নাহ! ভুলটা আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থারই। আচ্ছা ধরুন আজকে আমরা আমাদের জাতীয় বীর মুস্তাফিজকে চিনি না। চার পাঁচ বছর আগে সে সবেমাত্র এসএসসি দিল এবং এ প্লাস পেল! আমাদের মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জনাব বিশেষজ্ঞ (বিশেষ অজ্ঞ) সাংবাদিক ভাই গেলেন মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করতে পিথাগোরাস কে, GPA এর ফুল ফর্ম কি, আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি এর ইংরেজি কি এইসব হাবিজাবি। বেচারা মুস্তাফিজ একটারও উত্তর দিতে পারল না এবং একদিন পরেই উনি জাতির সামনে উপস্থাপিত হলেন জাতীয় বোকা হিসেবে। ভাবতে পারছেন পরিস্থিতিটা কি হত? বাংলাদেশ মুস্তাফিজের মত একটা হীরার টুকরাকে চিরজীবনের মত হারাতো। এত এত লজ্জার সামনে সে মাথা তুলে দাড়ানোর সাহস পেত কিনা সন্দেহ আর মাঠে বল করে ঝড় তোলার চিন্তা তো দূরের কথা। ভাগ্যিস মুস্তাফিজের প্রতি উপরওয়ালা সদয় ছিলেন বলে উনি আজ জগদ্বিখ্যাত বোলার! আমি জিপিএ ৫ পেয়েছির ইংলিশ না জানলেও উনি আজ ডেভিড ওয়ার্নার, টম মুডিকে ভালই দু একটি বাংলা শিখিয়ে দিয়েছে যেটা আমাদের শিক্ষিত গাধাদের কজনই বা পেরেছে? মূল সমস্যাটা আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থার শিকড়ে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা হয়ে গেছে ঠিক এরকম- একদিন এক মাস্টার মশাই বসে আছেন আর তার সামনে বসে আছে তার ছাত্র-ছাত্রীরা যাদের মধ্যে রয়েছে হাতি, বানর, কোকিল, দোয়েল সহ আরো অনেকে। মাস্টার মশাই ঘোষণা দিলেন যে আজকের পরীক্ষার মূল বিষয়বস্তু হলো আকাশে উড়া। আকাশে যে উড়তে পারবে না সে ফেইল আর যে পারবে সে এ প্লাস। কোকিলের ডাক পড়ল সর্বপ্রথম এবং অত্যন্ত নিপুণতার সাথে সে আকাশে উড্ডয়ন করে এ প্লাস হাসিল করলো। এবার পালা দোয়েলের। সে তার উড্ডয়ন ক্ষমতা দেখিয়ে মাস্টার মশাইকে থ মারিয়ে দিলো এবং যথাক্রমে এ প্লাস। এবার পালা বেচারা হাতির। সে প্রথম থেকেই না না বললেও পরে তার বিশালাকার দেহ নিয়ে অনেক উড়ার চেষ্টা করলো কিন্তু পারল না। তার উপর সাথে সাথেই ফেলটুস তকমা পড়ে গেল। বানর বাবাজিরও একই অবস্থা! সারাক্ষণ অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ করে থাকলেও ওই উড়তে পাড়ার অক্ষমতার কারণেই সেও ফেলটুশের খাতায় নাম লেখালো। কিন্তু মাস্টার মশাই তাদের সক্ষমতার দিকে একটুও নজর দিল না। বানর যে কত সুন্দর গাছে চড়তে পারে কিংবা হাতি সাহেব যে কত সুন্দর শুড়ের ভেতর পানি ঢুকিয়ে খেল দেখাতে পারে সেটা তার অগোচরেই রয়ে গেল। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও আজ এখানেই এসে থেমেছে। আমরা কোন জায়গায় কাকে নিয়োগ করতে হয়, কোন সেক্টরে কাকে প্রয়োজন সেটা বিচার না করে ঢালাওভাবে সবাইকে উড়তে বলি পাখির মত। কিন্তু বানরেরও যে কত উদ্ভাবনী ক্ষমতা রয়েছে সেটা আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। শিক্ষার একই চশমা দিয়ে সবাইকে বিচার করতে গেলে আজ হয়তো আমাদের জাতীয় বীর মুস্তাফিজকে ফেলটুশের তকমা মাথায় লাগিয়ে ঘুরতে হতো। মুস্তাফিজ ভাগ্যবান ছিল বলে সে আজ বিশ্বসেরা! কিন্তু হাজার হাজার মুস্তাফিজ তো আর ওতো ভাগ্যবান নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসম্ভব সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হয়তো দেখা গিয়েছে আজ তারা প্রশ্নবাণ়ে ক্ষত বিক্ষত। এদের মধ্যেও হয়তো আগামীর মুস্তাফিজ লুকিয়ে আছে কিন্তু তাকে বেরিয়ে আসার সুযোগ কই দিলাম? বের হয়ে আসার আগেই তো তাকে মেরে ফেললাম। সব ছেলে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে এটা তো কোনো কথা না। কেও পাইলট হবে, কেও শিক্ষক হবে, কেও ব্যাংকার হবে কিংবা কেও রেষ্টুরেন্টের নামকরা শেফ হবে! ইচ্ছা, ট্যালেন্ট দুটোই ওদের, কিন্তু সুযোগ দানের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার, আমাদের সরকারের। আইনস্টাইন সম্পর্কে একটা কথা প্রচলিত আছে আর সেটা হলো উনি নাকি নিজের ফোন নাম্বার, হোম এড্রেস কিছুই মনে রাখতে পারতেন না! কেন প্রশ্ন করলে তিনি সবসময়ই বলতেন যে জিনিসটা আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলেই সহজে জেনে নেওয়া জানা যায় সেটা মনে রাখার দরকার কি? ভিডিওর ছেলেগুলোও তাই বলতেই পারে "যে জিনিসগুলো গুগল করলেই হাতের কাছে পেতে পারি সে জিনিসগুলো জেনে রাখার প্রয়োজনটা কোথায়?" হয়তো দেখা যেতে পারে এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আমাদের ভবিষ্যত মুস্তাফিজ কিংবা দেশ সেরা গলফার সিদ্দিক। বের করে আনতে প্রয়োজন শুধু "আকাশে উড়তে" বলার শিক্ষা পদ্ধতির বিয়োগীকরণ।
স্যরি! ভুল তোমাদের না! ভুল তাদেরই
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?
বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গণমুখী একটি চাওয়া
মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।
দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।
সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ
২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?
"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন