আজ নারী জাগরণেরর পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার জন্ম দিন। তিনি গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ অনেক কিছুই রচনা করে গেছেন। তার রচনার মধ্যে কয়েকটি কৌতুকও আছে। সে সব কৌতুক থেকে নিচে কয়েকটি তুলে ধরা হলো---
কৌতুক -০১
এক আফিংচি ছেলে কোলে লইয়া মেলায় গিয়াছিল; অনেকক্ষণ নানা দৃশ্য দেখার পর তাহার মনে হইল ছেলে কোথায় হারাইয়া গিয়াছে। বেচারা ছেলে খুঁজিয়া হয়রান। শেষে থানায় সংবাদ দিয়া বাড়ি ফিরিল। ঘরে প্রবেশের সময় কপাটের আঘাত লাগায় তাহার কোলের ছেলে কাঁদিয়া উঠিল। তখন সে ছেলের গালে চড় মাড়িয়া বলিল-- "কমবখৎ! আগে কাঁদিসনি কেন? তা হলে আমার এত হয়রান হয়ে থানায় খবর দিতে হত না।"
কৌতুক-০২
হরিশ বাবু চাকরের হাতে একটা চিঠি আর পাঁচটা পয়সা দিয়া বলিলেন যে, সে যেন টিকিট কিনিয়া চিঠিতে আঁটিয়া চিঠিখানা ডাকে দেয়। চাকর কিছুক্ষণ পরে আসিয়া হাসিমুখে পয়সা ফেরত দিয়া বলিল-- "নিন আপনার পয়সা। যেই দেখলুম ডাকবাবু মাথা নিচু করে লেখাপড়া করছেন, আমি অমনি চুপি চুপি চিঠিখানা ডাক-বাক্সে ফেলেই দিয়েছি দৌড়। দেখুন ত, কি বুদ্ধি করে বিনি পয়সায় আপনার চিঠি ডাকে দিয়ে এলুম, তবু আপনি আমায় বোকা বলেন।"
কৌতুক-০৩
দুইটি ছোট বালিকা পুতুলের বিবাহ দিতেছিল। তাহাদের একজন বরের মা এবং একজন ক'নের মা সাজিয়াছিল। বিবাহের মন্ত্র পড়াইবার সময় মোল্লাজী বরের পিতার নাম জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠাইলেন। বরের মা উত্তরে বলিয়া পাঠাইল যে, বল উহার মায়ের এখনও বিবাহ হয় নাই।
কৌতুক-০৪
একজন শিক্ষক ছাত্রদিগকে ভূগোল পড়াইবার সময় দিক-নির্ণয় বুঝাইতেছিলেন। তিনি একটি ছোট ছেলেকে জিজ্ঞাসা করিলেন,-- "দেখ, তোমার বাম হাত দক্ষিণ দিকে, ডান হাত উত্তরে, মুখ পশ্চিম দিকে, এখন বল তো তোমার পশ্চাতে কি আছে?" সে উত্তর দিল, "স্কুলে আসিবার সময় মা আমার ছেঁড়া প্যাঁৎলুনে একটা তালি লাগিয়ে দিয়েছেন, তাই আছে।"
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৩