পথের আলো নিভে ক্রমশ আঁধার নেমে এলে
কত কিছু ভাবি
ভাবি তোমাদের কত দেনাপাওনা
অতীতের খেলার মাঠ
ডুমুরের ডালে হাত ছেড়ে বাঁদর নাচন
কদমের খোসা ছিলে মারবেল খেলা
জোনাকির আলো নিয়ে ভোদৌড়।
বৃষ্টিভেজা স্কুল বারান্দায় বাদামের হাতাহাতি
কাঁদামাটির ফুটবল শেষে
আরো একবার নদীর বুকে আত্মসমর্পণ।
এভাবে অন্ধের লাঠি নিয়ে লুকোচুরি
পাড়ার বুড়োদের বিকৃত নামে ক্ষ্যাপানো
অসহায়ের বোঝা তুলো দেয়া।
গরুর পিঠে চড়ে বাড়ি ফেরা
কোন এক রুদ্রকর দুপুরে শূণ্য চরের বটতলে
চোখ বুজে বাঁশিতে সুর তোলা
নারা ক্ষেতের ভেতর শালিকের হৈচৈ
প্রতিবেশীর টিনের চালে ঢিল মারা
গাছের সর্বশেষ বরইটা এক ডিলে ফেলে দেয়া
অথবা শাপলা খোঁজা ভোর
মুঠো মুঠো সিমের বিচি।
গাংচিলের ডানার মতন
ঋ-কার বৃত্তে গ্রাম থেকে গ্রাম হেঁটে চলা
ক্ষয়ে যাওয়া জুতার নিচে অপচয় সময়গুলো জমে থাকা
অশৈশব প্রেমের আবেগাতুর প্রেমপত্র
দেয়ালে দেয়ালে প্লাস মাইনাসের চিত্রকল্প
সব পুরানো হয়ে গেছে
শুধু স্মৃতিস্তম্ব থেকে একটা নাকফুল, একজোড়া কানপাশা
এবং পেছন থেকে দেখা হেঁটে যাওয়া এক মানবীর কমন দৃশ্য
এখনো জাজ্বল্যমান
আমাকে টানে, অতীদের দিক।