বালিকা,
যখন পাশ দিয়ে হেঁটে যাও
তখন তুমি হয়তো খেয়াল করো না আমাকে
কিন্তু, তোমার চোখ দুটোকে জিজ্ঞেস করে দেখো একবার
তাদের দিকে আত্মীয়তার আহবান নিয়ে কোন চোখগুলো তাকিয়েছিল সবচেয়ে বেশি?
তোমার কেশদানিকে জেরা করে দেখো একবার
সেই কেশদানিতে ফুল চড়াতে সবচেয়ে বেশি কোন দুটি হাত উম্মুখ হয়ে ছিল?
তোমার ওষ্ঠযুগলকে দুষ্টামির ছলে একবার জিজ্ঞেস করে দেখই না
তাদের সাথে পাড়ার অন্য কোন ওষ্ঠদ্বয় সখ্যতা গড়তে চায়?
নোংরামির জন্য নয়...
আজীবন একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার জন্য।
তোমার হাতের আঙ্গুলগুলোর দিকে একটু নজর দাও।
দেখছ না ওরা কেমন অনাথের মত বলছে,
ওদের দশটা পুরুষ সঙ্গী চাই।
অসভ্যতার জন্য নয়...
শুধু একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নির্ভরতার নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য।
তোমার সিঁথি প্রতি রাতে কেন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করে জানো?
জীবনের কুড়িটি বসন্ত সে বিধবার মত সাদা শাড়ি পড়ে কাটিয়েছে
এই বসন্তে সে নতুন বৌয়ের মত লাল টুকটুকে শাড়ি পড়তে চায়।
আচ্ছা, শুচিস্মিতা! তোমার হৃদয় কি আসলেই তোমার কাছে?
নাকি কারো কাছে বর্গা দিয়েছ?
তোমার দয়া মায়া বলতে কি কিছুই নেই?
আমার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
তোমার শরীরের ওই অবুঝ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর কথা একটু ভাবো
আর কত রাত তাদের বালিশ এভাবে ভিজতে দিবে?
আর কত দিন তাদের নিঃসঙ্গতার বোঝা সইতে হবে?
আর কত সময় তাদের একাকিত্বের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে?