পোড়াবাড়ির চমচম
পোড়াবাড়ি হাটে একটি মিষ্টির দোকান।
পোড়াবাড়ির চমচম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া ভার। তবে মজা করে পোড়াবাড়ির চমচম সবাই খেলেও পোড়াবাড়ির হাট টাঙ্গাইলের কোথায় এটা অনেকেই জানেন না। আমি সেই পোড়াবাড়ির হাটেই গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইল থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে এই হাট। অজপাড়া গাঁয়ের ভিতর গ্রাম্য হাট। মিষ্টির জন্য যেই সুনাম এই হাটের সেই তুলনায় মিষ্টির দোকান চোখে পড়ল না। পুরো হাট জুড়ে মোটে ছোট ছোট চার পাঁচটি মিষ্টির দোকান। তার দু'একটিতে সাইনবোর্ড চোখে পড়লেও বাকিগুলোতে কোন সাইন বোর্ড নেই এমন কি পর্যাপ্ত পরিমাণ মিষ্টিও নেই। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিষ্টি না থাকলে কি হবে টাঙ্গাইলের মিষ্টির জন্য এই হাট থেকেই দু'একশ' মণ দুধ সরবারাহ হয়ে থাকে, তার বাস্তব চিত্র চোখে দেখেছি।
পোড়া বাড়ি হাটের মিষ্টির দোকানে বসে ছিলেন পুজা মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রতিষ্ঠাতা। নাম লক্ষণ গৌড়, বয়স ৯০ বছর। বাপ-দাদারাও মিষ্টির ব্যবসা করতেন। বর্তমানেও তিনি এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন।
পোড়া বাড়ি হাটের উত্তর পাশের বট গাছ।
পোড়া বাড়ি হাটের বট গাছের তলায় দুপুর ১২টায় বসেছে সবজির হাট। ক্ষেত থেকে তুলে আনা গেরস্থদের টাটকা সবজি বিক্রি হচ্ছে।
পোড়া বাড়ি হাটে দুপুর ১২টার সময় কলসী বোঝাই দুধের হাট।
পোড়া বাড়ি হাটে গৃহস্থ বাড়ির গরুর দুধের বাজার।
দুধের কলসী মাথায় নিয়ে গেরস্থরা ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে পোড়াবাড়ি হাটে আসছে।
পোড়া বাড়ি মাছের বাজার।
২৫ বছর আগে যখন পোড়া বাড়ি হাটে বেড়াতে এসেছিলাম তখন এটি ধুধু বালু চর ছিল। এখন দেখে চেনাই যায় না। সেই ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ের ধুধু বালু চর এখন কত সুন্দর সবুজ গ্রাম।
টাঙ্গাইল থেকে পোড়া বাড়ি যাওয়ার পথে ব্রিজ ভেঙে মেরামত করা হচ্ছে, তাই ব্রিজের নিচ দিয়ে ধুলা বালির রাস্তায় যেতে হয়।
পোড়া বাড়ি ধলেশ্বরী পাড়ে গাছের ছায়ায় ঘোড়াটি দাঁড়ানো।
পোড়াবাড়ি হাটের দোকানের একটি সাইনবোর্ড।
পোড়া বাড়ি হাটের ভিতরে ঘোরাঘুরি করতেই কানে এলো বাঁশির সুর। এগিয়ে গিয়ে দেখি হাটের দোকানে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। নাম শফি মিয়া।
সুমধুর সুরের বাঁশি শুনে মুগ্ধ হয়ে ভিডিও করলাম। আপনাদের জন্য ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১০