somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
অনেক দিন হলো সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু এর আগে কখনও যাইনি তাই অচেনা সমুদ্র দ্বীপে একা একা যেতে চাইলেও যেতে সাহস পাচ্ছিলাম না। দুপুরে অফিসে বসে সেন্ট মার্ন্টিন নিয়ে আলাপ করতেই মুকুল যেতে রাজি হলো। পরদিন ২৬ মার্চ। অফিস বন্ধ। রাতেই সেন্টমার্ন্টিন যাওয়ার জন্য অফিস থেকে আরো তিন দিনের ছুটি নিয়ে বাসায় চলে এলাম। রাত দশটার দিকে ব্যাগে কাপড়-চোপড় নিয়ে বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা হলাম। সায়দাবাদ গিয়ে চিটাগাংয়ের বাসে টিকিট কেটে দুইজন সিটে গিয়ে বসলাম।

রাত এগারোটায় বাস চিটাগাংয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিল। ইচ্ছা ছিল ভোরে চিটাগাং পৌঁছেই কক্সবাজারের দিকে রওনা হবো এবং সময় নষ্ট না করে ঐদিনই টেকনাফ গিয়ে পৌঁছব। প্রয়োজনে রাতে টেকনাফে থেকে পরদিন সকালে সেন্ট মার্টিনের দিকে রওনা হবো। কিন্তু বিধিবাম। দাউদ কান্দি পার হয়ে কিছুদুর যাওয়ার পরেই যানজটে আটকে গেলাম। বাস কোনভাবেই আর এগোচ্ছে না। ভোরে যেখানে চিটাগাং যাওয়ার কথা কপালের ফেরে এখানেই ভোর হয়ে গেল। ট্রাকের সামনের চাকা ভেঙে রাস্তার মাঝখানে মুখ থুবড়ে আড়াআড়িভাবে পড়ে আছে। দুইদিকে বাস ট্রাক আটকে গেছে। উভয় পার্শ্বে কযেক মাইল যানজট। উপায়ন্তর না দেখে কিছু বিপদগ্রস্থ উৎসাহী লোক ট্রাকটি ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাস্তার এক পাশে সরিয়ে রেখে রাস্তার যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।

বিশাল যানজট ঠেলে চিটাগাং যখন গিয়ে পৌঁছলাম তখন বিকাল চারটা। বাধ্য হয়ে চিটাগাংয়ের একটি হোটেলে রাত্রী যাপন করে পরদিন ভোরে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে প্রথম বাস ধরে রওনা হলাম। ভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় যেতে বেশি সময় লাগল না। সকাল আটটায় গিয়ে কক্সবাজার পৌঁছলাম। কক্সবাজার বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে বাস থেকে নেমেই টেকনাফগামী এসি বাস পেয়ে গেলাম। দেরি না করে তাড়াতাড়ি টিকিট কেটে বাসে উঠে বসতেই একটু পরেই বাস ছেড়ে দিল। সকাল দশটায় গিয়ে টেকনাফ পৌঁছলাম।

সেই সময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বিপে যাওয়ার জন্য এক মাত্র বাহন হলো বড় বড় কাঠের নৌকা বা ট্রলার। লঞ্চ স্টীমার তখনও চালু হয়নি। বাস থেকে নেমে ট্রলার ঘাটে গিয়ে দাঁড়াতেই কয়েকজন ট্রলারওয়ালা সেন্ট মর্ন্টিন যাবো কিনা জিজ্ঞেস করল। অজ্ঞতা বসতঃ আমরা না যাওয়ার কথা বললাম। মুকুলের কথা হলো হোটেলে কিছু না খেয়ে রওনা দেওয়া ঠিক হবে না। তার কারণও আছে। সকাল দশটা বাজলেও পেটে কোন দানা পানি পড়েনি। দু’জনেরই ক্ষিদে পেয়েছিল। কিন্তু সকাল দশটার পরে টলারে যাওয়া যে বিপজ্জনক সেটা টের পেয়েছিলাম সমুদ্রের মাঝামাঝি যাওয়ার পরে। সেই নাকানি চুবানির কথা পরে বলবো।

টলার ঘাট থেকে ফিরে এসে হোটেলে ঢুকে রুটি পরোটা না খেয়ে দুইজনে পেট ভরে ভাত খেয়ে নিলাম। এগারোটার সময় ঘাটে এসে দেখি সব টলার চলে গেছে। মাত্র একটি টলার আছে। টলারওয়ালা টলার ছাড়ার পূর্বমূহুর্তে আমাদের দেখে স্টার্ট দেয়া অবস্থায় রসি টেনে ধরে টলার আটকিয়ে রেখে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল আমরা সেন্ট মার্টিন যাবো কিনা? আমরা যেতে চেয়ে ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস করলাম। ত্রিশ টাকা করে দুইজনের ষাট টাকা ভাড়া। আমরা ভাড়া নিয়ে আর কোন কথা না বলে ঐ ভাড়াতেই যেতে রাজী হয়ে গেলাম। ট্রলার ওয়ালা তাড়াতাড়ি আমাদের টলারে উঠার জন্য অনুরোধ করল। আমরা টলারে উঠতে যাবো এমন সময় এক লোক বাধা দিয়ে বলল, টলারে উঠার আগে ঘাটের চাঁদা দিয়ে যান।
আমরা দু’জন তো থ মেরে গেলাম। বললাম, আমরা কোনো মাল সামানা নিচ্ছি না। আমরা চাঁদা দিব কেন?
লোকটি বলল, ঘাটের চাঁদা। এটা দিতেই হবে।
জিজ্ঞেস করলাম, চাঁদা কত?
লোকটি বলল, জন প্রতি ত্রিশ টাকা।
চাঁদার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। সেই সময় ত্রিশ টাকার অনেক মূল্য। দুইজনে ষাট টাকা। ট্রলারের ভাড়ার সমান ঘাটের চাঁদা দাবী করায় আমরা দিতে অস্বীকার করলেও লাভ হলো না। তাদের দাবীকৃত পুরো টাকা ছাড়া টলারে উঠতেই দিল না। ষাট টাকা নিয়েই ছাড়ল। আহাম্মকের মত ষাট টাকা চাঁদা দিয়ে টলারে উঠলাম।

দুই ইঞ্জিনের ট্রলার। এক ইঞ্জিন চালিয়ে নাফ নদী দিয়ে দক্ষিণ দিকে চলল। আমি এবং মুকুল সমুদ্র ভ্রমণের জ্ঞান না থাকায় টলারের মাঝ খানে গিয়ে বসলাম। আমাদের ধারনা টলারের মাঝখানে বসলে আরামে যেতে পারবো। ঢেউয়ে যখন টলারের আগা পাছা দুলবে তখন আমরা মাঝখানে দুলুনি ছাড়াই বসে থাকবো। কিন্তু সমুদ্রের মাঝখানে যাওয়ার পর সে ধারনা ভুল হলো।

প্রায় একঘন্টা চলার পর ট্রলার নাফ নদী ছেড়ে পশ্চিম মুখ করে সমুদ্রের দিকে পাড়ি দিল। সমুদ্রের দিকে মুখ করতেই আরেকটি ইঞ্জিন চালু করে দিল। দুই ইঞ্জিন চালু করায় টলারের গতি বেড়ে গেল। সমুদ্র পাড়ি দেয়ার শুরুতে বুঝতে পারিনি সমুদ্র কত বড়? প্রায় এক ঘন্টা পাড়ি দিয়ে সমুদ্রের মাঝখানে আসার পর আত্মা শুকিয়ে গেল। যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু পানি আর পানি। কোনো কুল কিনারা দেখা যায় না। বিশাল বিশাল ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। ট্রলার কচুরী পানার মত ঢেউয়ে দুলছে। আমরা দুইজন মাঝখানে বসে অসহায়ের মত দুলুনি থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। এমন দুলুনি যে কখনও কখনও টলার থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ার অবস্থা। টলারের মাঝখানের গুড়ায় বসে সেই গুড়া দুই হাত দিয়ে জাপটিয়ে ধরে আছি। টলারের আগে পিছে যারা আছে তারা আমাদের চেয়ে কিছুটা নিরাপদেই আছে। তাদেরকে আমাদের মত এত কষ্ট করতে হচ্ছে না।

ব্যাগ ছেড়ে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। ট্রলারের ভিতর কিছু ভুষির বস্তা রাখা আছে। আমরা দুইজন ট্রলারের গুড়া ছেড়ে ভুষির বস্তার উপর বসে দুই হাতে গুড়া জড়িয়ে ধরে আছি। এমন সময় বড় একটি ঢেউ টলারের গায়ে আছড়ে পড়লে ঢেউয়ের ছিটকে আসা পানি আমাদের দুইজনকে আধা ভেজা করে দিল । মুকুলের দিকে তাকিয়ে দেখি মুকুলের মুখ শুকিয়ে গেছে। মুকুল বরিশালের লোক। সেই হিসাবে ওর শক্ত থাকার কথা। কিন্তু সে দেখি আমার চেয়েও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে বসে আছে। সমুদ্রের তান্ডব দেখে আমারও একই অবস্থা। দুইজনেই সাঁতার জানি, কিন্তু কুল কিনারা বিহীন এই সমুদ্রে সাঁতার দিয়ে কতক্ষণ টিকে থাকা যাবে? কখনও কখনও মনে হচ্ছে টলার পানির তলে ডুবে যাচ্ছে আবার একটু পরেই ভুস করে পানির দশ হাত উপরে ভেসে উঠছে। অবস্থা দেখে অন্তর আত্মা শুকিয়ে গেল। আল্লাহ আল্লাহ করতে লাগলাম। মনে মনে চিন্তা করলাম এযাত্রা বেঁচে গেলে আর কখনও সমুদ্র যাত্রা তো দুরের কথা সমুদ্রের ধারে কাছেও আসবো না। এমনি যখন চিন্তা করছি এমন সময় বড় একটি ঢেউয়ের পানি টলারের উপর দিয়ে ছিটকে এসে দুইজনকে একেবারে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। অবস্থার আকস্মিকতায় ভ্যাবাচেকা খেয়ে হা করতেই আরেকটি ঢেউয়ের পানি ছিটকে এসে মুখের ভিতর ঢুকে গেল। সমুদ্রের পানি মুখে ঢুকতেই বেদিশা হয়ে গেলাম। মনে হলো এ যেন পানি নয়, এক খামছা লবন মুখে ঢুকে গেছে। পুরো মুখ লবানাক্ত হয়ে গেল। আমি মুখ পরিস্কার করার জন্য থুথু ফেলতে লাগলাম। তাকিয়ে দেখি আমার মত মুকুলও থুথু ফেলছে। মুকুলের অবস্থা দেখে এত কষ্ঠের মধেও হাসি পেল। হাসি দেয়ার আগেই প্রকান্ড ঢেউ এসে টলার উল্টে ফেলার অবস্থা। মৃত্যু ভয়ে মুহুর্তেই হাসি মিলিয়ে গেল। মনের অজান্তেই চোখের পানি ছেড়ে কেঁদেই ফেললাম।

এমনি মরাণাপন্ন অবস্থায় সমুদ্র পাড়ি দিতে লাগলাম। সময় যেন কাঁটতে চায় না। প্রতি মুহুর্ত প্রতি বছরের মত মনে হচ্ছে। ঘনঘন পশ্চিম দিকে তাকাচ্ছি কিন্তু কোনো কিনারা দেখা যাচ্ছে না। হাতে ঘড়ি আছে সেদিকে খেয়াল নেই। কতক্ষণ যে কেটে গেছে বলতে পারছি না। এক পর্যায়ে অনেক দুরে আবছা আবছা গাছের চিহ্ন চোখে পড়ল। একটু মনের ভিতর সাহস এলো। কিন্তু গাছগুলো কত দুরে তা বোঝা গেল না। আরো অনেক পরে আস্তে আস্তে ঢেউয়ের তান্ডব কমতে লাগল সেই সাথে গছের আকারও বাড়তে লাগল। মনে হলো আরো প্রায় এক ঘন্টা চলার পরে সেন্ট মার্টিন এসে পৌছলাম। টলার একবারে কিনারে পৌছল না। এক বুক পানিতে এসে থেমে গেল। টলার থামতেই কয়েকটি ছোট নৌকা এসে টলারের গায়ে লাগল। আমরা দুইজন একটি ছোট নৌকায় উঠে কিনারে এলাম। নামার সময় দুইজনকে নৌকা ভাড়া পাঁচ টাকা দিয়ে নামতে হলো।

কিনারে নেমে মুকুল এক হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে হাত মুখ পরিস্কার করছে। তার দেখাদেখি আমিও ব্যাগটা ডাঙায় শুকনা বালুর উপর রেখে হাঁটু পানিতে নেমে মুখে পানি দিতেই আহাম্মক হয়ে গেলাম। এ তো পানি নয় যেন লবনের দ্রবণ। সমুদ্রের মাঝে ঢেউয়ে ছিটকে আসা পানিতে মুখের লবনাক্তভাব ধুয়ে পরিস্কার হওয়া তো দুরের কথা উল্টো আরো লবন দিযে মুখ লেপ্টে গেল। ‘ওয়াক থু’ করতে করতে সমুদ্রের পানি ছেড়ে ডাঙায় উঠে এলাম।

উপরে উঠেই মুদি দোকানসহ কয়েকটি ছোট ছোট দোকান চোখে পড়ল। একটি মুদি দোকানে থাকার হোটেলের কথা জিজ্ঞেস করতেই পশ্চিম দিকে যেতে বলল। দোকানগুলোর সামনে থেকেই ছোট একটি পাকা রাস্তা শুরু হয়েছে। পাকা রাস্তা ধরে আমি আর মুকুল পশ্চিম দিকে চলে গেলাম। পাকা রাস্তাটি খুব বেশি লম্বা নয়, এক কিলোমিটার হবে কি না সন্দেহ আছে? দ্বীপের উত্তর পার্শ্বে সমুদ্রের পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে। পাকা রাস্তার শেষ প্রান্তে সমুদ্রের কাছাকাছি একটি দোতালা হোটেল চোখে পড়ল। হোটেলের অফিস রুমে গিয়ে ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করে কোন রুম বা সিট পেলাম না। রুম না পেয়ে দুই জনের মধ্যে হা হুতাস শুরু হয়ে গেল। এই অপরিচিত জায়গায় কোথায় থাকবো? হোটেলের উত্তর পার্শ্বে দু’টি আধাপাকা বাড়ি আছে। হাঁটতে হাঁটতে সেই বাড়ির সামনে চলে গেলাম। একটি বাড়ির ফলকে লেখা ‘সমুদ্র বিলাস’। বুঝতে আর বাকি রইল না এটাই হুমুয়ুন আহমদের বাড়ি। বাড়ির গেটে তালা ঝুলছে। হোটেলে থাকার জায়গা না পাওয়ায় ইচ্ছা ছিল যত টাকা ভাড়া হোক না কেন এই বাড়িতেই থাকবো। কিন্তু কোনো লোক খুঁজে পেলাম না। অবশেষে আবার পাকা রাস্তা ধরে পূর্ব দিকে রওনা হলাম।


যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই পুলিশের ব্যারাক চোখে পড়ল। দশ বারো ফুট উঁচু পিলারের উপর দালান ঘর। নিচে কোনো দেয়াল নেই, দেখতে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের মত। পুলিশের সাহায্য নেয়ার জন্য সিঁড়ি বেয়ে দুইজনে উপরে উঠে গেলাম। গিয়ে দেখি ছয় সাতজন পুলিশ শুয়ে আছে, দুইজন বসে গল্প করছে, একজন দরজার কাছেই ভাত রান্না করছে। ভাত রান্না করছে তাকে বললাম, ভাই আমরা ঢাকা থেকে এসেছি, হোটেলে থাকার জায়গা পেলাম না, আপনারা কোন ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন?
পুলিশটি জানালো, আপনারা পূর্ব দিকে চলে যান, মসজিদের পূর্ব পাশে চেয়ারম্যানের বাড়ি আছে, সেখানে গিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদি সেখানে থাকার কোন ব্যাবস্থা না হয়, তখন এখানে চলে আসেন আমরা ব্যাবস্থা করে দিব।

পুলিশের কথামত পূর্ব দিকে যাওয়ার জন্য দোতালা থেকে নেমে এলাম, কিন্তু পুলিশদের চেহারা দেখে থাকার জায়গার অনিশ্চয়তার মধ্যেও হাসি আটকাতে পারছিলাম না। তাদের শরীরের আকৃতি দেখে রুপ কথার গল্পের কথা মনে পরে গেল, আগে নাকি রাজারা ‘অলস’ পালন করতো। তিন বেলা খাওয়া আর ঘুমানো ছাড়া তাদের আর কোন কাজ ছিল না। এই পুলিশগুলোও তৎকালীন রাজার পালনকৃত আলসদের মত অবস্থা। তাদের কোন কাজ নেই, তিন বেলা খাওয়া আর দোতালায় উঠে শুয়ে থাকা। শুয়ে বসে খেয়ে অলস জীবন-যাপন করতে করতে তাদের শরীরের এমন অবস্থা হয়েছে একেক জন ফুলে ফেঁপে দ্বিগুন। দৌড়িয়ে চোর ধরা তো দুরের কথা স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতেও এদের কষ্ট হয়। সবগুলো পুলিশেরই একই অবস্থা। আমি আর মুকুল হাসতে হাসতে পূর্বদিকে রওনা হলাম।
(চলবে--)

নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)
নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×