কোন একদিন সকালে উঠে ঢাকাবাসী আর ট্রাফিক জ্যাম দেখতে পেল না । শাহবাগ, নীলক্ষেত ,বিজয় স্মরনী , তেজগাঁও থেকে পল্টন-মতিঝিল কোথাও ট্রাফিক জ্যাম নেই । ঢাকাবাসী এই জ্যাম না থাকার কারনে নাজেহালের শিকার হচ্ছে ।ধানমন্ডি লেকের প্রেমিক পুরুষ রহিম প্রেমিকাকে দেওয়া সময়ের দুই ঘন্টা আগে এসে পড়েছে , এখন সে একা বসে বাদাম গুনছে । এদিকে জহির সাহেব অফিসে বসে দিবাস্বপ্ন দেখছেন আর সুভাষ সাহেব প্রতিদিনের আগে বাসায় ফিরে বউ সাবিতা কে দেখে সোজা ঢাকা মেডিক্যালে ।সবথেকে খারাপ অবস্থা রাস্তার হকার আর ভিখারী দের , তারা সরকার পতন আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে । এই সরকার তারা চায় না সরকার তাদের রুটি-রোজকার কেড়ে নিয়েছে এই হেতু নিয়ে তারা প্রেসক্লাবে মানবন্ধনের আয়োজন করেছে । মাননীয় ট্রাফিক জ্যাম মন্ত্রী ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে বলেছেন এই সব বিরোধী দল থুক্কু সাবেক বিরোধী দলের চক্রান্ত তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে আর সাদা বিড়াল বের করে আনবেনই ইনশাল্লাহ । অপরদিকে ম্যাডাম খালেদা জিয়া জেএসসি বলেছেন এই সরকার জ্যাম উঠিয়ে আবারো প্রমাণ করলো এই সরকার গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে না , ট্রাফিক জ্যাম মানুষের মৌলিক অধিকার সরকারকে এর প্রতিদান দিতে হবে । তিনি বছরের তিন নম্বর ঈদের পর সরকার আন্দোলনে প্রস্তুত থাকতে দেশবাসীকে এক হতে বলেছেন।
নাগরিক কবিরা কবিতা লিখতে শুরু করেছেন " জ্যাম দে হাড়ামজাদা নইলে বাস গুলো চিবিয়ে খাব" ।সুশীল প্রাবন্ধিক জ্যাম নিয়ে ইয়া বড় বড় সব প্রবন্ধ লিখছেন আর ইতিহাসবিদেরা লিখছেন ' হারিয়ে যাওয়া জ্যাম ও আমাদের ঐতিহ্য '।
অন্যদিকে বিখ্যাত লেখক নাজমুস সাদাত নিলয় ওরফে নিদাঘ প্রসুন জ্যাম নিয়ে কবিতা লিখে হয়েছেন নাগরিক কবি ,তিনি তার কাব্যগন্থ ' জ্যামাঞ্জলি ' এর ইংরেজী অনুবাদ সং অফ ট্রাফিক জ্যামের জন্য পেয়েছেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি লিট সহ এমিরেটাস অধ্যাপক বানিয়ে দিয়েছেন। বাংলা একাডেমী আর একুশে পদক তার টাইমলাইনে শোভা পাচ্ছে । তার বন্ধুরা তাকে নোবেল পাওয়া উপলক্ষে ট্রিট দেওয়ার জন্য গলায় পিস্তল ধরেছে । কবি এখানে নিরুপায় নোবেলের অর্ধেক টাকা ঘুষ দিয়ে নোবেল এনেছেন আর বাকী টাকা দিয়ে বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার চেষ্টায় আছেন , যদিও অসম্পূর্ণ ।ট্রিটের জ্বালায় নিরুপায় কবি নোবেল ফেরত দেওয়ার কথা ভাবছেন ।এমনকি কবিতায় লিখেছেন ' ছেড়ে দে দোস্ত ফেরত দিয়ে বাচি'।
উম্মম্ম ... এত সকালে ফোন দিল কোন হালায় ।