somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গেম খেলি, দেশের পতাকা ওড়াই

১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পারতপক্ষে আমি কোন গেমার নই। টুকটাক কোডিং করার পর অনেক সময় বিরক্তি চলে আসলে বা মন কিছুটা ফ্রেশ করার জন্য "ব্রলহাল্লা" গেমটা খেলি। মূলত অনলাইন ভিত্তিক এ্যাকশন গেম। বেশ ভালো লাগে, যদিও মার খাই বেশী :(( দিতে পারি কম। কিছুদিন আগে দেখলাম, কেউ একজন জেতার পর তার দেশের পতাকা ওড়ানোর ছবি দেখা যাচ্ছে। ওমনি ঘাটাঘাটি শুরু করে দিলাম, অনেক ঘাটাঘাটির পর বোঝা গেল যে, পতাকা ওড়ানোর জন্য টাকা খরচ করে পতাকা কিনতে হবে। আমেরিকা এবং বাংলাদেশ দু'টোরই পতাকা কেনা হলো। পতাকাতো হলো কিন্তু জিততে-তো আর পারছি না। ওদিকে মা'র খেতে খেতে আমার নাস্তানাবুদ অবস্থা। যাইহোক অনেক চেষ্টা আর ধোলাই খাওয়ার পর, অবশেষে জিততে পেরেছি। ভার্চুয়ালি হলেও দেশের পতাকা ওড়াতে পেরে ভালো লাগছে। অন্তত ক'জন মানুষতো বাংলাদেশের পতাকা আবারও দেখলো, এটাই শান্তি। খুশিতে তা থৈ তা থৈ অবস্থা B-) , শেয়ার না করে পারা গেল না। :P
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩২
১৩১ বার পঠিত
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

১. ১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার দেশপ্রেম প্রশংসার দাবিরাখে।

১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:০০

লেখক বলেছেন: :``>>

২. ১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:১২

কাছের-মানুষ বলেছেন:



অভিনন্দন আপনাকে।

ছোট বেলায় টাকা দিয়ে মোস্তফা গেম খেলতাম, একবার ঈদের সালামীর সব টাকা মোস্তফা গেম খেলে উড়িয়েছিলাম, তার জন্য ডাবল ধোলাই খেয়েছিলাম বাসায়, ধোলাই বলতে বাসায় বেধে রাখছিল শাস্তি সরূপ! (আমাকে জীবনে কখনই একটি চড়ও মারেন আব্বা বা মা!) তারপর থেকে গেইম খেলা বাদ দিছি এক রকম!


১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:৫১

লেখক বলেছেন: অনেক পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। বাবা-র পকেট থেকে টাকা চুরি করে মোস্তফা খেলেছি, মা ধোলাইও দিয়েছে। না, আমার বাবা-মা লুতুপুতু ছিলেন না। বাবা খুব একটা কিছু না করলেও মা পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ফেলতো। ঘরে নিত্য ব্যবহার্য যে কোন একটা কিছু মনে করুন, ধরেন ওটা দিয়েও মা ধোলাই দিয়েছেন। মাঝে গেম খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য মোস্তফা খেলা হয় না অনেক দিন তবে ব্যাকআপ ড্রাইভে এখনো গেমটা আছে। স্ট্রিট ফাইটারও মাঝে মাঝে খেলি, খেলে রেকর্ড করে ইউটিউবে দিয়ে দিই B-)

৩. ১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইফতেখার ভাই, দেশের পতাকা উড়াইছেন, ভাল্লালাগছে!

একটা কথা কই, নেগেটিভলী নিবেন না প্লিজ। আমি ব্যবসায়ী মাইন্ডের মানুষ, সব খানে ব্যবসার গন্ধ খুঁজি। দেখুন, আমাদের 'দেশপ্রেম' চেতনা দিয়েও গেম কম্পানি ব্যবসা করে নিচ্ছে!

একবার কোথায় যেন শুনেছিলাম, পুজিবাদের বিপক্ষে থাকা চে-এর ছবি নিয়েও পুজিবাদীরা টিশার্ট তৈরী করে; আর চে-প্রেমিকেরা সেটা কিনে পুজিবাদকেই প্রমোট করে!

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

লেখক বলেছেন: না, আমি নেগেটিভলি নেই নি। গেমিং ইন্ডাস্ট্রি বেশ বড়, যতদূর জানি প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের মতো আর আপনার বক্তব্যও সত্য। তবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো আমি অকারণে গেম খেলছি না, বলতে পারেন এটা স্ট্রেস রিলিসের একটা মাধ্যম। তবে পাশাপাশি গেমিং এর সময় আমি খেলাটাকে রেকর্ড করে রাখি। পরবর্তীতে তা কিছুটা এডিট করে ইউটিউবে পাবলিশ করি। কিছুটা পুঁজিবাদী ভাবনা থেকেই এটা করা যদিও আবেগটা মিথ্যে নয়। আমি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে আমেরিকা এবং বাংলাদেশ দুটোকেই প্রমোট করবো, বিনা দ্বিধায়।

বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, পূর্ব পুরুষের ঠিকানা। যদিও কাগজে-কলমে এখন আর আমার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব নেই তবুও সেটা ফিরে পেতে কাজ করছি, অন্তত দ্বৈত-নাগরিকত্ব ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করছি। আমেরিকায় আমার বেড়ে ওঠা, তরুণ থেকে যুবক আর যুবক থেকে পরিণত হওয়া এই দেশের আলো বাতাসে, অজস্র স্মৃতি আর জীবন-জীবিকায় ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা দেশ। জীবনের যতটা সময় আমি বাংলাদেশে কাটিয়েছি প্রায় ততটা সময়ই আমেরিকায়। কিছুটা আবেগতো কাজ করবেই। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ।

৪. ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: গুড জব।
দেশের পতাকি উড়িয়ে আপনি আনন্দ পেয়েছেন এবং আমরাও আনন্দ পেয়েছি।
আমার ভাগ্নী আমেরিকা বেড়াতে গিয়েছে, শে সাথে করে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে গেছে।

আমি একটা গেমসই খেলি- কেন্ডি ক্রাশ। গত ৬/৭ বছর ধরে খেলেই যাচ্ছি। শেষ আর হয় না। এখন আমি ৫২৪১ লেভেলে আছি। এই খেলার শেষ স্টেজ কোথায় আমি জানি না।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

লেখক বলেছেন: "ক্যান্ডি ক্রাশ" আমি কয়েকবার খেলেছিলাম, বেশীদিন খেলা হয় নি। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনাকে যতটা সম্ভব ধরে রাখা। ব্যবসা সেখানেই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতাকামীদের বাচ্চারা মাদ্রাসায় গিয়ে কিসে পরিণত হয়?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭



স্বাধীনতাকামীদের বাচ্চারা মাদ্রাসায় গিয়ে শিবির কিংবা হেফাজতে পরিণত হয়, যারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

মুসলিম বিশ্বে, গরীবদের ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় গিয়ে, আধুনিক জীবনভাবনা থেকে বিদায় নেয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

ইহা, উহা, ইহার, উহার, ইহাকে, উহাকে - ইত্যাকার সাধু ভাষার শ্রুতিমধুর কিছু শব্দসম্ভারের প্রয়োগ কদাচিত আমাদের প্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাফ-লেডিস বলছি.......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮


(ছবি নেট হতে)

আজ ব্লগ না থাকলে কবেই আত্মহত্যা করতে হতো। জ্বী আমার কথাই বলছি। আমার মতো উপযোগহীণ গর্দভ টক্সিক ব্যক্তি বেঁচে আছি শুধু ব্লগের জন্যে। কিভাবে? তবে বলছি শুনুন।

ছোটবেলা হতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভুলে যাচ্ছি কত কিছু=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২



ভুলে যাচ্ছি মমতার ঋণ, বাবার আদর
ক্রন্দনরত দিন, বৃষ্টির ঝুম আওয়াজ
ভুলে যাচ্ছি কত কিছু দিন দিন
বিছানো ছিল কোথায় যেন স্নেহের চাদর।

ভুলে যাচ্ছি দেহের শক্তি, সরল মন
কঠিনের মাঝে ডুবে ধীরে
ভুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রেমিট্যান্স যোদ্ধা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৬


সদ্যই আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপরিবারে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন। নির্বাচনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরসহ অন্যান্য সবাইকে এক প্রীতিভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা যাচাই-বাছাই করে সেসব অতিথিদের ভেতরে ঢুকতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×