শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
ক্লাসের ফার্স্ট বয়রা সবসময় ক্রিয়েটিভ হয়। তাদের পরীক্ষার প্রশ্ন কমন না পরলেও মেধা খাটিয়ে দুই এক প্যারা হলেও লিখে দেয়ার চেষ্টা করে। তাতে পুরো নাম্বার না পেলেও দুই চার নাম্বার অনায়াসেই পেয়ে থাকে।
তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছিল ক্লাস ফাইভের ফার্স্ট বয় একটি ছেলের বেলায়। বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই বাংলা পরীক্ষা। বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা গ্রামারও আছে। গ্রামারের প্রথম প্রশ্নটিই বই পুস্তকের বাহির থেকে এসেছে। আন কমন প্রশ্নটি পড়েই ছেলেটির মাথায় হাত। এমন একটি প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে সে কখনও কল্পনাই করে নাই। মনে মনে ভাবল যে ভাবেই হোক এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারলে তার প্রথম হওয়ার চান্স শত ভাগ।
প্রশ্নটি হলো-- পাদ কাহাকে বলে, কয় প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত উদাহারণসহ লিখ।
কিন্তু মজার বিষয় হলো, ভুল ছাপার কারণে “পদ” শব্দটির মাঝখানে আকার হওয়ায় পুরো প্রশ্নটির বিষয় বস্তু উল্টে যায়।
প্রশ্নটি ছিল ঃ পদ কাহাকে বলে, কয় প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত উদাহারণসহ লিখ।
পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে ভুল বানান ছাপা হওয়ার বিষয়টি মেধাবী ছেলের মাথায় আসল না। কারণ, তার ধারণা, প্রশ্নের উত্তর লিখতে ছাত্ররা বানান ভুল করতে পারে কিন্তু প্রশ্ন পত্রে বানান ভুল কখনই থাকতে পারে না। যেহেতু প্রশ্ন পত্র অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ তৈরী করে থাকেন। সেই চিন্তা করেই ছেলেটি সময় নষ্ট হওয়ার ভয়ে কাউকে কিছু না জিজ্ঞেস করেই মাথা খাটিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে লাগল--
প্রশ্ন ১। পাদ কাহাকে বলে, কয় প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত উদাহারণসহ লিখ।
উত্তরঃ যে বায়ু গুহ্যদ্বার হইতে নির্গত হইয়া মানব কুলের নসিকা রন্ধ্র ব্যকুল করিয়া তোলে তাহাকে পাদ বলে।
পাদ তিন প্রকার। যেমন ঃ ১। ভোম পাদ ২। ঠাস পাদ ৩। ঠুস পাদ।
১। ভোম পাদঃ যে বায়ু গুহ্যদ্বার হইতে ভোম ভোম শব্দে নির্গত হইয়া মানব কুলের কর্ণকুহুর সচকিত করিয়া তোলে তাহাকে ভোম পাদ বলে।
এই পাদে অনেক সময় দুর্গন্ধ থাকে অনেক সময় দুর্গন্ধ থাকে না।
২। ঠাস পাদঃ যে বায়ু গুহ্যদ্বার হইতে ঠাস ঠাস শব্দে নির্গত হইয়া মানব সমাজকে চমকিয়া তোলে তাহাকে ঠাস পাদ বলে।
এই পাদ অতি উচ্চ শব্দে নির্গত হইলেও ভোম পাদের চেয়ে অনেকটা বেশি দুর্গন্ধময়।
৩। ঠুস পাদঃ যে বায়ু গুহ্যদ্বার হইতে মৃদু শব্দে ঠুস করিয়া নির্গত হইয়া দুর্গন্ধে মানব কুলের নাসিকা রন্ধ্র ব্যকুল করিয়া তোলে এবং সভা সমিতি নষ্ট করিয়া ফেলায় তাহাকে ঠুস পাদ বলে।
তিন ধরনের পাদের মধ্যে ঠুস পাদের শব্দ কম হইলেও দুর্গন্ধ মারাত্মক। এই পাদের দুর্গন্ধ সম্বন্ধে বিশদ বিবরণ অনাবশ্যক। কারণ, এই পাদের দুর্গন্ধ সম্পর্কে মনাব সমাজে কারো অভিজ্ঞতা কারো চেয়ে কম নয়।
বিঃ দ্রঃ কোন কারণে কোন স্কুলের প্রশ্ন পত্র আমার এই গল্পের প্রশ্নের সাথে মিলে গেলে এবং উত্তর যদি এই রকম হয় আমি কিন্তু দায়ী নই।
(গল্প সংগৃহীত, ছবি নেট)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯