্থা চায় , চিন্তাশক্তির বিকাশের অন্তরায় এখানেই শুরু । সমাজে যারা মহান অর্থাৎ কর্মে বিশ্বাসী তারা চিন্তার লোক নন । কর্মে বিশ্বাসী মানুষ অন্যকে স্বীকার করে না বরং জ্ঞান বৃক্ষের ফল তাদের সংশয়বাদী করতে পারে এই ভেবে উন্নততর সভ্যতার পদদলিত হয় ।এখানেই শুরু অসামাজিক সামাজিক নিয়মের সমাজ বিচ্ছিন্ন করার পথচলা ।
ধর্ম শেষে যুক্তির শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে সংশয় শুরু । সংশেয়বাদীদের মৌলিক অবচেতন হল শুন্য । শুন্যে তার বসবাস । শুন্যেই মিলন হয় প্রকৃতির সাথে ।প্রকৃতি যুক্তি ছাড়া চলে না আর যুক্তির মিলন অবশ্যই এপিঠ-ওপিঠ বিলিয়ে দিয়ে মানুষকে বেখেয়াল করে দেয় , জন্ম নেয় একজন সংশেয়বাদী ।
শুন্য হতে পারতো ইশ্বর । ইশ্বর হলেন প্রকৃতি ।শুন্যের বেড়াজালে আবদ্ধ হলেন ইশ্বর আর যুক্তির এপিঠ-ওপিঠ শুন্যতা খুঁজে ফিরে আবদ্ধ হতে চাইলো প্রকৃতিতে । প্রকৃতি জানিয়ে দিল গাছের পাতা নড়ার মত তুমিও ইশ্বর !
চিন্তার মৌলিকতা না থাকলে তা হয় মোল্লাতান্ত্রিকতা । মানুষ মাত্রই মৌলিক , তার একটা নিজস্ব ফিল্টার আছে যা স্বকীয়তার পর্বত সমান অহমিকা তৈরি করে । মানুষ মাত্রই ভণ্ড । ভন্ড সে অজ্ঞানে অথবা সচেতনে ,সে ভন্ডামী করে নিজের সাথে, নিজের স্বকীয়তার সাথে ।