টাঙ্গাইল সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজার।
ছবি-০২
মওলানা ভাসানীর কবর।
ছবি-০৩
১৭ই নভেম্বর তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবরের উপরে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং ভক্ত বৃন্দের দেয়া ফুলের তোড়া।
ছবি-০৪
মওলানা ভাসানী জীবিত থাকা অবস্থায় যত সভা সম্মেলন করেছেন তার প্রায় সব সম্মেলনেই প্রধান খাবারের আয়োজন ছিল খিচুরী। এমন কি তার বাড়িতেও ছোট খাটো অনুষ্ঠান হলেও খিচুরীই প্রাধন্য পেত বেশি। আমি তার মৃত্যু বার্ষিকীর তিনদিন পড়ে গিয়েছি, তখনও মাজারের পাশে বসে এক ভক্তকে খিচুরী খেতে দেখে মওলানা ভাসানীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খিচুরীর কথা মনে পড়ে গেল। ছবি উঠাতে গেলে ভক্ত মুখ ঢাকলেন। বাধ্য হয়ে কলার পাতায় রাখা শুধু খিচুরীর ছবিই তুলে নিলাম।
ছবি-০৫
মওলানা ভাসানীর দরবার হল। ১৬ চালা বিশিষ্ট শাল কাঠের খুঁটির উপর বিশাল ঘর। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখি তখনও ধানের খড় বিছানো আছে। বুঝতে পেলাম এখানে সারা রাত বাউল গানের আসর হয়েছে।
ছবি-০৬
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিশাল পুকুর। দেখে নয়ন জুড়িয়ে যায়। এটা সন্তোষের রাজ বাড়ির পুকুর। এই রাজবাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা আছে। ১৯৩৮ সালে চারাবাড়ি নদীর ঘাটে নৌকা থেকে নেমে ঘোড়ায় চড়ে যাওয়ার সময় রাজার পাইক পিয়াদারা মওলানা ভাসানীর ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরেছিল। রাজ বাড়ির সামনে দিয়ে সেই সময় প্রজারা জুতা পায়ে, ছাতা মাথায়, বা জুতা পায়ে হেঁটে যেতে পারতো না। খালি পায়ে ঘোড়া থেকে নেমে হেঁটে যেতে হতো। পেয়াদারা তাকে ঘোড়া থেকে নেমে হেঁটে যেতে বললে মওলানা ভাসানী পেয়াদাদের জিজ্ঞাস করেছিল, এটা কার হুকুম? তারা বলল, রাজার হুকুম। ঘোড়ার লাগামে ঝটকা টান দিয়ে চাবুকের বাড়ি মেরে বলেছিল, তোর রাজারে বলিস মওলানা ভাসানী ঘোড়ায় চড়েই যাবে এবং গিয়েছিল।
ছবি-০৭
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাজানো তোরণ।
ছবি-০৮
মওলানা ভাসানীর নিজহাতে গড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
ছবি-০৯
সন্তোষের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছবিটি তোলার পরেই আমার ক্যামেরার ব্যাটারী ফিউজ হয়ে যায়। তাই আর কোন ছবি তুলতে পারি নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪