মানুষের চরম সত্য বিশ্বাস করার ক্ষমতা কম বরং ইনিয়ে-বিনিয়ে বলা মিথ্যা মানুষ খুব সহজে বিশ্বাস করে । একাত্তর হল এক চরম সত্য , এই একাত্তরের ভয়াবহতা ও নির্মমতা আপনার কল্পনার থেকে ভয়ানক । একাত্তর নিয়ে পড়াশুনা না থাকলে আপনার কাছে একাত্তর কে বানোয়াট মনে হতেই পারে । আপনি লোকমুখে ইনিয়ে-বিনিয়ে বলা মিথ্যা কে সত্য বলেই হয়তো ভাববেন , আপাতত বয়স্ক ব্যাক্তিরা আপনাকে বলতেই পারে একাত্তর হল গন্ডগোলের বছর ঠিক যেমন মুখে শোনা পাবলিক আর ত্রিশ বছর পর বলবে সেদিন শাপলা চত্বরে লাখ লাখ মানুষ মরেছিল । অবাক হবেন না এই দেশের মানুষ কে আমি চিনি , তারা শুন্য জ্ঞান থেকে বিশাল বিশাল থিসিস বের করে । আমাদের স্মৃতিশক্তি যে খুবই কম আর এমন শিক্ষা ব্যাবস্থায় এটা অসম্ভব না । আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা পা চাটা শিক্ষা ব্যাবস্থা । যে যত পা চাটতে পারে গোলামীর বাজারে তার দাম তত বেশি । আর যাই হোক বাঙ্গালী ভাল মানুষ চায় না বাঙ্গালী চায় দেবতা যার অসাধ্য কিছুই নেই ।
নাস্তিক গালি সম্ভবত আমাদের মুর্খামির চরম নিদর্শন । জাহানারা ইমাম শুধু তার ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নাস্তিক বনে যায় । নাস্তিক গালি সবার মুখ থেকে বের হয় না এই গালি দিতে অর্জন করতে হয় মুর্খামির , যেতে হয় ইসলামের বিরুদ্ধে । আপাতত আমি ইসলাম বলতে এটাই বুঝি আমার ইসলাম শান্তির ধর্ম কাউকে আঘাত করার জন্য নয় । কুত্তা আমারে কামড়ালে আমি তাকে কুত্তা বলেই ছেড়ে দিতে শিখেছি । আমি খারাপ হইতে পারি তবে আমার ইসলাম খারাপ নয় । অবশ্যই ইসলাম কে বিচার আপনি আমাকে দিয়ে করতে পারেন না । বুকটা হাহাকার করে ওঠে যখন আমার ইসলাম কে কিছু নামধারী মুসলীমের কারনে সমালোচিত হতে হয় ।
বেঁচে থাকুক মা জাহানারা ইমাম সকল রুমির মাঝে । একজন ত্যাগী মা কে অপমান সাধারনের মুখে মানায় না , সেটা অবশ্য তুলে রাখলাম ওইসব ভন্ড মুসলীম নামের রাজাকার দের জন্য । সত্য জানুন , ভাল থাকুন । আর বাঙ্গালীর মুখের কথাকে কম বিশ্বাস করুন । কেননা আমাদের ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলার ক্ষমতা একটু বেশিই , আল্লাহ মাথা দিয়েছে সেটা ব্যাবহার করুন ।