শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
ঘটকালী ভাই মহান পেশা
নাই কোন এর জবাব
সব কথাকে দ্বিগুণ বলা
ঘটকগুলোর স্বভাব।
অনেক সময় তাদের জন্যই
উল্টাপাল্টা হয়
অসমদের সমান করতে
অনেক কথা কয়।
মেয়ের পক্ষ দেখতে গেলো
গাঁও গেরামের ছেলে
দেখার পরে অনেক প্রশ্ন
করছে দেলে দেলে।
গার্জিয়ান কয়, বলো তো বাপ,
বাবার জমি কত?
বলছে ছেলে, খুব বেশি নয়
বিঘা নয়ের মত।
ঘটক শুনে রাঙা চোখে
ক্ষেপলো যে দ্বিগুণ
ছেলের কথা উড়িয়ে দিয়ে
বলল কয়েক গুণ।
দাড়ি নেড়ে বলল জোরে
বলছে সে তো কম
নব্বই বিঘায় সকাল বিকাল
হাল চলে হরদম।
তিনটা ঢেঁকি তিন বেলাতে
বেগুন ছানা করে
খাল পুকুরে চার পাঁচজন
মাছই শুধু ধরে।
চাকর বাকর হিসাব ছাড়া
ক্ষেত খামারে খাটে
তিন চারজন বাজার করতে
থাকে হাটে ঘাটে।
ইহার পরে গার্জিয়ান কয়,
কোন ক্লাসে পড়
এইটা শুনে ছেলে এবার
কাঁপছে থরোথরো।
কাঁপতে কাঁপতে বলল শুধু
আইএ ক্লাসে পড়ি
এই কথাটায় ঘটক মাশায়
উঠল তড়িঘড়ি।
বলল হেসে, লজ্জায় ছেলে
সবকিছু কম কয়
ছাত্র ভালো আগামী বছর
এমএ পাশ হয় হয়।
এইটা শুনে সরল ছেলে
খুকখুক কাসি দিলে
তাকিয়ে থাকে মেয়ের বাবা
পরস্পরে মিলে।
একজন বলল, বাবাজির কি
হয়েছে ঠান্ডা কাসি
ঘটক এটাও দ্বিগুণ বলায়
উঠল সবাই হাসি।
‘কাসি কি গো যক্ষ্মা হবে’
যেই না ঘটক বলল
তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে
মেয়ের বাবা চলল।
সব ঘটকই দ্বিগুণ দ্বিগুণ
জমির হিসাব দেয়
কাসিটাকে যক্ষ্মা বললে
কেউ কি মেনে নেয়?
ঘটক সাবের দ্বিগুণ কথায়
বিয়ে গেল ভেঙে
ছেলের বাবা লাঠি হতে
লড়কে এবার লেংগে।
(ছবি ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮